অনলাইন ডেস্ক : আবারও বিএনপিতে ফেরার কোনো সম্ভাবনা আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেছেন, তওবা-আস্তাগফিরুল্লাহ।
শাহজাহান ওমর বলেন, (সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের পর থেকে) বিভিন্ন সময় আমি সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছি। অনেকেই আমাকে ফোনে কটূক্তি করেছে। আমাকে ফোনে না পেয়ে আমার মেয়েকে, আমার ছেলেকেও ফোনে অকথ্য কথাবার্তা বলছেন।
ডিগবাজীর কারণেই কি আপনি সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিগবাজি মানে কি ভাই? তখন এক সাংবাদিক বলেন, এক দল থেকে আরেক দলে যাওয়া। তখন শাহজাহান ওমর বলেন, এটাকে ডিগবাজি বলে নাকি! এটাতো আমার সাংবিধানিক অধিকার।
সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার প্রসঙ্গে নৌকার এ প্রার্থী বলেন, এটা ভুল বোঝাবুঝি। আমি তখন বলেছি, তোমরা আমার ফটো তুলেছো কেন? এখন তারা যদি লুকিয়ে লুকিয়ে ফটো তোলে তাহলে তো আমি বলবোই। সাংবাদিকদের সঙ্গে আমি দুর্ব্যবহার করিনি। কখনো প্রশ্নই ওঠে না। এখন আপনারা মিডিয়া পারসন হিসেবে আমাকে নানান প্রশ্ন করতেই পারেন। কিন্তু একজন সিনিয়র সিটিজেনের সঙ্গে সৌজন্যতাও তো দেখানো উচিত।
দল পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, একটা দল করা আর দল পরিবর্তন করা- এটা আমার সাংবিধানিক অধিকার। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, সাংবিধানিক স্বার্থে আমি দল পরিবর্তন করতেই পারি।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাত করতে সুপ্রিম কোর্টে যান শাহজাহান ওমর। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তিনি। যদিও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করার জন্যই সুপ্রিম কোর্টে এসেছিলেন- এমনটা অস্বীকার করে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে একটা কাজে এসেছিলাম।’
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে শাহজাহান ওমরের প্রবেশকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। পরবর্তীতে তাকে সেখান থেকে বের করে দেওয়ার খবরও এসেছে।