ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘কোটি টাকা খরচ’ করেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত, ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৭:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 61
অনলাইন ডেস্ক : দলের জনসভায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা খরচ ও ৪০ হাজার মানুষকে খাবারের ব্যবস্থা করেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় ক্ষোভ ঝাড়লেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম। গত মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় পেকুয়ায় নির্বাচনী প্রচারণার সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। সভায় জাফর আলম দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি একবার মনোনয়ন পেয়েছি। কিন্তু আমি শতবার মৃত্যুর মুখে আপনার জন্য গিয়েছি। আমি আমার জীবনের সবকিছু উজাড় করে দিয়েছি। আমি কক্সবাজারে এক জনসভায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা খরচ করেছি। আপনাদের (দলের নেতাদের) থ্রি-স্টার হোটেলে রেখেছি। ৪০ হাজার মানুষকে একদিনের খাবার দিয়ে ১ হাজার ট্রাক-গাড়িতে মানুষ নিয়ে জনসভাকে সফল করেছি। আপনি সেখানে ঘোষণা করলেন আশেক উল্লাহ’র নাম। তিনি বলেন, শোনেন-নেত্রী, আল্লাহ উপরে (আল্লাহ উপরে রয়েছেন)। আমি দোষ করলে আল্লাহ আমার বিচার করবেন। কিন্তু আমি মনে করেছি এটা আমার প্রতি অবিচার হয়েছে। আমার মতো একজন সহজ-সরল কর্মীকে, আমাকে বারবার ঠকিয়ে আরেকজনের কাঁধে নৌকা দিয়ে আমার কাছ থেকে নৌকা কেঁড়ে নিয়েছেন। সেদিনও আমি হাসিমুখে মেনে নিয়েছি। জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাকে ভোট দিতে না পেরে নেতা-কর্মীরা চোখের জল ফেলে চলে গেছে। সেদিনও আমি আপনার কথা শোনেছি। এখন আপনি বলেছেন, সংসদ সদস্যরা স্বতন্ত্র ভোট করতে পারবেন। আমি স্বতন্ত্র ভোট করতেছি। এখানে যদি আমি কোনো ধরনের অশুভ পায়তারা দেখি আমরা চকরিয়ার মানুষ, শহীদ আব্দুল হামিদের চকরিয়া, আবুল কালামের চকরিয়া-পেকুয়া এটা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চকরিয়া। এখানে কোনো অন্যায় আমরা বরদাস্ত করবো..না, করবো না.., করবো.. না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। জাফর বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘আমার চেয়ে নৌকাকে ভালবাসে এমন কে আছে। দিনে নৌকা, রাতে বিএনপি, কার টেলিফোন রিসিভ কর, কার জায়গা দখল কর। সব আমার কাছে খবর আছে। আমাকে পেকুয়ার ভোট দিবেন কি, দিবেন না সেটি আপনাদের ব্যাপার। চাঁদাবাজ, দখলবাজ এগুলা চলবে..না চলবে..না চলবে..না। সোজা কথা। নিজের অবস্থান তুলে ধরে জাফর বলেন, এখনো বলছি ইনশাআল্লাহ, আল্লাহর যদি রহমত থাকে জাফর জনতা.., জাফর জনতা। আল্লাহর রহমত ছাড়া আমাকে রোখার সাধ্য নাই কারও। আমার মার্কা ট্রাক, কেন ট্রাক নিয়েছি..? নৌকার অবস্থা বেশি খারাপ। নৌকাকে ট্রাকে তুলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে আবার বলবো, ট্রাক মনে করিয়েন না আপা, এটা নৌকা। আমি আপনার জাফর। আক্ষেপ করে জাফর আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী একদিন বলতেন ‘আমার জাফর’। কেন জানিনা, কোন কালো ইশরায় আমি আপনার পর হয়ে গেলাম। এদিকে, জাফরের এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার পাবার পর নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। কেউ বলছেন, ঘরের ছেলে মায়ের কাছে মনের ক্ষোভ ঝাড়লেন। মনের কষ্ট খোলাসা করলেন। আবার জাফর বিরোধীরা বলছেন, জাফর-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। ঔদ্যত্তপূর্ণ আচরণ করেছেন। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। নেত্রী কি পদক্ষেপ নেন দেখি।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আরব আমিরাতে মিটল ১০ বছরের আক্ষেপ : জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের

‘কোটি টাকা খরচ’ করেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত, ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম

আপডেট সময় ০৭:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
অনলাইন ডেস্ক : দলের জনসভায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা খরচ ও ৪০ হাজার মানুষকে খাবারের ব্যবস্থা করেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় ক্ষোভ ঝাড়লেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম। গত মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় পেকুয়ায় নির্বাচনী প্রচারণার সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। সভায় জাফর আলম দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি একবার মনোনয়ন পেয়েছি। কিন্তু আমি শতবার মৃত্যুর মুখে আপনার জন্য গিয়েছি। আমি আমার জীবনের সবকিছু উজাড় করে দিয়েছি। আমি কক্সবাজারে এক জনসভায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা খরচ করেছি। আপনাদের (দলের নেতাদের) থ্রি-স্টার হোটেলে রেখেছি। ৪০ হাজার মানুষকে একদিনের খাবার দিয়ে ১ হাজার ট্রাক-গাড়িতে মানুষ নিয়ে জনসভাকে সফল করেছি। আপনি সেখানে ঘোষণা করলেন আশেক উল্লাহ’র নাম। তিনি বলেন, শোনেন-নেত্রী, আল্লাহ উপরে (আল্লাহ উপরে রয়েছেন)। আমি দোষ করলে আল্লাহ আমার বিচার করবেন। কিন্তু আমি মনে করেছি এটা আমার প্রতি অবিচার হয়েছে। আমার মতো একজন সহজ-সরল কর্মীকে, আমাকে বারবার ঠকিয়ে আরেকজনের কাঁধে নৌকা দিয়ে আমার কাছ থেকে নৌকা কেঁড়ে নিয়েছেন। সেদিনও আমি হাসিমুখে মেনে নিয়েছি। জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাকে ভোট দিতে না পেরে নেতা-কর্মীরা চোখের জল ফেলে চলে গেছে। সেদিনও আমি আপনার কথা শোনেছি। এখন আপনি বলেছেন, সংসদ সদস্যরা স্বতন্ত্র ভোট করতে পারবেন। আমি স্বতন্ত্র ভোট করতেছি। এখানে যদি আমি কোনো ধরনের অশুভ পায়তারা দেখি আমরা চকরিয়ার মানুষ, শহীদ আব্দুল হামিদের চকরিয়া, আবুল কালামের চকরিয়া-পেকুয়া এটা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চকরিয়া। এখানে কোনো অন্যায় আমরা বরদাস্ত করবো..না, করবো না.., করবো.. না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। জাফর বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘আমার চেয়ে নৌকাকে ভালবাসে এমন কে আছে। দিনে নৌকা, রাতে বিএনপি, কার টেলিফোন রিসিভ কর, কার জায়গা দখল কর। সব আমার কাছে খবর আছে। আমাকে পেকুয়ার ভোট দিবেন কি, দিবেন না সেটি আপনাদের ব্যাপার। চাঁদাবাজ, দখলবাজ এগুলা চলবে..না চলবে..না চলবে..না। সোজা কথা। নিজের অবস্থান তুলে ধরে জাফর বলেন, এখনো বলছি ইনশাআল্লাহ, আল্লাহর যদি রহমত থাকে জাফর জনতা.., জাফর জনতা। আল্লাহর রহমত ছাড়া আমাকে রোখার সাধ্য নাই কারও। আমার মার্কা ট্রাক, কেন ট্রাক নিয়েছি..? নৌকার অবস্থা বেশি খারাপ। নৌকাকে ট্রাকে তুলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে আবার বলবো, ট্রাক মনে করিয়েন না আপা, এটা নৌকা। আমি আপনার জাফর। আক্ষেপ করে জাফর আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী একদিন বলতেন ‘আমার জাফর’। কেন জানিনা, কোন কালো ইশরায় আমি আপনার পর হয়ে গেলাম। এদিকে, জাফরের এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার পাবার পর নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। কেউ বলছেন, ঘরের ছেলে মায়ের কাছে মনের ক্ষোভ ঝাড়লেন। মনের কষ্ট খোলাসা করলেন। আবার জাফর বিরোধীরা বলছেন, জাফর-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। ঔদ্যত্তপূর্ণ আচরণ করেছেন। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। নেত্রী কি পদক্ষেপ নেন দেখি।