সিনিয়র রিপোর্টার : বাংলাদেশে বিরোধী নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্বেগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বলা হচ্ছে-জেলে থাকা ৮ হাজার নেতা-কর্মীকে (বিএনপির) মুক্তি দেওয়ার জন্য। তারা আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র, আমরা তাদের বক্তব্যে নিন্দা জানাতে পারি না। তাদের তথ্যে ঘাটতি আছে। তারা খোঁজ-খবর নিয়ে বক্তব্য দেবে এবং বক্তব্যে সংশোধন করবে। আমরা ‘বিদেশিদের’ সঙ্গে ঝগড়ায় জড়াতে চাই না। আমরা বাংলাদেশেও ঝগড়া চাই না।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা সতর্ক পাহারায় থাকবো ইলেকশন পর্যন্ত। আমাদের যে শান্তি সমাবেশ, শান্তিপূর্ণ পথে যাত্রা, সেই যাত্রা আমরা অব্যাহত রাখবো। তারা আগুন নিয়ে নেমেছে, অস্ত্র নিয়ে নেমেছে। তারা এখন চোরাগোপ্তা হামলা করে আন্দোলন করতে চায়, সরকার হটাতে চায়। এটা হলো তাদের এখনকার মোটিভ এবং এ লক্ষ্য নিয়েই তারা এগোচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের হারানোর কিছু নেই, আমরা ইলেকশনে জিতব ইনশাল্লাহ। কাজেই এ ধরনের চোরাগোপ্তা হামলায় ভয় পেলে আমাদের চলবে না। আমরা মোটেই আতঙ্কিত না। আমরা জনগণকে বলবো, এসব চোরাগোপ্তা হামলা দীর্ঘদিন চালানো যায় না। এরা তো অনেক কিছুই করবে বলেছিল, এখন কোথায়? বর্তমান যে দুঃসময় যাচ্ছে- সেটাতে সৌদি আরব আমাদের সাহায্য করবে। এ দুঃসময়ে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে একটি দল আন্দোলন করছে। তারা একজন নন্দিত প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে হটাতে আন্দোলন করছে।