ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একজন নারীকেও প্রধান বিচারপতি করতে না পারায় আফসোস প্রধানমন্ত্রীর

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 122

সিনিয়র রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আক্ষেপ করে বলেন, ‌‘খুব ইচ্ছা ছিল, একজন নারীকে প্রধান বিচারপতি করে যাবো। কিন্তু আমাদের সমাজ এত বেশি কনজারভেটিভ, এগুলো ভাঙতে সময় লাগে। সেজন্য করতে পারেনি। এ আফসোসটা থেকে গেল।’

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া-২০২৩ পদক প্রদান অনুষ্ঠানে আফসোসের সুরে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশের নারীরা এশিয়ার দেশগুলোর শীর্ষে রয়েছে বলেও সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জুডিশিয়াল সার্ভিসে নারীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, এটাই ছিল পাকিস্তানের আইন। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা সমস্ত আইনগুলো পরিবর্তন করেন। আইন পরিবর্তনের পর থেকে আমাদের দেশের মেয়েরা জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগ দিতে পারছে। আমি সরকারের এসে দেখি, আমাদের উচ্চআদালতে কোনো নারী জজ নেই। তখন আমি উদ্যোগ নিলাম, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলেছি, আইনমন্ত্রীর সঙ্গেও বলেছি- উচ্চআদালতে কোনো জজ নিয়োগ দেওয়া হলে তাতে যদি কোনো নারী জজের নাম না থাকে, আমি কখনও ওই ফাইল সই করব না, রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবো না। সেই থেকে যাত্রা শুরু।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সময় মুসলমান মেয়েরা ঘরে অবরুদ্ধ থাকতো। লেখাপড়ার কোনো সুযোগ ছিল না। তার স্বামী সবসময় তাকে সহযোগিতা করেছেন। তার ভাই তাকে সহযোগিতা করেছেন। বেগম রোকেয়া তার স্বামীর কাছ থেকে আক্ষরিক জ্ঞান এবং বই পড়ার শিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি নিজের প্রচেষ্টায় তার স্বামীর কাছ থেকে উর্দু, বাংলা, আরবি, শিখেছেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি তার ভাইয়ের কাছ থেকেও অনুপ্রেরণা পান। তার স্বামীর নামে একটি স্কুল তৈরি করেন। স্কুল তৈরির পরও তাকে অনেক বাধাবিপত্তি মোকাবিলা করতে হয়। কারণ স্বামীর নামে যে স্কুল করেছিলেন, সেখানে ছাত্রী পড়ানো যেত না। তিনি নিজে বাড়ির বাইরে গিয়ে ছাত্রী সংগ্রহ করে নিয়ে আসতেন। এটা করতে গিয়ে অনেক পরিবারের বাধা এবং প্রতিবন্ধকতা এসেছে। তিনি দমে যাননি কখনও। বাংলাদেশের মেয়েরা আর পিছিয়ে নেই। খেলাধুলা থেকে রাজনীতি- সব ক্ষেত্রে নারীরা সফলতার সঙ্গে কাজ করছে। সাংবাদিকতা থেকে শিল্পকলা সব জায়গায় নারীরা সফল। এখন ইসলাম ধর্মের কথা বলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নারীদের কেউ আটকে রাখতে পারবে না।’

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা

একজন নারীকেও প্রধান বিচারপতি করতে না পারায় আফসোস প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় ০২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আক্ষেপ করে বলেন, ‌‘খুব ইচ্ছা ছিল, একজন নারীকে প্রধান বিচারপতি করে যাবো। কিন্তু আমাদের সমাজ এত বেশি কনজারভেটিভ, এগুলো ভাঙতে সময় লাগে। সেজন্য করতে পারেনি। এ আফসোসটা থেকে গেল।’

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া-২০২৩ পদক প্রদান অনুষ্ঠানে আফসোসের সুরে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশের নারীরা এশিয়ার দেশগুলোর শীর্ষে রয়েছে বলেও সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জুডিশিয়াল সার্ভিসে নারীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, এটাই ছিল পাকিস্তানের আইন। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা সমস্ত আইনগুলো পরিবর্তন করেন। আইন পরিবর্তনের পর থেকে আমাদের দেশের মেয়েরা জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগ দিতে পারছে। আমি সরকারের এসে দেখি, আমাদের উচ্চআদালতে কোনো নারী জজ নেই। তখন আমি উদ্যোগ নিলাম, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলেছি, আইনমন্ত্রীর সঙ্গেও বলেছি- উচ্চআদালতে কোনো জজ নিয়োগ দেওয়া হলে তাতে যদি কোনো নারী জজের নাম না থাকে, আমি কখনও ওই ফাইল সই করব না, রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবো না। সেই থেকে যাত্রা শুরু।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সময় মুসলমান মেয়েরা ঘরে অবরুদ্ধ থাকতো। লেখাপড়ার কোনো সুযোগ ছিল না। তার স্বামী সবসময় তাকে সহযোগিতা করেছেন। তার ভাই তাকে সহযোগিতা করেছেন। বেগম রোকেয়া তার স্বামীর কাছ থেকে আক্ষরিক জ্ঞান এবং বই পড়ার শিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি নিজের প্রচেষ্টায় তার স্বামীর কাছ থেকে উর্দু, বাংলা, আরবি, শিখেছেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি তার ভাইয়ের কাছ থেকেও অনুপ্রেরণা পান। তার স্বামীর নামে একটি স্কুল তৈরি করেন। স্কুল তৈরির পরও তাকে অনেক বাধাবিপত্তি মোকাবিলা করতে হয়। কারণ স্বামীর নামে যে স্কুল করেছিলেন, সেখানে ছাত্রী পড়ানো যেত না। তিনি নিজে বাড়ির বাইরে গিয়ে ছাত্রী সংগ্রহ করে নিয়ে আসতেন। এটা করতে গিয়ে অনেক পরিবারের বাধা এবং প্রতিবন্ধকতা এসেছে। তিনি দমে যাননি কখনও। বাংলাদেশের মেয়েরা আর পিছিয়ে নেই। খেলাধুলা থেকে রাজনীতি- সব ক্ষেত্রে নারীরা সফলতার সঙ্গে কাজ করছে। সাংবাদিকতা থেকে শিল্পকলা সব জায়গায় নারীরা সফল। এখন ইসলাম ধর্মের কথা বলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নারীদের কেউ আটকে রাখতে পারবে না।’

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।