ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমপি প্রার্থী হতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছাড়লেন আইজিপির ভাই

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
  • 46

সিনিয়র রিপোর্টার : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার লক্ষ্যে শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (আল-আমিন) ।

রোববার (১৯ নভেম্বর) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (আল-আমিন) সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। এরপর বিকালে তার পক্ষে মনোনয়ন ফরম কেনেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।

চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল-আমিন) বলেন, সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে আমি দীর্ঘদিন ধরে মাঠে কাজ করছি। নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আমি আশাবাদী। রোববার সকালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি এবং আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, আল-আমিন চৌধুরী ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন কিনা জানেন না কেউ। তারপরও তিনি শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হন। দলীয় কর্মকাণ্ড নিয়ে ও সাংগঠনিকভাবে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বলছেন, বর্তমানে আল-আমিন চৌধুরীর সঙ্গে যারা আছেন অধিকাংশই হচ্ছে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের লোক। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এখন যে উনি এমপি প্রার্থী হতে যাচ্ছেন, একমাত্র সম্বল তার আপন বড় ভাই পুলিশের প্রধান। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই, দিরাই-শাল্লার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ও উন্নয়নকে তরান্বিত করার লক্ষ্যে একজন যোগ্য ব্যক্তি প্রয়োজন।

শাল্লা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট দিপু রঞ্জন দাশ বলেন, আল-আমিন চৌধুরী ঢাকায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন, কিন্তু কোনো পদে ছিলেন কিনা জানি না। পরবর্তীতে জাতীয় নেতা প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের হাত ধরে শাল্লায় রাজনীতিতে আসেন এবং উনার নিজ কর্মদক্ষতায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন পেতে পুলিশ প্রধানের ভাই হিসেবে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েছে- এটা বিশ্বাস করি না। মনোনয়নে আইজিপির কোনো হস্তক্ষেপ নেই। উনি আওয়ামী লীগ পরিবারের লোক হিসেবে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অবদানেই মনোনয়ন পেতে পারেন।

শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সাত্তার মিয়া জানান, আল-আমিন চৌধুরীর বাবা মান্নান চৌধুরীর সঙ্গে আমরা রাজনীতি করেছি। উনি আওয়ামী লীগ পরিবারের লোক, কিন্তু ছাত্রজীবনে রাজনীতি করেছেন বলে আমার জানা নেই। আল-আমিন চৌধুরী শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর দলকে গোছানোর মতো সাংগঠনিক দক্ষতা বা প্রকৃত আওয়ামী লীগের ত্যাগী লোক তার সঙ্গে নেই। যারা আছেন তাদের কয়েকজন আওয়ামী লীগের তরুণ, বাকি সব বিএনপি মতাদর্শের। আল-আমিন চৌধুরী মানুষের আশানুরূপ সফলতা এনে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন

উল্লেখ্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করা চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপির) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের আপন ছোট ভাই। এছাড়াও তিনি তিনি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নুর-গোলাম পরওয়ারসহ ৩০২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

এমপি প্রার্থী হতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছাড়লেন আইজিপির ভাই

আপডেট সময় ০৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার লক্ষ্যে শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (আল-আমিন) ।

রোববার (১৯ নভেম্বর) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (আল-আমিন) সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। এরপর বিকালে তার পক্ষে মনোনয়ন ফরম কেনেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।

চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল-আমিন) বলেন, সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে আমি দীর্ঘদিন ধরে মাঠে কাজ করছি। নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আমি আশাবাদী। রোববার সকালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি এবং আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, আল-আমিন চৌধুরী ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন কিনা জানেন না কেউ। তারপরও তিনি শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হন। দলীয় কর্মকাণ্ড নিয়ে ও সাংগঠনিকভাবে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বলছেন, বর্তমানে আল-আমিন চৌধুরীর সঙ্গে যারা আছেন অধিকাংশই হচ্ছে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের লোক। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এখন যে উনি এমপি প্রার্থী হতে যাচ্ছেন, একমাত্র সম্বল তার আপন বড় ভাই পুলিশের প্রধান। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই, দিরাই-শাল্লার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ও উন্নয়নকে তরান্বিত করার লক্ষ্যে একজন যোগ্য ব্যক্তি প্রয়োজন।

শাল্লা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট দিপু রঞ্জন দাশ বলেন, আল-আমিন চৌধুরী ঢাকায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন, কিন্তু কোনো পদে ছিলেন কিনা জানি না। পরবর্তীতে জাতীয় নেতা প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের হাত ধরে শাল্লায় রাজনীতিতে আসেন এবং উনার নিজ কর্মদক্ষতায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন পেতে পুলিশ প্রধানের ভাই হিসেবে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েছে- এটা বিশ্বাস করি না। মনোনয়নে আইজিপির কোনো হস্তক্ষেপ নেই। উনি আওয়ামী লীগ পরিবারের লোক হিসেবে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অবদানেই মনোনয়ন পেতে পারেন।

শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সাত্তার মিয়া জানান, আল-আমিন চৌধুরীর বাবা মান্নান চৌধুরীর সঙ্গে আমরা রাজনীতি করেছি। উনি আওয়ামী লীগ পরিবারের লোক, কিন্তু ছাত্রজীবনে রাজনীতি করেছেন বলে আমার জানা নেই। আল-আমিন চৌধুরী শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর দলকে গোছানোর মতো সাংগঠনিক দক্ষতা বা প্রকৃত আওয়ামী লীগের ত্যাগী লোক তার সঙ্গে নেই। যারা আছেন তাদের কয়েকজন আওয়ামী লীগের তরুণ, বাকি সব বিএনপি মতাদর্শের। আল-আমিন চৌধুরী মানুষের আশানুরূপ সফলতা এনে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন

উল্লেখ্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করা চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপির) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের আপন ছোট ভাই। এছাড়াও তিনি তিনি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।