সিনিয়র রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি ফাউল করে লাল কার্ড খেয়েছে। তারা এখন আর নির্বাচনের ফাইনাল খেলায় অংশ নিতে পারবে না। তাহলে কী হবে? আরও এক হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী আছে, তাদের সঙ্গে ৭ তারিখ ফাইনাল খেলা হবে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বামনী বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে এদিন সকাল থেকে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট, শান্তিরহাট, রংমালা বাজার, বাংলা বাজার এবং পরে পেশকারহাট, নতুন বাজার ও টেকেরবাজারসহ আশপাশের এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি।
তারেক রহমানকে দেশে এসে নির্বাচনের খেলায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক রহমান বসে আছে লন্ডনে, সে আর দেশে আসে না। সাহস থাকলে আসো। মোকাবিলা হবে রাজপথে। খেলা তো হবে। দুর্নীতিবাজ লুটেরাদের সঙ্গে খেলা হবে।
ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি মনে করেন-কাদের ভাই, (ভোটকেন্দ্রে) না গেলে কী হবে! আপনি তো জিতেই গেছেন। সেটা হবে না-কেন্দ্রে যেতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী। তিনি ১৯৯৬ সালে এ আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ আসনে ওবায়দুল কাদেরের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি ২০২১ সালের ১৬ মার্চ মারা যান।
এবারের নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসনে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ (লাঙ্গল), জাসদের মাকছুদের রহমান মানিক (মশাল), ইসলামী ফ্রন্টের মোহাম্মদ শামছুদ্দোহা (চেয়ার) ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শাকিল মাহমুদ চৌধুরী (ছড়ি) মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।