সিনিয়র রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, দলের কেউ সংঘাত করলে তার রেহাই নেই, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবো। আমরা চাই জনগণ তাদের ভোটের অধিকার নির্বিঘ্নে প্রয়োগ করবে। তারা যাকে ভোট দেবে সেই নির্বাচিত হবে। ভোটে নৌকা, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলও আছে। কেউ কারো অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। নির্বাচনে কোনো সংঘর্ষ বা মারামারি দেখতে চাই না।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে পাঁচ জেলার নির্বাচনি জনসভায় ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘আওয়ামী লীগ সবসময় ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে আরও সুদৃঢ় করতে না পারলে, বাংলাদেশ শেষ হয়ে যাবে। আমরা দুর্নীতিমুক্ত, সুষম উন্নয়নের বাংলাদেশ গড়তে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দেবো। সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদী দল বিএনপির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
ভার্চুয়াল বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে, আর বিএনপি জানে জ্বালা-পোড়াও করতে। ২০১৩-১৪ এর মতো আবারও অগ্নিসন্ত্রাস করছে বিএনপি। বিদেশ থেকে নির্বাচন বানচালের হুকুম দিচ্ছে। ওরা গণতন্ত্র বানানই জানে না। মানুষের শান্তি ওদের ভালো লাগে না। তাদের সবকিছুই অবৈধ, ওরা নির্বাচনের কি বোঝে? এ সময় ভোট চুরির সুযোগ নেই বলে বিএনপি নির্বাচনে আসেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের এমন কোনো জেলা নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ফের সরকার গঠন করতে পারলে প্রতিটি জেলা ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পাঁচ জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি যোগ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট জেলা, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ি। এ সময় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করে জনগণের সেবার সুযোগ দেয়ার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা ও নৌকার প্রার্থীরা।
এর আগে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেটে জনসভার মধ্যদিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।