ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের সংসদ থেকে ৩০ জনের বেশি এমপিকে বরখাস্ত করেছেন স্পিকার

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৮:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 69
অনলাইন ডেস্ক :  ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নক্ষ লোকসভা থেকে শীতকালীন অধিবেশনের জন্য অন্তত ৩০ জনের বেশি এমপিকে বরখাস্ত করেছেন স্পিকার ওম বিড়লা। গত সপ্তাহে লোকসভার নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে দুজন ব্যক্তি হলুদ রংয়ের ‘রং বোমা’ ছুড়ে ‘তানাশাহি নেহি চলেগি’ (স্বৈরতন্ত্র চলবে না) স্লোগানে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তৃতার মাঝেই নতুন সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সরব হন বিরোধী এমপিরা। তুমুল চিৎকার শুরু হয় সংসদ কক্ষে। প্রথমে ভারতীয় সময় দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট, পরে তিনটা পর্যন্ত সভার কাজ মুলতুবি করে দেন স্পিকার। তার পরেও পরিস্থিতি উত্তেজিত থাকায় ৩০ জনের বেশি এমপিকে বরখাস্ত করেন স্পিকার।
আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে শীতকালীন অধিবেশন। তত দিন এই এমপিরা অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি। গত সপ্তাহে ১৩ জন বিরোধী এমপিকে বরখাস্ত করার পর ফের নতুন করে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া বিশেষাধিকার কমিটির প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত আরও তিন সংসদ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মানে হল, মোট ৪৬ জন এমপিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৩ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে শুধু নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য চাওয়ার কারণে। বরখাস্ত হওয়া এমপিদের মধ্যে রয়েছেন লোকসভার কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও সংসদে দলের উপনেতা গৌরব গগৈ। তৃণমূল এমপি কল্যাণ ব্যানার্জী, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায় ও শতাব্দী রায় এবং ডিএমকে সদস্য এ রাজা ও দয়ানিধি মারান। গণমাধ্যমকে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, সরকার স্বৈরাচারী আচরণ করছে। সংসদকে বিজেপির সদর দপ্তরের মতো বানিয়ে ফেলেছে তারা। অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকেই বিরোধীরা সরকারকে সহযোগিতা করছে।
ট্যাগস

আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভারতের সংসদ থেকে ৩০ জনের বেশি এমপিকে বরখাস্ত করেছেন স্পিকার

আপডেট সময় ০৮:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
অনলাইন ডেস্ক :  ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নক্ষ লোকসভা থেকে শীতকালীন অধিবেশনের জন্য অন্তত ৩০ জনের বেশি এমপিকে বরখাস্ত করেছেন স্পিকার ওম বিড়লা। গত সপ্তাহে লোকসভার নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে দুজন ব্যক্তি হলুদ রংয়ের ‘রং বোমা’ ছুড়ে ‘তানাশাহি নেহি চলেগি’ (স্বৈরতন্ত্র চলবে না) স্লোগানে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তৃতার মাঝেই নতুন সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সরব হন বিরোধী এমপিরা। তুমুল চিৎকার শুরু হয় সংসদ কক্ষে। প্রথমে ভারতীয় সময় দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট, পরে তিনটা পর্যন্ত সভার কাজ মুলতুবি করে দেন স্পিকার। তার পরেও পরিস্থিতি উত্তেজিত থাকায় ৩০ জনের বেশি এমপিকে বরখাস্ত করেন স্পিকার।
আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে শীতকালীন অধিবেশন। তত দিন এই এমপিরা অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি। গত সপ্তাহে ১৩ জন বিরোধী এমপিকে বরখাস্ত করার পর ফের নতুন করে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া বিশেষাধিকার কমিটির প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত আরও তিন সংসদ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মানে হল, মোট ৪৬ জন এমপিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৩ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে শুধু নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য চাওয়ার কারণে। বরখাস্ত হওয়া এমপিদের মধ্যে রয়েছেন লোকসভার কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও সংসদে দলের উপনেতা গৌরব গগৈ। তৃণমূল এমপি কল্যাণ ব্যানার্জী, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায় ও শতাব্দী রায় এবং ডিএমকে সদস্য এ রাজা ও দয়ানিধি মারান। গণমাধ্যমকে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, সরকার স্বৈরাচারী আচরণ করছে। সংসদকে বিজেপির সদর দপ্তরের মতো বানিয়ে ফেলেছে তারা। অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকেই বিরোধীরা সরকারকে সহযোগিতা করছে।