ঢাকা , শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তি স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
  • 130

সিনিয়র রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১৫৭টি প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েও রয়েছে। যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৭ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে : নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চট্টগ্রাম বন্দর; বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি ও স্থল বন্দরের ১৫টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। এগুলোর মধ্যে নয়টি কাজের উদ্বোধন ও ছয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

উদ্বোধন হওয়া প্রকল্পগুলো হলো : চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল; বে-টার্মিনাল (মাস্টার প্ল্যান); বাংলাদেশ স্থলবন্দরের ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর (জামালপুর); রামগড় স্থলবন্দর (খাগড়াছড়ি); বিআইডব্লিউটিসির ছয়টি ইমপ্রুভড মিডিয়াম ফেরি; বিআইডব্লিউটিএর মিঠামইন উপজেলার ঘোড়াউতরা; বোলাই-শ্রীগাং নদীর অংশ বিশেষ ও ইটনা উপজেলার ধনু নদীর অংশ বিশেষের নাব্য উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার; পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই এবং পুনর্ভবা নদীর নাব্য উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ধরলা নদীর নাব্য রক্ষার্থে খনন ইত্যাদি।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা প্রকল্পগুলো হলো : বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন প্রকল্প-১-এর আওতায় পানগাঁও কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ; আশুগঞ্জ কার্গো টার্মিনাল; বরিশাল নদীবন্দরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল; চাঁদপুর নদীবন্দরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল; নারায়ণগঞ্জ ডেক ও ইঞ্জিন কর্মী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইত্যাদি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে, হয়তো দুই-একদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। আজকে আমরা ডিজিটাল মাধ্যমে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করছি। এর পেছনে একটা কারণ আছে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা জনগণের জন্য খুলনার রূপসা ব্রিজ থেকে শুরু করে কুড়িগ্রামের ধরলা ব্রিজ, দক্ষিণাঞ্চলের গাবখান ব্রিজ- এমন অনেক কাজ করেছি। স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা অনেক কিছু করেছিলাম, কিন্তু তখন সবগুলোর উদ্বোধন করতে পারিনি। ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার একমাসের মাথায় গাবখান ব্রিজ উদ্বোধন করার সময় বলেছিলেন, আমরা নাকি কোনো কাজ করিনি। তার মানে এতো বড় একটি নদীতে তিনি এক মাসে বড় একটি ব্রিজ তৈরি করে ফেলেছিলেন….।

শেখ হাসিনা বলেন, এবার আমরা যেটুকু কাজ করেছি সেটুকু উদ্বোধন করব। এরপর যখন নির্বাচন হবে জনগণ যদি নৌকা মার্কায় ভোট দেয় আমরা আবারও ক্ষমতায় আসব। আর ভোট না দিলে আমার কোনো আফসোস থাকবে না। কারণ আমি তো দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় নিয়ে এসেছি। জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। কাজেই জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দেবে।

তিনি আরও বলেন, অনেকে নির্বাচনে আসতে চায় না। কারণ যারা মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছিল, তাদের তো নির্বাচনে আসার আকাঙ্ক্ষাই থাকবে না। বরং নির্বাচন বানচাল করে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আবারও বাংলাদেশের মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলাই তাদের চেষ্টা। দেশের মানুষ যখন শান্তি ও স্বস্তিতে ছিল, দেশের উন্নয়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক সেইসময় আবারও অবরোধ আর অগ্নিসন্ত্রাস, বাসে আগুন দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রাকে যেমন ব্যহত করা হচ্ছে। স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারছে না। যেখানে বিএনপির আমলে সাক্ষরতার হার মাত্র ৪৫ ভাগ ছিল, সেটিকে আমরা ৭৬ দশমিক ৬ ভাগে উন্নীত করেছি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি ১২টি শৈত্যপ্রবাহ ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে

১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তি স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১৫৭টি প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েও রয়েছে। যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৭ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে : নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চট্টগ্রাম বন্দর; বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি ও স্থল বন্দরের ১৫টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। এগুলোর মধ্যে নয়টি কাজের উদ্বোধন ও ছয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

উদ্বোধন হওয়া প্রকল্পগুলো হলো : চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল; বে-টার্মিনাল (মাস্টার প্ল্যান); বাংলাদেশ স্থলবন্দরের ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর (জামালপুর); রামগড় স্থলবন্দর (খাগড়াছড়ি); বিআইডব্লিউটিসির ছয়টি ইমপ্রুভড মিডিয়াম ফেরি; বিআইডব্লিউটিএর মিঠামইন উপজেলার ঘোড়াউতরা; বোলাই-শ্রীগাং নদীর অংশ বিশেষ ও ইটনা উপজেলার ধনু নদীর অংশ বিশেষের নাব্য উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার; পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই এবং পুনর্ভবা নদীর নাব্য উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ধরলা নদীর নাব্য রক্ষার্থে খনন ইত্যাদি।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা প্রকল্পগুলো হলো : বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন প্রকল্প-১-এর আওতায় পানগাঁও কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ; আশুগঞ্জ কার্গো টার্মিনাল; বরিশাল নদীবন্দরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল; চাঁদপুর নদীবন্দরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল; নারায়ণগঞ্জ ডেক ও ইঞ্জিন কর্মী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইত্যাদি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে, হয়তো দুই-একদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। আজকে আমরা ডিজিটাল মাধ্যমে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করছি। এর পেছনে একটা কারণ আছে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা জনগণের জন্য খুলনার রূপসা ব্রিজ থেকে শুরু করে কুড়িগ্রামের ধরলা ব্রিজ, দক্ষিণাঞ্চলের গাবখান ব্রিজ- এমন অনেক কাজ করেছি। স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা অনেক কিছু করেছিলাম, কিন্তু তখন সবগুলোর উদ্বোধন করতে পারিনি। ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার একমাসের মাথায় গাবখান ব্রিজ উদ্বোধন করার সময় বলেছিলেন, আমরা নাকি কোনো কাজ করিনি। তার মানে এতো বড় একটি নদীতে তিনি এক মাসে বড় একটি ব্রিজ তৈরি করে ফেলেছিলেন….।

শেখ হাসিনা বলেন, এবার আমরা যেটুকু কাজ করেছি সেটুকু উদ্বোধন করব। এরপর যখন নির্বাচন হবে জনগণ যদি নৌকা মার্কায় ভোট দেয় আমরা আবারও ক্ষমতায় আসব। আর ভোট না দিলে আমার কোনো আফসোস থাকবে না। কারণ আমি তো দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় নিয়ে এসেছি। জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। কাজেই জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দেবে।

তিনি আরও বলেন, অনেকে নির্বাচনে আসতে চায় না। কারণ যারা মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছিল, তাদের তো নির্বাচনে আসার আকাঙ্ক্ষাই থাকবে না। বরং নির্বাচন বানচাল করে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আবারও বাংলাদেশের মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলাই তাদের চেষ্টা। দেশের মানুষ যখন শান্তি ও স্বস্তিতে ছিল, দেশের উন্নয়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক সেইসময় আবারও অবরোধ আর অগ্নিসন্ত্রাস, বাসে আগুন দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রাকে যেমন ব্যহত করা হচ্ছে। স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারছে না। যেখানে বিএনপির আমলে সাক্ষরতার হার মাত্র ৪৫ ভাগ ছিল, সেটিকে আমরা ৭৬ দশমিক ৬ ভাগে উন্নীত করেছি।