অনলাইন ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। তবে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে থাকবে। যেহেতু তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে, তাই বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন শুধু রুটিন ওয়ার্ক বা স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যাবে। এসময়ে সরকার কোনো নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না বা নতুন কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করবে না। তবে মন্ত্রিসভায় থাকা তিনজন টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন) মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় না থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া সরকারের যেসব মন্ত্রী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, তাদের সুযোগ-সুবিধা কিছু কমবে এবং নির্বাচনী প্রচারকাজে তারা সরকারি প্রটোকল পাবেন না।
যেহেতু তফসিলের পর সরকার শুধু রুটিন কাজ চালিয়ে যাবে, কোনো নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না বা নতুন প্রকল্পও উদ্বোধন করতে পারবে না, এজন্য গত কিছুদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেষ হওয়া বড় প্রকল্পগুলো উদ্বোধনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ৫(২) অনুচ্ছেদে বলা আছে, নির্বাচন কমিশন যে কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোনো দায়িত্ব পালনে বা সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দিতে পারবে। ৪৪(ঙ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল ঘোষণার পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার, পুলিশ সুপার এবং তাদের অধস্তন কর্মকর্তাকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া বদলি করা যাবে না। এছাড়া নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনবোধে যে কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলির ব্যবস্থা নিতে পারবে। ‘নির্বাচন কমিশন এ সময় নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১’ প্রয়োগ করতে পারবে।
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘যেহেতু গতকাল তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, তাই তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী কাজকর্ম নির্বাচন কমিশন দায়িত্বশীলভাবে করবে। নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী কাজে যেসব সরকারি বিভাগ, সংস্থা বা অফিস তাদের প্রয়োজন হবে এবং নির্বাচন প্রভাবিত হবে না সেসব কাজ করবে যে সরকার আছে সেই সরকার। এ সরকার রুটিন কাজগুলো করে যাবে।’ এর আগে, গতকাল বুধবার সন্ধায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তফসিল অনুযায়ী- মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।