ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন : অযৌক্তিক কারণে কাউকে বদলি নয় 

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
  • 129
অনলাইন ডেস্ক : কোন যুক্তিতে আমরা সবাইকে বদলি করব! হাজার হাজার কর্মকর্তাদের বদলি করা হলে প্রশাসনে। আইন- শৃঙ্খলা রক্ষায়, দেশ পরিচালনায়, নির্বাচন পরিচালনায় যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে – এই দায়িত্ব কে নেবে? বলেন, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
বুধবার (২২ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রশাসনে রদবদলের কোনো চিন্তা আছে কি না – এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা নিজস্ব কিছু চিন্তাভাবনা থেকে এসব বলেন। আইনের ব্যাখ্যাটা হলো পুলিশের কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার এবং এর নিচের যত কর্মকর্তা আছেন, তারা নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া বদলি করতে পারবে না। এই হলো আদেশ।
তিনি বলেন, সবাই আমাদের অধীনে এসেছে এই আইনটা আপনারা কোথায় পেলেন, যদি একটু দয়া করে দেখাতে পারেন!দুই নম্বর হলো যদি নির্বাচন কমিশনের কাছে মনে হয় কোনো বিভাগের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর আচরণ অনিরপেক্ষ, নির্বাচনের বিপক্ষে তখন নির্বাচন কমিশন সেই বিভাগ বা সেই কর্তৃপক্ষকে তাকে সেখান থেকে বদলি করতে বলবে। তিন নম্বর হলো রিটার্নিং অফিসার কাদের নিয়ে নির্বাচন করবেন অর্থাৎ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের যে তালিকা করবেন সেটায় কাউকে অনুমতি ছাড়া বদলি করা যাবে না। এই হলো আইন।
তিনি আরও বলেন, একটা যুক্তি থাকতে হবে। তার বিরুদ্ধে স্পেসেফিক অভিযোগ থাকতে হবে। যদি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে তিনি নিরপেক্ষ নন, কারোর পক্ষে কাজ করছেন তখন দেখব। হাজার হাজার কর্মকর্তাদের বদলি করা হলে প্রশাসনে, আইন- শৃঙ্খলা রক্ষায়, দেশ পরিচালনায়, নির্বাচন পরিচালনায়, যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে এই দায়িত্ব কে নেবে? কোন যুক্তিতে আমরা সবাইকে বদলি করব। একটা যুক্তি তো থাকতে হবে। এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এছাড়া তাদের যে ভ্রমণভাতা, কে দেবে? কয়েকশো কোটি টাকা, এই টাকা কে দেবে? যার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকবে তাকে অবশ্যই বদলি করব, প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা হবে।
সরকারি দল নিজেদের মতন প্রশাসন সাজিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে – এই বিষয়ে তিনি বলেন, ১৯৭০ সাল থেকে এই অভিযোগ শুনছি। তখনো এই অভিযোগ করত। অযৌক্তিক কারণে কাউকে বদলি নয়। যদি যৌক্তিক থাকে যে এই অফিসার নিরপেক্ষ নয় সেগুলো সরিয়ে নেবে।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন : অযৌক্তিক কারণে কাউকে বদলি নয় 

আপডেট সময় ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
অনলাইন ডেস্ক : কোন যুক্তিতে আমরা সবাইকে বদলি করব! হাজার হাজার কর্মকর্তাদের বদলি করা হলে প্রশাসনে। আইন- শৃঙ্খলা রক্ষায়, দেশ পরিচালনায়, নির্বাচন পরিচালনায় যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে – এই দায়িত্ব কে নেবে? বলেন, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
বুধবার (২২ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রশাসনে রদবদলের কোনো চিন্তা আছে কি না – এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা নিজস্ব কিছু চিন্তাভাবনা থেকে এসব বলেন। আইনের ব্যাখ্যাটা হলো পুলিশের কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার এবং এর নিচের যত কর্মকর্তা আছেন, তারা নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া বদলি করতে পারবে না। এই হলো আদেশ।
তিনি বলেন, সবাই আমাদের অধীনে এসেছে এই আইনটা আপনারা কোথায় পেলেন, যদি একটু দয়া করে দেখাতে পারেন!দুই নম্বর হলো যদি নির্বাচন কমিশনের কাছে মনে হয় কোনো বিভাগের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর আচরণ অনিরপেক্ষ, নির্বাচনের বিপক্ষে তখন নির্বাচন কমিশন সেই বিভাগ বা সেই কর্তৃপক্ষকে তাকে সেখান থেকে বদলি করতে বলবে। তিন নম্বর হলো রিটার্নিং অফিসার কাদের নিয়ে নির্বাচন করবেন অর্থাৎ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের যে তালিকা করবেন সেটায় কাউকে অনুমতি ছাড়া বদলি করা যাবে না। এই হলো আইন।
তিনি আরও বলেন, একটা যুক্তি থাকতে হবে। তার বিরুদ্ধে স্পেসেফিক অভিযোগ থাকতে হবে। যদি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে তিনি নিরপেক্ষ নন, কারোর পক্ষে কাজ করছেন তখন দেখব। হাজার হাজার কর্মকর্তাদের বদলি করা হলে প্রশাসনে, আইন- শৃঙ্খলা রক্ষায়, দেশ পরিচালনায়, নির্বাচন পরিচালনায়, যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে এই দায়িত্ব কে নেবে? কোন যুক্তিতে আমরা সবাইকে বদলি করব। একটা যুক্তি তো থাকতে হবে। এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এছাড়া তাদের যে ভ্রমণভাতা, কে দেবে? কয়েকশো কোটি টাকা, এই টাকা কে দেবে? যার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকবে তাকে অবশ্যই বদলি করব, প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা হবে।
সরকারি দল নিজেদের মতন প্রশাসন সাজিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে – এই বিষয়ে তিনি বলেন, ১৯৭০ সাল থেকে এই অভিযোগ শুনছি। তখনো এই অভিযোগ করত। অযৌক্তিক কারণে কাউকে বদলি নয়। যদি যৌক্তিক থাকে যে এই অফিসার নিরপেক্ষ নয় সেগুলো সরিয়ে নেবে।