ঢাকা , বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর চেয়ে স্বতন্ত্র বেশি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 119

সিনিয়র রিপোর্টার : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ৩০০ আসনে লড়ছেন ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) শেষ হয়েছে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়। দলীয় প্রতীকের বাইরে এই নির্বাচনের বড় অংশই স্বতন্ত্র। যার সংখ্যা প্রায় চারশ‘র কাছাকাছি। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দ। এরপর থেকে শুরু হবে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার।

এবারে নির্বাচনে ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে প্রার্থী আছে ২৭টি দলের। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আছে ২৬৩ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন দলটির আরও ২৬৯ জন নেতা। যাঁরা ইতিমধ্যে ‘আওয়ামী স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে ভোটের মাঠে পরিচিতি পেয়েছেন। এর মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য রয়েছেন ২৮ জন। যাঁরা এবার দলের মনোনয়ন পাননি। আবার কোনো কোনো আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা। আওয়ামী লীগের নেতাদের বাইরেও কেউ কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাই বা ইসির আপিলে যাঁরা প্রার্থিতা হারিয়েছেন, তাঁরা উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। ভোটের আগে উচ্চ আদালতের রায়ে কেউ প্রার্থিতা ফিরে পেলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।

২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৮৬১ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ১২৮ জন। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ৩৯টি দলের প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৭৩৩ জন। এবার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর অনেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনও বর্জন করেছিল বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। ওই নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে বিনা ভোটে জয় পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা। এবার যাতে কোনো আসনে কেউ বিনা ভোটে নির্বাচিত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক আওয়ামী লীগ। এ জন্য এবার দলীয় নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে নিষেধ করা হয়নি। ক্ষেত্রবিশেষে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার ৩০০ সংসদীয় আসনে ২ হাজার ৭১৬টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাছাইয়ে ৭৩১টি বাতিল হয়। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান ২৮০ জন। বাছাইয়ে বৈধ হওয়ার পরও আপিলে বাদ পড়েন ৫ জন। রবিবার ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন সারা দেশে ৩৪৭ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।

রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, আজ প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে এখন মোট বৈধ প্রার্থী আছেন ১ হাজার ৮৯৬ জন। ২৭টি নিবন্ধিত দলের প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচটি মনোনয়ন স্থগিত আছে। তবে কোন দলের কতজন, স্বতন্ত্র প্রার্থী কতজন তার হিসাব সোমবারের আগে দেওয়া সম্ভব হবে না। তারা শুধু মোট প্রার্থীর সংখ্যা জানিয়েছে।

এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় দল আওয়ামী লীগ শুরুতে ২৯৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। বাছাই ও আপিল শেষে তাদের বৈধ প্রার্থী ছিল ২৯৩ জন। সমঝোতার মাধ্যমে ১৪–দলীয় জোটের শরিক এবং বর্তমান সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে ৩২টি আসন ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এসব আসনের দুটিতে আগ থেকেই আওয়ামী লীগ (নৌকা প্রতীকের) প্রার্থী দেয়নি। বাকি ৩০টি আসনে রবিবার নৌকার প্রার্থীরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এখন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আছে ২৬৩ আসনে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

জেনেভা ক্যাম্পে গুলিবিদ্ধ কিশোর মারা গেছে

আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর চেয়ে স্বতন্ত্র বেশি

আপডেট সময় ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ৩০০ আসনে লড়ছেন ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) শেষ হয়েছে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়। দলীয় প্রতীকের বাইরে এই নির্বাচনের বড় অংশই স্বতন্ত্র। যার সংখ্যা প্রায় চারশ‘র কাছাকাছি। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দ। এরপর থেকে শুরু হবে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার।

এবারে নির্বাচনে ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে প্রার্থী আছে ২৭টি দলের। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আছে ২৬৩ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন দলটির আরও ২৬৯ জন নেতা। যাঁরা ইতিমধ্যে ‘আওয়ামী স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে ভোটের মাঠে পরিচিতি পেয়েছেন। এর মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য রয়েছেন ২৮ জন। যাঁরা এবার দলের মনোনয়ন পাননি। আবার কোনো কোনো আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা। আওয়ামী লীগের নেতাদের বাইরেও কেউ কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাই বা ইসির আপিলে যাঁরা প্রার্থিতা হারিয়েছেন, তাঁরা উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। ভোটের আগে উচ্চ আদালতের রায়ে কেউ প্রার্থিতা ফিরে পেলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।

২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৮৬১ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ১২৮ জন। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ৩৯টি দলের প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৭৩৩ জন। এবার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর অনেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনও বর্জন করেছিল বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। ওই নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে বিনা ভোটে জয় পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা। এবার যাতে কোনো আসনে কেউ বিনা ভোটে নির্বাচিত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক আওয়ামী লীগ। এ জন্য এবার দলীয় নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে নিষেধ করা হয়নি। ক্ষেত্রবিশেষে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার ৩০০ সংসদীয় আসনে ২ হাজার ৭১৬টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাছাইয়ে ৭৩১টি বাতিল হয়। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান ২৮০ জন। বাছাইয়ে বৈধ হওয়ার পরও আপিলে বাদ পড়েন ৫ জন। রবিবার ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন সারা দেশে ৩৪৭ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।

রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, আজ প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে এখন মোট বৈধ প্রার্থী আছেন ১ হাজার ৮৯৬ জন। ২৭টি নিবন্ধিত দলের প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচটি মনোনয়ন স্থগিত আছে। তবে কোন দলের কতজন, স্বতন্ত্র প্রার্থী কতজন তার হিসাব সোমবারের আগে দেওয়া সম্ভব হবে না। তারা শুধু মোট প্রার্থীর সংখ্যা জানিয়েছে।

এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় দল আওয়ামী লীগ শুরুতে ২৯৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। বাছাই ও আপিল শেষে তাদের বৈধ প্রার্থী ছিল ২৯৩ জন। সমঝোতার মাধ্যমে ১৪–দলীয় জোটের শরিক এবং বর্তমান সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে ৩২টি আসন ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এসব আসনের দুটিতে আগ থেকেই আওয়ামী লীগ (নৌকা প্রতীকের) প্রার্থী দেয়নি। বাকি ৩০টি আসনে রবিবার নৌকার প্রার্থীরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এখন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আছে ২৬৩ আসনে।