ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হলফনামা : ৫ বছরে সম্পদ কমেছে কুমিল্লা-২ আসনের নৌকা প্রার্থীর

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 124

অনলাইন ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদের গত পাঁচ বছরে সম্পদ কমেছে। তবে বেড়েছে ঋণের পরিমাণ। এর মধ্যে তিনি স্বামীর কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন সোয়া এক কোটি টাকারও বেশি।  নৌকা প্রার্থীর তুলনায় গত ৫ বছরে তার স্বামী নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদের সম্পদ বেড়েছে ৬ কোটি ৬৪ লাখ ৪১ হাজার ৯৩ টাকার।

জেলা রিটার্নিং কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে জানা গেছে, স্বামীর কাছ থেকে সোয়া এক কোটি টাকারও বেশি ঋণ নিয়েছেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনের এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালের পর তিনিই প্রথম ২০১৮ সালে কুমিল্লা-২ আসনে নৌকা প্রতীকে এমপি হন।

সেলিমা আহমাদ এমপির বার্ষিক আয় ৯২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪৪ টাকা। এমপি হিসেবে সম্মানি ভাতা ছয় লাখ ৬০ হাজার। মিটিং ফি ৭ লাখ ৯৯ হাজার ২৭২ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে পান ৩০ লাখ ১ হাজার ২৬৯ টাকা। চাকরি হিসেবে নিটল মোটরস লিমিটেড থেকে পান ৩২ লাখ ২৪ হাজার ৮২৬ টাকা। বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ও অন্যান্য ভাড়া মিলিয়ে পান ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৪০৭ টাকা।

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী সেলিমা আহমাদ ব্যবসায়ী হলেও গত পাঁচ বছরে তার ব্যবসা থেকে এক টাকাও আয় হয়নি। অথচ ২০১৮ সালের হলফনামার তথ্য বলছে, ওই সময়ে তিনি ব্যবসা থেকে আয় করেছেন ৪২ লাখ ১২ হাজার ৬২৪ টাকা। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে সেলিমা আহমাদ এমপি উল্লেখ করেছেন, নগদ টাকা আছে ৮৮ হাজার ৫৮৭ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ৬৩৭ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার রয়েছে আট কোটি ১০ লাখ ৪৯ হাজার ৬৭০ টাকার। পোস্টাল, সেভিংসহ স্থায়ী আমানত বিনিয়োগ ৫ কোটি ৫১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৯০ টাকা।

বাসা, ট্রাক, মোটর গাড়ি ও মোটর সাইকেল রয়েছে ৯২ লাখ ১১ হাজার ৮৩৫ টাকার। সোনাসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র রয়েছে ২১ লাখ টাকার। স্থাবর সম্পদ হিসেবে কৃষিজমি রয়েছে ১৬ দশমিক ৬৫ বিঘা, যার মূল্য দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ ৫৩ হাজার ১০০ টাকা। অকৃষি জমি রয়েছে ২৩ লাখ ১৫ হাজার টাকার। এমপি সেলিমা আহমাদের নামে ২৬ কোটি ১৫ লাখ ৮ হাজার ১৪০ টাকা মূল্যের রাজধানীর আদাবর ও গুলশানে দুটি বাড়ি রয়েছে।

এছাড়া গুলশান-১ এ রয়েছে দুই কোটি ৩ লাখ ৩ হাজার টাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট, হোমনায় ১ কোটি ১৭ লাখ ২৫ হাজার ৮০০ টাকা ও তিতাসে ৩৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের দুটি বাড়ি।

২০১৮ সালে এই প্রার্থীর ঋণের পরিমাণ ছিল ১৮ কোটি ৫২ লাখ ৫ হাজার ৭৪১ টাকা। এবার ঋণ বেড়ে হয়েছে ১৯ কোটি ৭৩ লাখ ৫ হাজার ২৫৬ টাকা। এর মধ্যে প্রার্থীর স্বামী আবদুল মাতলুব আহমাদের কাছে ঋণ নিয়েছেন এক কোটি সাড়ে ২৯ লাখ, আত্মীয়-স্বজন থেকে ৬৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৫৮ টাকা ও অগ্রিম ভাড়া বাবদ ১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।

এমপি সেলিমা আহমাদের তুলনায় তার স্বামী ব্যবসায়ী আবদুল মাতলুব আহমাদের ১১৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ৭০৮ টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে। ২০১৮ সালে সেলিমা আহমাদের সম্পদ ছিল ৩১ কোটি ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৩৭১ টাকার। ২০২৩ সালে তার সম্পদ কমে হয়েছে ২৬ কোটি ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৫০৫ টাকায়।

এদিকে ২০১৮ সালে স্বামী আবদুল মাতলুব আহমাদের সম্পদ ছিল ১৩৩ কোটি ৯৪ লাখ ৮ হাজার ১২০ টাকার। ২০২৩ সম্পদ বেড়ে হয়েছে ১৪০ কোটি ৫৮ লাখ ৪৯ হাজার ২১৩ টাকা।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা

