ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘সংবিধান’ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনেরই দর্পণ: স্পিকার

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩
  • 94

সিনিয়র রিপোর্টার : ‘সংবিধান’ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনেরই দর্পণ উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে সমতার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে বঙ্গবন্ধু বদ্ধপরিকর ছিলেন। শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধান বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক চেতনারই প্রতিফলন। বাঙালির জন্য, বাংলার আপামর মানুষের জন্য যা কল্যাণকর তা বাস্তবায়ন করতে বঙ্গবন্ধু আজন্ম লড়াই সংগ্রাম করেছেন। শোষণ ও বৈষম্যহীন সোনার বাংলা গড়াই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল দর্শন।

রোববার (৫ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ৫২তম সংবিধান দিবস উপলক্ষে ‘১৯৭২ এর সংবিধান: বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের দর্পণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠাকে লালন করেই টুঙ্গিপাড়ার খোকা বঙ্গবন্ধুতে পরিণত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু মনে করতেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে শোষণমূক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই, তার লড়াই সংগ্রাম স্বার্থক হবে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়’। বঙ্গবন্ধু মেহনতি মানুষের জন্য, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য নিরসনের জন্য স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র‍্যের হার কমিয়েছেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। , আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘরহীনদের ৯ লাখ ঘর প্রদান করেছেন, গর্ভবতী মা -ল্যাকটেটিং মায়েদের জন্য ভাতা, বিধবা-বয়স্ক-স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা দিচ্ছেন, ১ কোটি শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সহায়ক ভাতা দিচ্ছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে দরিদ্রদের স্বল্পমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ করছেন। সংবিধানের চেতনা সমুন্নত রাখতে প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিককে নিবেদিত হতে হবে। নতুন প্রজন্মকে একটি স্মার্ট ও মানবিক বাংলাদেশ গঠনে সংবিধানের আদর্শ ও দর্শন ধারণ করতে হবে।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আজাহার উল্লাহ ভুইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো. মোখলেসুর রহমান বাদল, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, পোল্যান্ডের নেভার অ্যাগেইন সংগঠনের সভাপতি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. রাফাল প্যানকোভোস্কি এবং সদস্য নাটালিয়া সিনায়েভা প্যানকোভস্কা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য, আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মী, আমন্ত্রিত অতিথি, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ট্যাগস

‘সংবিধান’ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনেরই দর্পণ: স্পিকার

আপডেট সময় ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : ‘সংবিধান’ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনেরই দর্পণ উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে সমতার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে বঙ্গবন্ধু বদ্ধপরিকর ছিলেন। শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধান বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক চেতনারই প্রতিফলন। বাঙালির জন্য, বাংলার আপামর মানুষের জন্য যা কল্যাণকর তা বাস্তবায়ন করতে বঙ্গবন্ধু আজন্ম লড়াই সংগ্রাম করেছেন। শোষণ ও বৈষম্যহীন সোনার বাংলা গড়াই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল দর্শন।

রোববার (৫ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ৫২তম সংবিধান দিবস উপলক্ষে ‘১৯৭২ এর সংবিধান: বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের দর্পণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠাকে লালন করেই টুঙ্গিপাড়ার খোকা বঙ্গবন্ধুতে পরিণত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু মনে করতেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে শোষণমূক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই, তার লড়াই সংগ্রাম স্বার্থক হবে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়’। বঙ্গবন্ধু মেহনতি মানুষের জন্য, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য নিরসনের জন্য স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র‍্যের হার কমিয়েছেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। , আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘরহীনদের ৯ লাখ ঘর প্রদান করেছেন, গর্ভবতী মা -ল্যাকটেটিং মায়েদের জন্য ভাতা, বিধবা-বয়স্ক-স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা দিচ্ছেন, ১ কোটি শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সহায়ক ভাতা দিচ্ছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে দরিদ্রদের স্বল্পমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ করছেন। সংবিধানের চেতনা সমুন্নত রাখতে প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিককে নিবেদিত হতে হবে। নতুন প্রজন্মকে একটি স্মার্ট ও মানবিক বাংলাদেশ গঠনে সংবিধানের আদর্শ ও দর্শন ধারণ করতে হবে।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আজাহার উল্লাহ ভুইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো. মোখলেসুর রহমান বাদল, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, পোল্যান্ডের নেভার অ্যাগেইন সংগঠনের সভাপতি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. রাফাল প্যানকোভোস্কি এবং সদস্য নাটালিয়া সিনায়েভা প্যানকোভস্কা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য, আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মী, আমন্ত্রিত অতিথি, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।