ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনগণ বিএনপির বিরুদ্ধে অসহযোগ শুরু করেছে : ওবায়দুল কাদের

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 35

সিনিয়র রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনের মাঠ থেকে পলাতক দল বিএনপি এখন অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। যে দল আন্দোলনের আসর থেকে পালিয়ে গেল, এখন সেই দল অসহযোগ করবে। জনগণ তাদের বিরুদ্ধে অসহযোগ শুরু করেছে। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বিরোধীদের বিরুদ্ধে অসহযোগ শুরু হয়েছে। তার প্রমাণ বাংলাদেশের হাট বাজার দোকান পাটে যান দেখবেন জীবনযাত্রা স্বাভাবিক।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা’র ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সে সময় বর্তমান সরকারকে এখন থেকে আর কোনো সহযোগিতা না করতে প্রশাসন ও দেশবাসীকে আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা বলতেন শেখ হাসিনা পালিয়ে যাচ্ছে, মন্ত্রীরা পালিয়ে যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাচ্ছে, পালাবার কোনো অলি গলিও খুঁজে পাবে না। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল পল্টনে ২৮ তারিখে কি যে দৌড় বিএনপি নেতাদের, এখানে গিয়ে পরে, ওখানে গিয়ে পরে। তাদের কথা শুনলে দেশের মানুষ হাসে। বিএনপির ডাকে জনগণ আগেও সাড়া দেয়নি। হরতাল-অবরোধে সবকিছু চলেছে। জনগণ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ট্যাক্স-বিল যাদের বাকি, ঋণ নিয়ে যারা পালিয়েছে তাদের তালিকা করে সব আদায় করা হবে। কেউ ছাড় পাবে না। গুপ্ত হামলা বন্ধ না করলে জনগণ ধরে ধরে প্রতিহত করে গণশাস্তি দেবে। জনগণ নির্বাচন পন্ড করতে দেবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান টেমস নদীর ওপার থেকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। দেশে এসে মানুষকে মোকাবিলা করে জেলে যাওয়ার সাহস অর্জন করুক। রিমোট কন্ট্রোল নেতা দিয়ে রাজনীতি হয় না।

নির্বাচনি আচরণ বিধি মেনে চলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জানিয়ে কাদের বলেন, তিনি বুধবার সাধারণ যাত্রীর মতো বিমানের টিকিট কেটে সিলেট গেছেন। সরকারি কোনো খরচ নেননি। তার সঙ্গে যারা গেছেন তারাও নিজ খরচে গেছেন। সার্কিট হাউজের ভাড়াও পরিশোধ করেছেন। কোনো দলীয় পতাকা ব্যবহার করেননি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা.রোকেয়া সুলতানা, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্য নির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন ও তারানা হালিম প্রমুখ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নুর-গোলাম পরওয়ারসহ ৩০২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

জনগণ বিএনপির বিরুদ্ধে অসহযোগ শুরু করেছে : ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় ০৪:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনের মাঠ থেকে পলাতক দল বিএনপি এখন অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। যে দল আন্দোলনের আসর থেকে পালিয়ে গেল, এখন সেই দল অসহযোগ করবে। জনগণ তাদের বিরুদ্ধে অসহযোগ শুরু করেছে। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বিরোধীদের বিরুদ্ধে অসহযোগ শুরু হয়েছে। তার প্রমাণ বাংলাদেশের হাট বাজার দোকান পাটে যান দেখবেন জীবনযাত্রা স্বাভাবিক।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা’র ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সে সময় বর্তমান সরকারকে এখন থেকে আর কোনো সহযোগিতা না করতে প্রশাসন ও দেশবাসীকে আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা বলতেন শেখ হাসিনা পালিয়ে যাচ্ছে, মন্ত্রীরা পালিয়ে যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাচ্ছে, পালাবার কোনো অলি গলিও খুঁজে পাবে না। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল পল্টনে ২৮ তারিখে কি যে দৌড় বিএনপি নেতাদের, এখানে গিয়ে পরে, ওখানে গিয়ে পরে। তাদের কথা শুনলে দেশের মানুষ হাসে। বিএনপির ডাকে জনগণ আগেও সাড়া দেয়নি। হরতাল-অবরোধে সবকিছু চলেছে। জনগণ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ট্যাক্স-বিল যাদের বাকি, ঋণ নিয়ে যারা পালিয়েছে তাদের তালিকা করে সব আদায় করা হবে। কেউ ছাড় পাবে না। গুপ্ত হামলা বন্ধ না করলে জনগণ ধরে ধরে প্রতিহত করে গণশাস্তি দেবে। জনগণ নির্বাচন পন্ড করতে দেবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান টেমস নদীর ওপার থেকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। দেশে এসে মানুষকে মোকাবিলা করে জেলে যাওয়ার সাহস অর্জন করুক। রিমোট কন্ট্রোল নেতা দিয়ে রাজনীতি হয় না।

নির্বাচনি আচরণ বিধি মেনে চলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জানিয়ে কাদের বলেন, তিনি বুধবার সাধারণ যাত্রীর মতো বিমানের টিকিট কেটে সিলেট গেছেন। সরকারি কোনো খরচ নেননি। তার সঙ্গে যারা গেছেন তারাও নিজ খরচে গেছেন। সার্কিট হাউজের ভাড়াও পরিশোধ করেছেন। কোনো দলীয় পতাকা ব্যবহার করেননি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা.রোকেয়া সুলতানা, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্য নির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন ও তারানা হালিম প্রমুখ।