অনলাইন ডেস্ক : গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় সাড়ে ৯ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারাও রয়েছেন। ঢাকায় গ্রেফতার হয়েছেন ৩ হাজারের বেশি নেতাকর্মী। আইনজীবীরা বলছেন, তাদের জামিন শুনানিতে সময় লাগছে।
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন- দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তিন ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও শামসুজ্জামান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ, বিএনপির মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ অনেকে। আবার অনেকেই রয়েছেন আত্মগোপনে।
এখনো তাদের জামিনের খবর নেই। বারবার জামিন আবেদন করা হলেও সেটি মঞ্জুর করা হচ্ছে না। অবশ্য একটি মামলায় জামিন পেলেই বিএনপি নেতাদের মুক্তি নিশ্চিত নয়। কারণ একেকজন নেতার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ চাইলে অন্য মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখাতে পারবে। বিএনপির ১০ জন কেন্দ্রীয় নেতার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, নেতাদের আরও মামলায় গ্রেফতার দেখানো শুরু হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, রাজনৈতিক মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার না পেলে বিএনপির মহাসচিবসহ অন্যদের কারাগারে থাকতে হবে- এটাই বাস্তবতা।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) তাপস কুমার পাল গণমাধ্যমকে বলেন, কোনো ব্যক্তি মহানগর দায়রা জজ আদালতে গেলে জামিন আবেদনের শুনানির জন্য সাধারণত এক সপ্তাহের মতো সময় পরদিন ধার্য হতো।
তবে বর্তমানে দেরি হওয়ার ক্ষেত্রে দুটি কারণ আছে বলে মনে করেন তিনি। একটি হলো ডিসেম্বরে নিয়মিত বিচারিক আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সেই সময় জামিন বিষয়ে আট কার্যদিবস শুনানি নেবেন আদালত। এ কারণে জামিন শুনানির দিন পেতে সময় একটু বেশি লাগছে। দ্বিতীয় কারণটি হলো এখন মামলার চাপ বেশি।