সিনিয়র রিপোর্টার : নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, তফসিল ঘোষণার পর আজ থেকে সরকারি বদলি ও নিয়োগের ক্ষেত্রে আগে থেকে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে হলে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দ্বাদশ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে আগে থেকেই পদত্যাগ করতে হবে।
তফসিল ঘোষণার পর থেকে নিয়োগ বদলি ও রাজনৈতিক চাপ অনুভব করছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাংগীর আলম বলেন, আরপিওতে সুস্পষ্ট বলা আছে নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারের কোন কোন বিষয়গুলো পূর্ব অনুমোদন করতে হবে। সেখানে বলা আছে জেলা প্রশাসক, ডিএমপি কমিশনার ও তাদের অধস্তন কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষেত্রে ইসির পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় তফসিল ঘোষণা হয়েছে তার আগ মুহূর্তের কাজ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের তফসিল ঘোষণার পর আমাদের কাজ।
সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং আরপিও -এর ৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচনের কাজে সহায়তা দেওয়া নির্বাহী বিভাগের কর্তব্য। কোনো কর্মকর্তা দায়িত্ব পাওয়ার পরে তাকে অব্যাহতি না দেয়া পর্যন্ত চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তিনি ইসির অধীনে প্রেষণে আছেন বলে গণ্য হবে। আরপিও-এর ৪৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচনের সময়সূচি জারি হওয়ার পর থেকে ফল ঘোষণার পর ১৫ দিন পর্যন্ত ইসির অনুমতি ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি না করার বিধান রয়েছে।
ব্যালট পেপার পাঠানোর বিষয়ে জাহাংগীর আলম বলেন, এ কথাটা আমরা গতকালই বলেছি। ব্যালট পেপার ছাপানো হবে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে। জেলা পর্যায়ে চলে যাবে নির্বাচনের তিন-চারদিন আগে। পরে কমিশন যে পরিপত্র জারি করবে তখন বিষয়টি উল্লেখ থাকবে।
নির্বাচনে প্রচারণার বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল পর্যন্ত নির্বাচনের প্রচারণা চালাতে পারবে। এর আগে কেউ ভোটের প্রচারণা চালাতে পারবে না।
নির্বাচন এই সময়ে মন্ত্রী-এমপিরা আগের মতো কাজ করতে পারবে কি না? এই বিষয়ে ইসি সচিব স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।