সিনিয়র রিপোর্টার : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং সিআরআইয়ের ট্রাস্টি নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘বিএনপি এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কোনো কাজ করেনি। তারা হাওয়া ভবনের মাধ্যমে শুধু কমিশন খেতেন। কেউ যদি কমিশন দিতে অস্বীকৃতি বা অপারগতা জানাতো তাহলে তাদের কোনো কাজ হতো না। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল কমিশন বাণিজ্য করা।’
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের এক উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সময়ে অর্থের বিনিময়ে মন্ত্রী বানানো হতো। এমনকি বিএনপির মন্ত্রীদের হাওয়া ভবনে ঠিকমতো কমিশন না দিলে তাদের দপ্তর ঠিক থাকতো না। পরিবর্তন হয়ে যেত। আর এ কাজগুলো করেছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান। এই তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আন্দোলনের নামে সারাদেশে জ্বালাও-পোড়াও শুরু করেছে।
নসরুল হামিদ বলেন, বিএনপির এ আন্দোলনে জনগণের কোনো সমর্থন নেই। তারা আবারও অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পায়তারা করছে। বিএনপির মতো দল যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে সকল উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে। তারা অতীতের মতো আবারও কমিশন বাণিজ্য করবে। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে তারা লুটপাট করেছে। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণই নির্ধারণ করবে কারা ক্ষমতায় আসবে। জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। জনগণ যাদের পছন্দ করেন তাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবেন। ক্ষমতায় আসতে হলে ভালো কাজ করে মানুষের মন জয় করতে হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বল্প উন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করেছেন। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন। একারণে বাংলাদেশের মানুষ তাকে ভালোবাসেন। বাংলাদেশের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও তাকে নির্বাচিত করবেন।
কেরানীগঞ্জের ১৭টি খালের উন্নয়ন কাজ চলছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মৃত প্রায় শুভাঢ্যা খাল বিএনপির আমলে দখল করে মার্কেট করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। এ খাল উদ্ধারে একনেকে অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এরকম ১৭ খাল উদ্ধারে কাজ চলছে। প্রত্যেকটি খাল, রাস্তা, স্কুল-কলেজের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তার জন্য কেরানীগঞ্জবাসী আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ, শুভাঢ্যা ইউনিয়নের সভাপতি বাশের উল্লাহ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী ইকবাল হোসেনসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।