ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাইকোর্টে জিতলেন  ড. ইউনূস, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদনের প্রস্তুতি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
  • 48
অনলাইন ডেস্ক : ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণের শ্রমিকদের ১০৩ কোটি টাকা দিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। তবে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিক চাইলে শ্রম আদালতে গিয়ে মামলা করতে পারবেন বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করার কথা জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী গোলাম রাব্বানী শরীফ। 
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল করে দেন। 
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১০৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ কল্যাণে কর্মরত ছিলেন। এ সময়ে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়। শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিল দিতে হবে। এ লভ্যাংশ না পাওয়ার কারণে ১০৩ কোটি টাকা দাবি করে প্রথমে তারা গ্রামীণ কল্যাণকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। 
এরপরও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা শ্রম আইনের ২৩১ ধারায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা (ব্যাখ্যামূলক) করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ এপ্রিল শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল রায় দেন। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাইকোর্টে রিটটি করেন। হাইকোর্টে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, আবদুল্লাহ আল মামুন ও খাজা তানভীর আহমেদ। অন্যদিকে ১০৬ কর্মীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও আইনজীবী গোলাম রাব্বানী শরীফ। 
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আহতদের দেখতে শনিবার পঙ্গু হাসপাতালে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

হাইকোর্টে জিতলেন  ড. ইউনূস, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদনের প্রস্তুতি

আপডেট সময় ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
অনলাইন ডেস্ক : ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণের শ্রমিকদের ১০৩ কোটি টাকা দিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। তবে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিক চাইলে শ্রম আদালতে গিয়ে মামলা করতে পারবেন বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করার কথা জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী গোলাম রাব্বানী শরীফ। 
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল করে দেন। 
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১০৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ কল্যাণে কর্মরত ছিলেন। এ সময়ে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়। শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিল দিতে হবে। এ লভ্যাংশ না পাওয়ার কারণে ১০৩ কোটি টাকা দাবি করে প্রথমে তারা গ্রামীণ কল্যাণকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। 
এরপরও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা শ্রম আইনের ২৩১ ধারায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা (ব্যাখ্যামূলক) করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ এপ্রিল শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল রায় দেন। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাইকোর্টে রিটটি করেন। হাইকোর্টে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, আবদুল্লাহ আল মামুন ও খাজা তানভীর আহমেদ। অন্যদিকে ১০৬ কর্মীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও আইনজীবী গোলাম রাব্বানী শরীফ।