হলফনামা : ৫ বছরে সম্পদ কমেছে কুমিল্লা-২ আসনের নৌকা প্রার্থীর

আপডেট সময় ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদের গত পাঁচ বছরে সম্পদ কমেছে। তবে বেড়েছে ঋণের পরিমাণ। এর মধ্যে তিনি স্বামীর কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন সোয়া এক কোটি টাকারও বেশি।  নৌকা প্রার্থীর তুলনায় গত ৫ বছরে তার স্বামী নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদের সম্পদ বেড়েছে ৬ কোটি ৬৪ লাখ ৪১ হাজার ৯৩ টাকার।

জেলা রিটার্নিং কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে জানা গেছে, স্বামীর কাছ থেকে সোয়া এক কোটি টাকারও বেশি ঋণ নিয়েছেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনের এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালের পর তিনিই প্রথম ২০১৮ সালে কুমিল্লা-২ আসনে নৌকা প্রতীকে এমপি হন।

সেলিমা আহমাদ এমপির বার্ষিক আয় ৯২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪৪ টাকা। এমপি হিসেবে সম্মানি ভাতা ছয় লাখ ৬০ হাজার। মিটিং ফি ৭ লাখ ৯৯ হাজার ২৭২ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে পান ৩০ লাখ ১ হাজার ২৬৯ টাকা। চাকরি হিসেবে নিটল মোটরস লিমিটেড থেকে পান ৩২ লাখ ২৪ হাজার ৮২৬ টাকা। বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ও অন্যান্য ভাড়া মিলিয়ে পান ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৪০৭ টাকা।

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী সেলিমা আহমাদ ব্যবসায়ী হলেও গত পাঁচ বছরে তার ব্যবসা থেকে এক টাকাও আয় হয়নি। অথচ ২০১৮ সালের হলফনামার তথ্য বলছে, ওই সময়ে তিনি ব্যবসা থেকে আয় করেছেন ৪২ লাখ ১২ হাজার ৬২৪ টাকা। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে সেলিমা আহমাদ এমপি উল্লেখ করেছেন, নগদ টাকা আছে ৮৮ হাজার ৫৮৭ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ৬৩৭ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার রয়েছে আট কোটি ১০ লাখ ৪৯ হাজার ৬৭০ টাকার। পোস্টাল, সেভিংসহ স্থায়ী আমানত বিনিয়োগ ৫ কোটি ৫১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৯০ টাকা।

বাসা, ট্রাক, মোটর গাড়ি ও মোটর সাইকেল রয়েছে ৯২ লাখ ১১ হাজার ৮৩৫ টাকার। সোনাসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র রয়েছে ২১ লাখ টাকার। স্থাবর সম্পদ হিসেবে কৃষিজমি রয়েছে ১৬ দশমিক ৬৫ বিঘা, যার মূল্য দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ ৫৩ হাজার ১০০ টাকা। অকৃষি জমি রয়েছে ২৩ লাখ ১৫ হাজার টাকার। এমপি সেলিমা আহমাদের নামে ২৬ কোটি ১৫ লাখ ৮ হাজার ১৪০ টাকা মূল্যের রাজধানীর আদাবর ও গুলশানে দুটি বাড়ি রয়েছে।

এছাড়া গুলশান-১ এ রয়েছে দুই কোটি ৩ লাখ ৩ হাজার টাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট, হোমনায় ১ কোটি ১৭ লাখ ২৫ হাজার ৮০০ টাকা ও তিতাসে ৩৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের দুটি বাড়ি।

২০১৮ সালে এই প্রার্থীর ঋণের পরিমাণ ছিল ১৮ কোটি ৫২ লাখ ৫ হাজার ৭৪১ টাকা। এবার ঋণ বেড়ে হয়েছে ১৯ কোটি ৭৩ লাখ ৫ হাজার ২৫৬ টাকা। এর মধ্যে প্রার্থীর স্বামী আবদুল মাতলুব আহমাদের কাছে ঋণ নিয়েছেন এক কোটি সাড়ে ২৯ লাখ, আত্মীয়-স্বজন থেকে ৬৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৫৮ টাকা ও অগ্রিম ভাড়া বাবদ ১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।

এমপি সেলিমা আহমাদের তুলনায় তার স্বামী ব্যবসায়ী আবদুল মাতলুব আহমাদের ১১৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ৭০৮ টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে। ২০১৮ সালে সেলিমা আহমাদের সম্পদ ছিল ৩১ কোটি ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৩৭১ টাকার। ২০২৩ সালে তার সম্পদ কমে হয়েছে ২৬ কোটি ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৫০৫ টাকায়।

এদিকে ২০১৮ সালে স্বামী আবদুল মাতলুব আহমাদের সম্পদ ছিল ১৩৩ কোটি ৯৪ লাখ ৮ হাজার ১২০ টাকার। ২০২৩ সম্পদ বেড়ে হয়েছে ১৪০ কোটি ৫৮ লাখ ৪৯ হাজার ২১৩ টাকা।