স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা শিরোনামে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট কার্যকর হচ্ছে আজ (পহেলা জুলাই) থেকে। গত ২৬ জুন এই বাজেট পাস হয়। এবারে বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
বাজেট পাসের প্রক্রিয়ায় মন্ত্রীরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ব্যয় নির্বাহের যৌক্তিকতা তুলে ধরে ৫৯টি মঞ্জুরি দাবি সংসদে উত্থাপন করেন। এই দাবিগুলো সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এসব মঞ্জুরি দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে বিরোধীদলের ১০ সংসদ সদস্য ৫০২টি ছাঁটাই প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এর মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খাতে দুটি মঞ্জুরি দাবিতে আনা ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করেন। পরে কণ্ঠভোটে ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো নাকচ হয়ে যায়।
২৫ জুন সংসদে অর্থ বিল ২০২৩ পাসের মাধ্যমে বাজেটের আর্থিক ও কর প্রস্তাব সংক্রান্ত বিধিবিধান অনুমোদন করা হয়। আর ১ জুন নতুন ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।
এবারের বাজেটে সার্বিক ঘাটতি দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ। এ ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকসহ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা এবং বিদেশি উৎস থেকে ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। বাজেটে ৫ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে।