ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত: সজীব ওয়াজেদ

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 122

সিনিয়র রিপোর্টার : শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) নিজের ভ্যারিফাইড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে সিআরআই চেয়ারপারসন সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই এমন দাবি করে আসন্ন নির্বাচন বানচালে অগ্নিসংযোগসহ সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। অথচ তারা নিজেরাই নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আন্দোলন ডেকে নিজেদের ঘরোয়া সভা-সমাবেশ করছে। তারপর দুর্ঘটনা ঘটাতে গাড়ি ও ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করছে।

ওই পোস্টের সঙ্গে পাঁচ মিনিটের একটি ভিডিও সংযুক্ত করা হয়েছে। ভিডিওর বিবরণে বলা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ও ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, বিএনপি-জামায়াতের বেশিরভাগ মিছিলেই ২০-৩০ জনের বেশি জমায়েত ছিল না। যাতে বোঝা যায়, জনগণ তাদের দাবির সঙ্গে একমত নয়। সাধারণ জনগণ তাদের কর্মসূচিতে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করছেন। ২০২২ সাল থেকে তারা একাধিক কর্মসূচি ডাকলেও সেগুলো ছিল জনসমর্থনহীন। জনগণের সমর্থন হারিয়ে বিএনপি-জামায়াত সরকারকে বিভিন্ন হুমকি ও আল্টিমেটাম দেওয়ার পাশাপাশি সহিংসতার হুমকিও দিচ্ছে।

ওই পোস্টে জয় আরও লিখেন, আমান উল্লাহ আমান গত বছর বলেছিলেন, ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে দেশ চলবে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে। ওই সময়ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। মূলত দলটির দীর্ঘ মেয়াদি সহিংসতার পূর্বাভাস ছিল ওই আল্টিমেটাম। ভিডিওতে বলা হয়, বিএনপি নেতারা প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবার নিয়েও বিভিন্ন সময় হুমকিধামকি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। মির্জা ফখরুলের সঙ্গে একই মঞ্চে থাকা নেতা প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিয়েছেন ১৯৭৫ সালের মতো ঘটনা ফের ঘটানোর। যদিও পরবর্তীতে তাকে দল থেকে তিরস্কার করা হয়েছে। এমনকি এই ঘটনাকে সরকারেরই কাজ বলেও অভিহিত করেন বিএনপি নেতারা।

রাজশাহীতে বিএনপির নেতা আবু সাইদ চাঁদের হুমকি দেওয়া ওই বক্তব্যের সমর্থনে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে রুমিন ফারহানা বলেন, ’আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করতে চাঁদ ওই বক্তব্য দিয়ে থাকতে পারেন। সন্ধ্যার পর ও রাতে ’হিট আ্যান্ড রান’ পদ্ধতিতে হামলা চালানো হয়েছে। চার থেকে পাঁচজন মোটরসাইকেলে করে এসে আগুন দিয়ে পালিয়েছে।

ভিডিওর বিবরণে বলা হয়, গত এক মাসের মধ্যে এরকম ঘটনার সময় বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মীকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। তাদের কারো কারো কাছে পেট্রোল বোমা পাওয়া গেছে। যদিও বিএনপি বিভিন্ন মিশনে চিঠি পাঠিয়ে দাবি করেছে, এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগ জড়িত। সেখানে বিএনপি তাদের নেতা হিসেবে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানের উদ্ধৃতি দিয়েছেন, অথচ তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রেখেছিলেন।

বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে মিয়া আরেফি নামে এক ব্যক্তি বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে দেশে শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনসহ সরকার বিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য দেন জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ওই ঘটনার নেপথ্যের কারণ বেরিয়ে এলে সেটি বিএনপিকে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে ফেলে।

রুহুল কবির রিজভী থেকে শুরু করে বিএনপির ভ্যারিফাইড বিভিন্ন পেজে দাবি করা হচ্ছে, চলমান সহিংসতায় জড়িত সরকার। অথচ সুশীল সমাজ ও সংখ্যালঘু সমাজের উদ্বেগের বিষয়ে তারা চুপ। ২৮ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর নেতারা প্রকাশ্যে শরীয়াহ আইন করার কথাও জানায়। নির্বাচন বানচালে বিএনপি-জামায়াত নানা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ৩১ অক্টোবর থেকে তাদের সঙ্গে যৌথ কর্মসূচি পালন করছে জামায়াত। দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেক রহমান নানাভাবে সাফাই দিয়ে আসছেন। যা তার বিশ্বাসযোগ্যতাকেও ক্ষুন্ন করেছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা

নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত: সজীব ওয়াজেদ

আপডেট সময় ০৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) নিজের ভ্যারিফাইড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে সিআরআই চেয়ারপারসন সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই এমন দাবি করে আসন্ন নির্বাচন বানচালে অগ্নিসংযোগসহ সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। অথচ তারা নিজেরাই নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আন্দোলন ডেকে নিজেদের ঘরোয়া সভা-সমাবেশ করছে। তারপর দুর্ঘটনা ঘটাতে গাড়ি ও ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করছে।

ওই পোস্টের সঙ্গে পাঁচ মিনিটের একটি ভিডিও সংযুক্ত করা হয়েছে। ভিডিওর বিবরণে বলা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ও ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, বিএনপি-জামায়াতের বেশিরভাগ মিছিলেই ২০-৩০ জনের বেশি জমায়েত ছিল না। যাতে বোঝা যায়, জনগণ তাদের দাবির সঙ্গে একমত নয়। সাধারণ জনগণ তাদের কর্মসূচিতে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করছেন। ২০২২ সাল থেকে তারা একাধিক কর্মসূচি ডাকলেও সেগুলো ছিল জনসমর্থনহীন। জনগণের সমর্থন হারিয়ে বিএনপি-জামায়াত সরকারকে বিভিন্ন হুমকি ও আল্টিমেটাম দেওয়ার পাশাপাশি সহিংসতার হুমকিও দিচ্ছে।

ওই পোস্টে জয় আরও লিখেন, আমান উল্লাহ আমান গত বছর বলেছিলেন, ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে দেশ চলবে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে। ওই সময়ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। মূলত দলটির দীর্ঘ মেয়াদি সহিংসতার পূর্বাভাস ছিল ওই আল্টিমেটাম। ভিডিওতে বলা হয়, বিএনপি নেতারা প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবার নিয়েও বিভিন্ন সময় হুমকিধামকি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। মির্জা ফখরুলের সঙ্গে একই মঞ্চে থাকা নেতা প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিয়েছেন ১৯৭৫ সালের মতো ঘটনা ফের ঘটানোর। যদিও পরবর্তীতে তাকে দল থেকে তিরস্কার করা হয়েছে। এমনকি এই ঘটনাকে সরকারেরই কাজ বলেও অভিহিত করেন বিএনপি নেতারা।

রাজশাহীতে বিএনপির নেতা আবু সাইদ চাঁদের হুমকি দেওয়া ওই বক্তব্যের সমর্থনে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে রুমিন ফারহানা বলেন, ’আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করতে চাঁদ ওই বক্তব্য দিয়ে থাকতে পারেন। সন্ধ্যার পর ও রাতে ’হিট আ্যান্ড রান’ পদ্ধতিতে হামলা চালানো হয়েছে। চার থেকে পাঁচজন মোটরসাইকেলে করে এসে আগুন দিয়ে পালিয়েছে।

ভিডিওর বিবরণে বলা হয়, গত এক মাসের মধ্যে এরকম ঘটনার সময় বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মীকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। তাদের কারো কারো কাছে পেট্রোল বোমা পাওয়া গেছে। যদিও বিএনপি বিভিন্ন মিশনে চিঠি পাঠিয়ে দাবি করেছে, এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগ জড়িত। সেখানে বিএনপি তাদের নেতা হিসেবে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানের উদ্ধৃতি দিয়েছেন, অথচ তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রেখেছিলেন।

বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে মিয়া আরেফি নামে এক ব্যক্তি বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে দেশে শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনসহ সরকার বিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য দেন জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ওই ঘটনার নেপথ্যের কারণ বেরিয়ে এলে সেটি বিএনপিকে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে ফেলে।

রুহুল কবির রিজভী থেকে শুরু করে বিএনপির ভ্যারিফাইড বিভিন্ন পেজে দাবি করা হচ্ছে, চলমান সহিংসতায় জড়িত সরকার। অথচ সুশীল সমাজ ও সংখ্যালঘু সমাজের উদ্বেগের বিষয়ে তারা চুপ। ২৮ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর নেতারা প্রকাশ্যে শরীয়াহ আইন করার কথাও জানায়। নির্বাচন বানচালে বিএনপি-জামায়াত নানা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ৩১ অক্টোবর থেকে তাদের সঙ্গে যৌথ কর্মসূচি পালন করছে জামায়াত। দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেক রহমান নানাভাবে সাফাই দিয়ে আসছেন। যা তার বিশ্বাসযোগ্যতাকেও ক্ষুন্ন করেছে।