সিনিয়র রিপোর্টার : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জানিয়েছি। নির্বাচন অতি আসন্ন। তবে আমরা এখনও পুরোপুরি সিদ্ধান্ত নেইনি। নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য তারিখ জানানো হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এদিন বেলা ১১টা ৫২ মিনিটে সিইসির নেতৃত্বে চার নির্বাচন কমিশনার বঙ্গভবনে যান। তাদের সঙ্গে কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলমও ছিলেন।
সিইসি বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্য হলো আসন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করা। আমরা রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেছি। তিনি সন্তুষ্ট হয়েছেন। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হবে।
আমরা বলেছি, প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির সাহায্য কামনা করবো। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, সুষ্ঠ নির্বাচনের স্বার্থ যে কোনো ধরনের সহযোগিতা দেবেন। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা যে কোনো মূল্যে অব্যাহত রাখতে হবে। সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দল, সরকার ও জনগণের সহযোগিতা কামনা করেছে নির্বাচন কমিশন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাষ্ট্রপতি বলেছেন- গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা যে কোনো মূল্যে অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি- আমাদের ওপর যে সাংবিধানিক দায়িত্ব আরোপিত হয়েছে, সে অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ও নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। আমরা রাষ্ট্রপতিকে আশ্বস্ত করেছি যে, সবার সহযোগিতায় সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার আলোকে যথাসময়ে নির্বাচন করতে সমর্থ হবো।
নির্বাচনের তফসিল আগামী ১৫ নভেম্বর মধ্যে ঘোষণা করা হবে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি নির্বাচন অত্যাসন্ন। শেষ সময়টি রাষ্ট্রপতি জানেন। যে কোনো মূল্যে আমাদের ২৯ জানুয়ারির আগেই নির্বাচন করতে হবে। তবে এখনো পুরোপুরি সিদ্ধান্ত নেইনি। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গেছি। এখন নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করবো।
বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তেমন আলোচনা হয়নি উল্লেখ করে বলেন, আমরা শুধু আমাদের কথা বলেছি। প্রত্যাশা করেছি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যাতে নির্বাচন হয় সে ব্যাপারে সবার সহযোগিতা। তবে রাজনৈতিক মতানৈক্যের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি সিইসি।