সিনিয়র রিপোর্টার : ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থীতা বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। ওই দিন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) স্বতন্ত্র প্রার্থী এ. কে. আজাদের করা আপিল আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ দিন ধার্য করেন।
শামীমের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা, অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এ. কে. আজাদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও ব্যারিস্টার তানজীবুল আলম।
গত ১৯ ডিসেম্বর দ্বৈত নাগরিকত্ব ইস্যুতে বাতিল হওয়া ফরিদপুর-৩ এ প্রার্থী শামীম হককে নির্বাচনে অংশ নিতে সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে আদেশ দেয় আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট। তবে শামীম হকের প্রার্থীতা বাতিল করতে চেম্বার কোর্টে ফের আবেদন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ।
দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ এনে শামীম হকের প্রার্থীতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী এ. কে. আজাদ। শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক বলে অভিযোগ আনেন তিনি। শুনানি শেষে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) আপিল মঞ্জুর করে শামীম হকের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় ইসি।
পরে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন শামীম হক। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) শামীম হকের রিট খারিজ করে দ্বৈত নাগরিকের কারণে ইসির প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন তিনি। শামীম হকের প্রার্থীতা বাতিলে আবারো আবেদন করলো অপর প্রার্থী এ কে আজাদ।
শামীম হক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এ কে আজাদ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য।
প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৬৬ (২) (গ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন।’ সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদের অনুরূপ বিধানই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২(১)(৬) অনুচ্ছেদে সন্নিবেশিত হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুয়ায়ী আনা তথ্য আমলে নিয়ে প্রার্থীতা বাতিল করে ইসি।