ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ খুলনায় ২৪ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩
  • 127

সিনিয়র রিপোর্টার : আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনার জনসমাবেশ থেকে দুই হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনেএবং ২২৩ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে শিল্প, বন্দর ও বিভাগীয় নগরী খুলনায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। নগরীর সড়কগুলোতে নির্মাণ করা হয়েছে দুই শতাধিক তোরণ, মোড়ে মোড়ে শোভা পাচ্ছে রং-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও প্ল্যাকার্ড।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে তার সফরসূচিতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে দুপুর পৌনে ১টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করবেন। দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন তিনি। সভাশেষে মধ্যাহ্নভোজের ৪৫ মিনিটের বিরতি শেষে মূল অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন শেখ হাসিনা। পৌনে ৩টায় সার্কিট হাউজ মাঠে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। বিকাল ৩টায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায় যোগ দেবেন তিনি। পরে ৪টা ৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী আবার হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন।

খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রেরিত প্রকল্পের তালিকায় গণপূর্ত বিভাগের প্রকল্প রয়েছে ৮টি। প্রকল্পগুলো হলো- নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডে ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ভবন নির্মাণ; শামসুর রহমান রোডে সিভিল সার্জনের অফিস ভবন ও বাসভবন নির্মান; খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন; খুলনা শিক্ষানবিশি প্রশিক্ষণ দপ্তর সংস্কার ও আধুনিকায়ন; খুলনায় বিএসটিআই’র ১০তলা আঞ্চলিক অফিস ভবন স্থাপন; বিটাক, খুলনা কেন্দ্রে ১০তলা বিশিষ্ট নারী হোস্টেল ভবন নির্মাণ; পাইকগাছা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ (সিভিল, স্যানিটারি ও বৈদ্যুতিক); নগরীর দৌলতপুরে কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের ৪তলা ছাত্র হোস্টেল নির্মাণ।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন (ইকোট্যুরিজম) সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত শেখেরটেক ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প রয়েছে ১০টি। প্রকল্পগুলো হলো- ডুমুরিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫তলা অ্যাকাডেমিক কাম ৪ তলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কশপ ভবন নির্মাণ; বয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়; খুলনা কলেজিয়েট স্কুল; সরকারি এল বি কে ডিগ্রি মহিলা কলেজ; সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ; চালনা বাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়; তালিমুল মিল্লাত রহমাতিয়া ফাজিল মাদরাসা; নজরুলনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়; আরআরএফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটিতে ৬তলা অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ; আড়ংঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪তলা অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ। 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- ডুমুরিয়া উপজেলার চরচরিয়া শিবনগর সড়কে ভদ্রা নদীর ওপর ৩১৫ দশমিক ৩০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ কাজ ।

উদ্বোধন প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে- খুলনা সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা উন্নয়ন এবং পুনর্বাসন প্রকল্প; খুলনা শহরে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খালিশপুর বিআইডিসি রোডে ড্রেন; ফুটপাত নির্মাণসহ রাস্তা প্রশস্তকরণ ও পুনর্র্নিমাণ কাজ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে- নগরীর দৌলতপুরে অতিরিক্ত পরিচালকের ৬ তলা বিশিষ্ট নবনির্মিত অফিস ভবন।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনযোগ্য প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে- খুলনা সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মাথাভাঙ্গা এলাকায় স্যানিটারি ল্যান্ডফিল নির্মাণ। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন দিঘলিয়া টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ৫তলা অ্যাকাডেমিক কাম ৪তলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কশপ ভবন নির্মাণ কাজ।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় আগমন ও সার্কিট হাউস ময়দানের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তিন স্তরের কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। পোশাক ও সাদা পোশাকে মহাসমাবেশস্থল, তার আশপাশে এবং মহাসমাবেশস্থলের বাইরে মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, নৌপুলিশ ও র‌্যাবের সমন্বয়ে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। বিশেষ করে সমাবেশস্থলে নারী-পুরুষসহ লাখ লাখ মানুষ উপস্থিত হবেন-তাদের সার্বিক নিরাপত্তায় সার্কিট হাউস ময়দান ও আশপাশ এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আজ খুলনায় ২৪ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনার জনসমাবেশ থেকে দুই হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনেএবং ২২৩ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে শিল্প, বন্দর ও বিভাগীয় নগরী খুলনায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। নগরীর সড়কগুলোতে নির্মাণ করা হয়েছে দুই শতাধিক তোরণ, মোড়ে মোড়ে শোভা পাচ্ছে রং-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও প্ল্যাকার্ড।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে তার সফরসূচিতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে দুপুর পৌনে ১টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করবেন। দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন তিনি। সভাশেষে মধ্যাহ্নভোজের ৪৫ মিনিটের বিরতি শেষে মূল অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন শেখ হাসিনা। পৌনে ৩টায় সার্কিট হাউজ মাঠে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। বিকাল ৩টায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায় যোগ দেবেন তিনি। পরে ৪টা ৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী আবার হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন।

খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রেরিত প্রকল্পের তালিকায় গণপূর্ত বিভাগের প্রকল্প রয়েছে ৮টি। প্রকল্পগুলো হলো- নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডে ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ভবন নির্মাণ; শামসুর রহমান রোডে সিভিল সার্জনের অফিস ভবন ও বাসভবন নির্মান; খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন; খুলনা শিক্ষানবিশি প্রশিক্ষণ দপ্তর সংস্কার ও আধুনিকায়ন; খুলনায় বিএসটিআই’র ১০তলা আঞ্চলিক অফিস ভবন স্থাপন; বিটাক, খুলনা কেন্দ্রে ১০তলা বিশিষ্ট নারী হোস্টেল ভবন নির্মাণ; পাইকগাছা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ (সিভিল, স্যানিটারি ও বৈদ্যুতিক); নগরীর দৌলতপুরে কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের ৪তলা ছাত্র হোস্টেল নির্মাণ।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন (ইকোট্যুরিজম) সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত শেখেরটেক ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প রয়েছে ১০টি। প্রকল্পগুলো হলো- ডুমুরিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫তলা অ্যাকাডেমিক কাম ৪ তলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কশপ ভবন নির্মাণ; বয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়; খুলনা কলেজিয়েট স্কুল; সরকারি এল বি কে ডিগ্রি মহিলা কলেজ; সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ; চালনা বাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়; তালিমুল মিল্লাত রহমাতিয়া ফাজিল মাদরাসা; নজরুলনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়; আরআরএফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটিতে ৬তলা অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ; আড়ংঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪তলা অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ। 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- ডুমুরিয়া উপজেলার চরচরিয়া শিবনগর সড়কে ভদ্রা নদীর ওপর ৩১৫ দশমিক ৩০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ কাজ ।

উদ্বোধন প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে- খুলনা সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা উন্নয়ন এবং পুনর্বাসন প্রকল্প; খুলনা শহরে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খালিশপুর বিআইডিসি রোডে ড্রেন; ফুটপাত নির্মাণসহ রাস্তা প্রশস্তকরণ ও পুনর্র্নিমাণ কাজ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে- নগরীর দৌলতপুরে অতিরিক্ত পরিচালকের ৬ তলা বিশিষ্ট নবনির্মিত অফিস ভবন।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনযোগ্য প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে- খুলনা সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মাথাভাঙ্গা এলাকায় স্যানিটারি ল্যান্ডফিল নির্মাণ। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন দিঘলিয়া টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ৫তলা অ্যাকাডেমিক কাম ৪তলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কশপ ভবন নির্মাণ কাজ।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় আগমন ও সার্কিট হাউস ময়দানের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তিন স্তরের কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। পোশাক ও সাদা পোশাকে মহাসমাবেশস্থল, তার আশপাশে এবং মহাসমাবেশস্থলের বাইরে মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, নৌপুলিশ ও র‌্যাবের সমন্বয়ে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। বিশেষ করে সমাবেশস্থলে নারী-পুরুষসহ লাখ লাখ মানুষ উপস্থিত হবেন-তাদের সার্বিক নিরাপত্তায় সার্কিট হাউস ময়দান ও আশপাশ এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন।