ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিটুর নেতৃত্বে রূপালী লাইফ নিয়ে দ্বিতীয় বার কারসাজি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০১:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩
  • 179

গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির দায়ে অভিযুক্ত পুঁজিবাজারের বিতর্কিত বিনিয়োগকারী লুৎফুল গনি টিটু গংয়ের পাতানো ছকেই রূপালী লাইফ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো কারসাজি শুরু করেছে। টিটু গংয়ের নেতৃত্বে চক্রটি একের পর এক বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অর্থ হাতিয়ে নিতে চক্রটি রূপালী লাইফ ইন্সুরেন্সের শেয়ার নিয়ে প্রথম পর্যায়ে কারসাজি করে ২২০ টাকায় গেম্বলিং শেষ করলেও গত ২ দিনে শেয়ারটি নিয়ে আবারও কারসাজিতে নেমেছে। এরইমধ্যে দুর্বল কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬০ টাকা থেকে ২৪৯ টাকায় পৌঁছেছে। চক্রটি ৪০০ টাকা পর্যন্ত শেয়ারটির দর বাড়াতে বাজারে প্রচার করছে।

সরেজমিনে গতকাল কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজে পরিদর্শনে জানা যায়, টিুটুর নেতুত্বে বেশ কয়েকটি হাউজে শেয়ারটি নিয়ে কারসাজি করা হয়েছে। এরমধ্যে ইবিএল, শেলটেক ও ব্রাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট অন্যতম। এ হাউসগুলোর মাধ্যমে শেয়ার কেনাবেচা ও বিভিন্ন হাউজে দাম বাড়ার সংবাদ ছড়াচ্ছে চক্রটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনকোম্পানির শেয়ারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হলে কমিশন তদন্ত করে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়। এটা আমাদের রুটিন ওয়ার্ক।

তিনি বলেন, অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির ফলে রূপালী লাইফসহ আরও কয়েকটি কোম্পানি সন্দেহের তালিকায় রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বৃদ্ধির তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এর পেছনে যৌক্তিক কোনো কারণ আছে কি না তাও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। কমিশন কারসাজির প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নিবে।

বিনিয়োগকারীদের অনেকেই মনে করেন, বাজারে বড় ধরনের উত্থান-পতনের পেছনে একটি মহলের কারসাজি রয়েছে। বিনিয়োগকারী সেজে ছোট-বড় এসব চক্র দেশের পুঁজি বাজারে সক্রিয় রয়েছে।

এসব কথিত বিনিয়োগকারীরা (গ্যাম্বলার) লোভের ফাঁদে ফেলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অর্থ হাতানোর ছক কষছেন। কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে আকৃষ্ট করা হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের।

বিএসইসি সূত্র বলছে, একইভাবে টিটু ২০১৯ সালের ১ আগস্ট থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত সহযোগীদের নিয়ে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ায়। কারসাজির এই প্রক্রিয়ায় লুৎফুল গনি টিটু, তার স্ত্রী শাম্মি নেওয়াজ ও টিটুর প্রতিষ্ঠান সাতরং এগ্রো ফিশারিজ মোট ১ কোটি ১ লাখ ৩৬ হাজার ৪৫৭ টাকা মুনাফা করে।

ইতোমধ্যেই লুৎফুল গনি টিটু শেয়ার কারসাজির দায়ে অভিযুক্ত। তার দুটি কোম্পানিকে মোট ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ কারসাজিতে টিটুর স্ত্রীকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে বিএসইসির তদন্তে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ই দেখা যাচ্ছে, অনেক প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট শেয়ার কিনে নিয়ে কারসাজি করছে। তাদের কারসাজির কারণে সেসব শেয়ারের দাম বাড়ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ পুরো বাজার।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশ ও জনগণ একে অন্যের পরিপূরক : অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা)

টিটুর নেতৃত্বে রূপালী লাইফ নিয়ে দ্বিতীয় বার কারসাজি

আপডেট সময় ০১:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির দায়ে অভিযুক্ত পুঁজিবাজারের বিতর্কিত বিনিয়োগকারী লুৎফুল গনি টিটু গংয়ের পাতানো ছকেই রূপালী লাইফ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো কারসাজি শুরু করেছে। টিটু গংয়ের নেতৃত্বে চক্রটি একের পর এক বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অর্থ হাতিয়ে নিতে চক্রটি রূপালী লাইফ ইন্সুরেন্সের শেয়ার নিয়ে প্রথম পর্যায়ে কারসাজি করে ২২০ টাকায় গেম্বলিং শেষ করলেও গত ২ দিনে শেয়ারটি নিয়ে আবারও কারসাজিতে নেমেছে। এরইমধ্যে দুর্বল কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬০ টাকা থেকে ২৪৯ টাকায় পৌঁছেছে। চক্রটি ৪০০ টাকা পর্যন্ত শেয়ারটির দর বাড়াতে বাজারে প্রচার করছে।

সরেজমিনে গতকাল কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজে পরিদর্শনে জানা যায়, টিুটুর নেতুত্বে বেশ কয়েকটি হাউজে শেয়ারটি নিয়ে কারসাজি করা হয়েছে। এরমধ্যে ইবিএল, শেলটেক ও ব্রাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট অন্যতম। এ হাউসগুলোর মাধ্যমে শেয়ার কেনাবেচা ও বিভিন্ন হাউজে দাম বাড়ার সংবাদ ছড়াচ্ছে চক্রটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনকোম্পানির শেয়ারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হলে কমিশন তদন্ত করে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়। এটা আমাদের রুটিন ওয়ার্ক।

তিনি বলেন, অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির ফলে রূপালী লাইফসহ আরও কয়েকটি কোম্পানি সন্দেহের তালিকায় রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বৃদ্ধির তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এর পেছনে যৌক্তিক কোনো কারণ আছে কি না তাও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। কমিশন কারসাজির প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নিবে।

বিনিয়োগকারীদের অনেকেই মনে করেন, বাজারে বড় ধরনের উত্থান-পতনের পেছনে একটি মহলের কারসাজি রয়েছে। বিনিয়োগকারী সেজে ছোট-বড় এসব চক্র দেশের পুঁজি বাজারে সক্রিয় রয়েছে।

এসব কথিত বিনিয়োগকারীরা (গ্যাম্বলার) লোভের ফাঁদে ফেলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অর্থ হাতানোর ছক কষছেন। কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে আকৃষ্ট করা হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের।

বিএসইসি সূত্র বলছে, একইভাবে টিটু ২০১৯ সালের ১ আগস্ট থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত সহযোগীদের নিয়ে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ায়। কারসাজির এই প্রক্রিয়ায় লুৎফুল গনি টিটু, তার স্ত্রী শাম্মি নেওয়াজ ও টিটুর প্রতিষ্ঠান সাতরং এগ্রো ফিশারিজ মোট ১ কোটি ১ লাখ ৩৬ হাজার ৪৫৭ টাকা মুনাফা করে।

ইতোমধ্যেই লুৎফুল গনি টিটু শেয়ার কারসাজির দায়ে অভিযুক্ত। তার দুটি কোম্পানিকে মোট ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ কারসাজিতে টিটুর স্ত্রীকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে বিএসইসির তদন্তে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ই দেখা যাচ্ছে, অনেক প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট শেয়ার কিনে নিয়ে কারসাজি করছে। তাদের কারসাজির কারণে সেসব শেয়ারের দাম বাড়ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ পুরো বাজার।