ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘জলবায়ু ও মানসিক স্বাস্থ্য স্থিতিস্থাপকতা’ দিবস পালনের আহ্বান সায়মা ওয়াজেদের

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
  • 116

অনলাইন ডেস্ক : আবু ধাবিতে আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনে (কপ২৮) প্রথমবারের মত অনুষ্ঠেয় স্বাস্থ্য দিবসের অংশ হিসেবে একটি দিনকে ‘জলবায়ু এবং মানসিক স্বাস্থ্য স্থিতিস্থাপকতা দিবস’ হিসেবে পালনে কমনওয়েলথের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও মহাপরিচালকের মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিষয়ক উপদেষ্টা এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) ভালনারেবিলিটি বিষয়ক থিমেটিক দূত সায়মা ওয়াজেদ।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সূচনা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে অংশীদারত্বে লন্ডনের বাংলাদেশ হাই কমিশন ও কমনওয়েলথ আয়োজিত ‘জলবায়ু ঝুঁকি ও মানসিক স্বাস্থ্য: নারীদের কণ্ঠস্বর’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় সায়মা ওয়াজেদ এ আহ্বান জানান। তিনি ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক কার্যালয়ের নবনির্বাচিত পরিচালক এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন। গোলটেবিল আলোচনায় সায়মা ওয়াজেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বলে বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বুধবার (১৫ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার লন্ডনের কমনওয়েলথ সচিবালয়ে অনুষ্ঠেয় কমনওয়েলথ নারী নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়।

মূল প্রবন্ধে সায়মা ওয়াজেদ জলবায়ু ও মানসিক স্বাস্থ্য স্থিতিস্থাপকতার তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং কমনওয়েলথ দেশগুলোর জলবায়ু-সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় আরও ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ একা একা মোকাবেলার জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ দেশগুলোর হাতে নেই। সে কারণে তিনি বিশ্বব্যাপী সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য অবস্থার প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার জন্য একটি সামষ্টিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

মূল বক্তব্যে সায়মা ওয়াজেদ বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি এবং সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজের ওপর আলোকপাত করেন এবং ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) কমনওয়েলথ এনসিডি গাইডিং ফ্রেমওয়ার্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সায়মা ওয়াজেদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- যুক্তরাজ্যের পরিবেশ, খাদ্য ও পল্লী বিষয়ক দপ্তরের উপ মন্ত্রী রেবেকা পাও, ইকুয়ালিটি দপ্তরের ছায়ামন্ত্রী ইয়াসমিন কুরেশি, কেনসিংটনের কনজারভেটিভ এমপি ফেলিসিটি বুচান এবং ইউকে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রপ ফর ইউএন উইমেনের চেয়ারম্যান ব্যারনেস ভার্মা।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

‘জলবায়ু ও মানসিক স্বাস্থ্য স্থিতিস্থাপকতা’ দিবস পালনের আহ্বান সায়মা ওয়াজেদের

আপডেট সময় ০৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : আবু ধাবিতে আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনে (কপ২৮) প্রথমবারের মত অনুষ্ঠেয় স্বাস্থ্য দিবসের অংশ হিসেবে একটি দিনকে ‘জলবায়ু এবং মানসিক স্বাস্থ্য স্থিতিস্থাপকতা দিবস’ হিসেবে পালনে কমনওয়েলথের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও মহাপরিচালকের মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিষয়ক উপদেষ্টা এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) ভালনারেবিলিটি বিষয়ক থিমেটিক দূত সায়মা ওয়াজেদ।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সূচনা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে অংশীদারত্বে লন্ডনের বাংলাদেশ হাই কমিশন ও কমনওয়েলথ আয়োজিত ‘জলবায়ু ঝুঁকি ও মানসিক স্বাস্থ্য: নারীদের কণ্ঠস্বর’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় সায়মা ওয়াজেদ এ আহ্বান জানান। তিনি ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক কার্যালয়ের নবনির্বাচিত পরিচালক এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন। গোলটেবিল আলোচনায় সায়মা ওয়াজেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বলে বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বুধবার (১৫ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার লন্ডনের কমনওয়েলথ সচিবালয়ে অনুষ্ঠেয় কমনওয়েলথ নারী নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়।

মূল প্রবন্ধে সায়মা ওয়াজেদ জলবায়ু ও মানসিক স্বাস্থ্য স্থিতিস্থাপকতার তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং কমনওয়েলথ দেশগুলোর জলবায়ু-সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় আরও ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ একা একা মোকাবেলার জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ দেশগুলোর হাতে নেই। সে কারণে তিনি বিশ্বব্যাপী সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য অবস্থার প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার জন্য একটি সামষ্টিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

মূল বক্তব্যে সায়মা ওয়াজেদ বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি এবং সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজের ওপর আলোকপাত করেন এবং ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) কমনওয়েলথ এনসিডি গাইডিং ফ্রেমওয়ার্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সায়মা ওয়াজেদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- যুক্তরাজ্যের পরিবেশ, খাদ্য ও পল্লী বিষয়ক দপ্তরের উপ মন্ত্রী রেবেকা পাও, ইকুয়ালিটি দপ্তরের ছায়ামন্ত্রী ইয়াসমিন কুরেশি, কেনসিংটনের কনজারভেটিভ এমপি ফেলিসিটি বুচান এবং ইউকে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রপ ফর ইউএন উইমেনের চেয়ারম্যান ব্যারনেস ভার্মা।