সিনিয়র রিপোর্টার : সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে চলমান সরকাবিরোধী আন্দোলনে পঞ্চম দফায় বিএনপির ডাকা দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও আলাদাভাবে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে।
আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টা সারাদেশে সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
বিএনপির এই যুগপত্ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, এলডিপি, লেবার পার্টিসহ সমমনা দলগুলোও পৃথকভাবে এই ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের কর্মসূচি পালন করবে বলে জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীবলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়, নিহত সঙ্গীদের হত্যার বিচার, আহতদের সুচিকিৎসা এবং সারা দেশে গ্রেফতারকৃত হাজারো নেতাকর্মীর মুক্তি ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণকে (১৫ নভেম্বর) বুধবার ভোর ৬টা থেকে (১৭ নভেম্বর) শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা সারাদেশে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালনের উদাত্ত আহ্বান জানান। আশা করি, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে ও জনগণের ন্যায্য দাবি মেনে নেবে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম বলেন, দেশকে বাঁচানোর জন্য বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ গ্রেফতারকৃত সব নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বুধবার ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সফল করে আন্দোলনকে চূড়ান্ত লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের জনশক্তি এবং দেশপ্রেমিক সংগ্রামী জনতার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী নেতাকর্মীদের নামে পুলিশ বাহিনীর মামলা ও গ্রেপ্তারের তথ্য তুলে ধরেন রুহুল কবির রিজভী। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বিকেল চারটার আগে) ৪২০ জনেরও বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং ১১টি মামলায় ১ হাজার ৩৫০ জনেরও বেশি নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে।
বিএনপির অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে : সংবাদপত্রের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডারবাহী গাড়ি ও জরুরি ওষুধ পরিবহনকারী গাড়ি।