ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনিয়মের তদন্ত করতে ৩’শ অনুসন্ধান কমিটি নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
  • 58
অনলাইন ডেস্ক : নির্বাচনপূর্ব অনিয়মের তদন্ত করতে ৩০০ বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধান কমিটি নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতি জেলার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সিনিয়র সহকারী জজদের নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইসির আইন শাখার উপসচিব মো. আব্দুছ সালামের ২৩ নভেম্বর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে বিষয়টি জানা গেছে। নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠনের এই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।  এতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী অপরাধ, নির্বাচনী আচরণবিধি, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি বা পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত বা ব্যাহত করে এমন নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয়সমূহ অনুসন্ধান পূর্বক কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের লক্ষ্যে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৩০০ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি করা হলো।  
আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে ৩০০ আসনের জন্য ৩০০ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে ইসি। নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম সংঘটিত হলে তা অনুসন্ধানপূর্বক তৎমর্মে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে পাঠাবেন এবং সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসার ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে পাঠাবেন। এর পর তা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি কর্তৃক দায়িত্ব পালনকালে ১ জন বেঞ্চ সহকারী/ স্টেনোগ্রাফার/অফিস সহকারীকে সহকারী হিসেবে সঙ্গে নিতে পারবেন। এদিকে কমিটির কর্মকর্তাদের চাহিদা এবং প্রয়োজন অনুসারে সার্বক্ষণিকভাবে জিপগাড়ি বা মাইক্রোবাস বা স্পিডবোট এবং ক্ষেত্রমতে প্রয়োজনীয় যানবাহন সরবরাহের জন্য সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছে ইসি।  একইসঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে নিরাপত্তার স্বার্থে অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে পুলিশ বাহিনীর ২ জন অস্ত্রধারী সদস্যকে নিয়োগ করার জন্য সব পুলিশ কমিশনার বা পুলিশ সুপারকেও নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নুর-গোলাম পরওয়ারসহ ৩০২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

অনিয়মের তদন্ত করতে ৩’শ অনুসন্ধান কমিটি নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন

আপডেট সময় ০৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
অনলাইন ডেস্ক : নির্বাচনপূর্ব অনিয়মের তদন্ত করতে ৩০০ বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধান কমিটি নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতি জেলার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সিনিয়র সহকারী জজদের নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইসির আইন শাখার উপসচিব মো. আব্দুছ সালামের ২৩ নভেম্বর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে বিষয়টি জানা গেছে। নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠনের এই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।  এতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী অপরাধ, নির্বাচনী আচরণবিধি, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি বা পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত বা ব্যাহত করে এমন নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয়সমূহ অনুসন্ধান পূর্বক কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের লক্ষ্যে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৩০০ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি করা হলো।  
আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে ৩০০ আসনের জন্য ৩০০ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে ইসি। নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম সংঘটিত হলে তা অনুসন্ধানপূর্বক তৎমর্মে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে পাঠাবেন এবং সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসার ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে পাঠাবেন। এর পর তা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি কর্তৃক দায়িত্ব পালনকালে ১ জন বেঞ্চ সহকারী/ স্টেনোগ্রাফার/অফিস সহকারীকে সহকারী হিসেবে সঙ্গে নিতে পারবেন। এদিকে কমিটির কর্মকর্তাদের চাহিদা এবং প্রয়োজন অনুসারে সার্বক্ষণিকভাবে জিপগাড়ি বা মাইক্রোবাস বা স্পিডবোট এবং ক্ষেত্রমতে প্রয়োজনীয় যানবাহন সরবরাহের জন্য সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছে ইসি।  একইসঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে নিরাপত্তার স্বার্থে অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে পুলিশ বাহিনীর ২ জন অস্ত্রধারী সদস্যকে নিয়োগ করার জন্য সব পুলিশ কমিশনার বা পুলিশ সুপারকেও নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।