ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে রিট

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 71

সিনিয়র রিপোর্টার : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দাায়ের করা হয়েছে। এই ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলার পরীক্ষার্থীরা অংশ নেয়। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) পরীক্ষার্থীদের পক্ষে রিট করেন ফাতেমা আক্তার সাথী।

এর আগে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) প্রথম ধাপের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে দেড় শতাধিক চাকরিপ্রত্যাশী। তারা বলেন, চলমান হরতাল-অবরোধে পরীক্ষা গ্রহণ, বৈরী আবহাওয়ার কারণে দূরপাল্লার গাড়ি না পাওয়া, প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস না পাওয়া, প্রবেশপত্রের কারণে হলে প্রবেশ করতে না পারা ও পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রশ্ন বাইরে চলে যাওয়াসহ নানা ঘটনা ঘটেছে। এতে দেড় লাখেরও বেশি প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।

সেদিন মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেওয়া ফাতেমা আক্তার বলেছিলেন, কয়েক দফা পিছিয়ে হরতাল-অবরোধের মধ্যে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। অথচ একই কারণে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। সমন্বিত ৭ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষাও পেছানো হয়। আবার পরীক্ষায় প্রক্সিসহ ব্যাপক অনিয়ম-জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এজন্য আমরা আইনগতভাবে এ পরীক্ষা বাতিলের জন্য হাইকোর্টে রিট করব। এর একদিন পরই রিট দায়ের করেন সাথী।

রিট আবেদনে বলা হয়, গত ৮ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম ধাপে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস, ডিভাইস জালিয়াতি, প্রক্সি ও দুর্নীতির তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তাই এ পরীক্ষা বাতিল করার আদেশ দেওয়া হোক।

প্রথম ধাপেরে এই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন চাকরিপ্রত্যাশী। হরতাল, অবরোধ, বৈরি আবহাওয়া ও দূরপাল্লার গাড়ি বন্ধ থাকার কারণে এতে অনেক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। আবার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায় এই পরীক্ষায় অনেকে সুবিধা নিয়েছেন। ফলে সাধারণ পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে ডিজিটাল পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ১২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের মধ্যে রংপুর বিভাগের ৯৬ জন ও বরিশাল বিভাগের ২৮ জন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নুর-গোলাম পরওয়ারসহ ৩০২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

আজ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে রিট

আপডেট সময় ০৫:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দাায়ের করা হয়েছে। এই ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলার পরীক্ষার্থীরা অংশ নেয়। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) পরীক্ষার্থীদের পক্ষে রিট করেন ফাতেমা আক্তার সাথী।

এর আগে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) প্রথম ধাপের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে দেড় শতাধিক চাকরিপ্রত্যাশী। তারা বলেন, চলমান হরতাল-অবরোধে পরীক্ষা গ্রহণ, বৈরী আবহাওয়ার কারণে দূরপাল্লার গাড়ি না পাওয়া, প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস না পাওয়া, প্রবেশপত্রের কারণে হলে প্রবেশ করতে না পারা ও পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রশ্ন বাইরে চলে যাওয়াসহ নানা ঘটনা ঘটেছে। এতে দেড় লাখেরও বেশি প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।

সেদিন মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেওয়া ফাতেমা আক্তার বলেছিলেন, কয়েক দফা পিছিয়ে হরতাল-অবরোধের মধ্যে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। অথচ একই কারণে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। সমন্বিত ৭ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষাও পেছানো হয়। আবার পরীক্ষায় প্রক্সিসহ ব্যাপক অনিয়ম-জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এজন্য আমরা আইনগতভাবে এ পরীক্ষা বাতিলের জন্য হাইকোর্টে রিট করব। এর একদিন পরই রিট দায়ের করেন সাথী।

রিট আবেদনে বলা হয়, গত ৮ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম ধাপে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস, ডিভাইস জালিয়াতি, প্রক্সি ও দুর্নীতির তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তাই এ পরীক্ষা বাতিল করার আদেশ দেওয়া হোক।

প্রথম ধাপেরে এই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন চাকরিপ্রত্যাশী। হরতাল, অবরোধ, বৈরি আবহাওয়া ও দূরপাল্লার গাড়ি বন্ধ থাকার কারণে এতে অনেক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। আবার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায় এই পরীক্ষায় অনেকে সুবিধা নিয়েছেন। ফলে সাধারণ পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে ডিজিটাল পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ১২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের মধ্যে রংপুর বিভাগের ৯৬ জন ও বরিশাল বিভাগের ২৮ জন।