ঢাকা , শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কা নেই: কাদের

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০২:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 63

সিনিয়র রিপোর্টার : দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে ঘিরে আওয়ামী লীগ সংঘাতের কোনো আশঙ্কা করছে না।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে কোনো সংঘাতের আশঙ্কা করছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত কয়েক মাস ধরে এ শহরে (ঢাকা) বিএনপিও সমাবেশ করেছে, আমরাও করেছি। আপনারা (সাংবাদিক) তো পাল্টাপাল্টি বলে নিউজও করেছেন। কিন্তু পাল্টাপাল্টি মারামারি কোথাও হয়নি। এখানে এক দলের সঙ্গে অন্য দলের কোনো সংঘাত হয়নি। তারা (বিএনপি) এ শহরে প্রথমে পদযাত্রা করেছে। পাশে আমাদের সমাবেশ হয়েছে। সেখানেও তো কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। ১০ তারিখ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এদিনে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছি। এখানে পাল্টাপাল্টির কী আছে? বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। এখানে কোনো পাল্টাপাল্টি বিষয় নেই। 


এ সময় পাল্টাপাল্টি কথাটা নিয়ে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রাখেন, এই ঢাকা শহরে পাল্টাপাল্টি কোনো সংঘাত হয়েছে হয়নি, এই ঢাকা শহরে দলে দলে কোনো সংঘাত হয়েছে হয়নি। তাহলে বলুন?  

বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ভালো করেই জানে,  বাধা দিয়ে নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না, পণ্ড করতে পারবে না। যে খারাপ মতলব নিয়ে এ নির্বাচনে বিরোধিতা করছে তারা, তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হবে না, এটা এরইমধ্যে প্রমাণ হয়ে গেছে। বিদেশি বন্ধুরাও বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচনকে সমানে রেখে দেশের কোথাও সংঘাত-সংঘর্ষ বা সহিংসতা প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেছে, ঘটে নাই। যেটুকু হচ্ছে সেটুকু নাশকতা এবং বিএনপি ও তার দোসররাই করে যাচ্ছে। নাশকতা পরাজিত হবে, জনগণের শক্তির বিজয় হবে। যুগে যুগে, দেশে-দেশে এটাই প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশেও এটার ব্যতিক্রম হবে না।

বিএনপি নির্বাচনে না আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটা বিষয় পরিষ্কার, বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েই এ নির্বাচন বয়কট করেছে। এখন আমরা কি করতে পারি? 

এর আগে গত শনিবার ঢাকায় সমাবেশের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, গেল বছরের ১০ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াতের হামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন। বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এ দিনে বিকালে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করা হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও সেখানে উপস্থিত থাকবেন।

অন্যদিকে গুম-খুনের শিকার এবং কারাবন্দি নেতাকর্মীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ১০ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের ব্যানারে সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি হতে পারে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তাল পাকিস্তান : সেনা মোতায়েন, সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হয়েছে

আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কা নেই: কাদের

আপডেট সময় ০২:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে ঘিরে আওয়ামী লীগ সংঘাতের কোনো আশঙ্কা করছে না।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে কোনো সংঘাতের আশঙ্কা করছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত কয়েক মাস ধরে এ শহরে (ঢাকা) বিএনপিও সমাবেশ করেছে, আমরাও করেছি। আপনারা (সাংবাদিক) তো পাল্টাপাল্টি বলে নিউজও করেছেন। কিন্তু পাল্টাপাল্টি মারামারি কোথাও হয়নি। এখানে এক দলের সঙ্গে অন্য দলের কোনো সংঘাত হয়নি। তারা (বিএনপি) এ শহরে প্রথমে পদযাত্রা করেছে। পাশে আমাদের সমাবেশ হয়েছে। সেখানেও তো কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। ১০ তারিখ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এদিনে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছি। এখানে পাল্টাপাল্টির কী আছে? বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। এখানে কোনো পাল্টাপাল্টি বিষয় নেই। 


এ সময় পাল্টাপাল্টি কথাটা নিয়ে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রাখেন, এই ঢাকা শহরে পাল্টাপাল্টি কোনো সংঘাত হয়েছে হয়নি, এই ঢাকা শহরে দলে দলে কোনো সংঘাত হয়েছে হয়নি। তাহলে বলুন?  

বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ভালো করেই জানে,  বাধা দিয়ে নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না, পণ্ড করতে পারবে না। যে খারাপ মতলব নিয়ে এ নির্বাচনে বিরোধিতা করছে তারা, তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হবে না, এটা এরইমধ্যে প্রমাণ হয়ে গেছে। বিদেশি বন্ধুরাও বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচনকে সমানে রেখে দেশের কোথাও সংঘাত-সংঘর্ষ বা সহিংসতা প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেছে, ঘটে নাই। যেটুকু হচ্ছে সেটুকু নাশকতা এবং বিএনপি ও তার দোসররাই করে যাচ্ছে। নাশকতা পরাজিত হবে, জনগণের শক্তির বিজয় হবে। যুগে যুগে, দেশে-দেশে এটাই প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশেও এটার ব্যতিক্রম হবে না।

বিএনপি নির্বাচনে না আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটা বিষয় পরিষ্কার, বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েই এ নির্বাচন বয়কট করেছে। এখন আমরা কি করতে পারি? 

এর আগে গত শনিবার ঢাকায় সমাবেশের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, গেল বছরের ১০ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াতের হামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন। বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এ দিনে বিকালে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করা হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও সেখানে উপস্থিত থাকবেন।

অন্যদিকে গুম-খুনের শিকার এবং কারাবন্দি নেতাকর্মীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ১০ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের ব্যানারে সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি হতে পারে।