ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন : শ্রমিকরা কাজ না করলে কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
  • 64

অনলাইন ডেস্ক  :  তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, শ্রমিকরা কাজ না করলে বা কারখানা ভাঙচুর করলে কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন। রোববার (১২ নভেম্বর) উদ্ভূত শ্রম পরিস্থিতি বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন তিনি। ফারুক হাসান বলেন, যতদিন না শ্রমিক ভাংচুর বন্ধ হচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারছে ততদিন পর্যন্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ শিল্প ও সম্পদ রক্ষায় ১৩ (১) ধারায় কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন। প্রতিটি উদ্যোক্তার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে বহিরাগতদের হাত থেকে তার নিজস্ব শিল্প ও সম্পদ রক্ষার প্রত্যেক উদ্যোক্তার রয়েছে।

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে তৈরি পোশাকশিল্প নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। এতে শিল্প ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রম দেশদ্রোহিতার শামিল। ইপিলিয়ন কারখানায় তিনজন মারা গেছে বলে যে কথা প্রচারিত হয়েছে, যা মোটেও সত্য নয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। যারা এ ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি।

শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ফারুক হাসান বলেন, আমরা গত ৩১ অক্টোবর ২০২৩ অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছিলাম, সরকার নতুন যে বেতন কাঠামো ঘোষণা করবে, আমরা পোশাকশিল্পের সব উদ্যোক্তা সেটিই মেনে নেব, শিল্পে যত প্রতিকূলতাই থাকুক না কেন। আমরা ঘোষিত মজুরি মেনে নিয়েছি। যত কষ্টই হোক, এই মজুরি বাস্তবায়ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, যদিও বর্তমান প্রেক্ষাপটে পোশাকশিল্পের বাস্তবতায় এই মজুরি বাস্তবায়ন করা অনেক উদ্যোক্তার জন্যই জন্য অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হবে।

ট্যাগস

বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন : শ্রমিকরা কাজ না করলে কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন

আপডেট সময় ০৫:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক  :  তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, শ্রমিকরা কাজ না করলে বা কারখানা ভাঙচুর করলে কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন। রোববার (১২ নভেম্বর) উদ্ভূত শ্রম পরিস্থিতি বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন তিনি। ফারুক হাসান বলেন, যতদিন না শ্রমিক ভাংচুর বন্ধ হচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারছে ততদিন পর্যন্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ শিল্প ও সম্পদ রক্ষায় ১৩ (১) ধারায় কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন। প্রতিটি উদ্যোক্তার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে বহিরাগতদের হাত থেকে তার নিজস্ব শিল্প ও সম্পদ রক্ষার প্রত্যেক উদ্যোক্তার রয়েছে।

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে তৈরি পোশাকশিল্প নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। এতে শিল্প ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রম দেশদ্রোহিতার শামিল। ইপিলিয়ন কারখানায় তিনজন মারা গেছে বলে যে কথা প্রচারিত হয়েছে, যা মোটেও সত্য নয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। যারা এ ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি।

শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ফারুক হাসান বলেন, আমরা গত ৩১ অক্টোবর ২০২৩ অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছিলাম, সরকার নতুন যে বেতন কাঠামো ঘোষণা করবে, আমরা পোশাকশিল্পের সব উদ্যোক্তা সেটিই মেনে নেব, শিল্পে যত প্রতিকূলতাই থাকুক না কেন। আমরা ঘোষিত মজুরি মেনে নিয়েছি। যত কষ্টই হোক, এই মজুরি বাস্তবায়ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, যদিও বর্তমান প্রেক্ষাপটে পোশাকশিল্পের বাস্তবতায় এই মজুরি বাস্তবায়ন করা অনেক উদ্যোক্তার জন্যই জন্য অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হবে।