ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গির্জায় গির্জায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বড়দিনের উৎসব

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 51

সিনিয়র রিপোর্টার : বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে এবং নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। গির্জায় গির্জায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দিনটির আনুষ্ঠানিকতা। বড়দিন উপলক্ষে দেশের সব গির্জায় জোরদার করা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল আটটায় রাজধানীর কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথিড্রাল গির্জায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা।  প্রার্থনায় যিশুর মহিমাকীর্তন এবং শান্তি ও ন্যায়ের কথা বলা হয়। প্রার্থনায় অংশ নিতে ভোরে চার্চে সমবেত হন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা।

এদিন সকাল ৭টায় ফার্মগেট এলাকার তেজগাঁও ধর্মপল্লী গির্জায় প্রার্থনা শুরু হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই প্রার্থনায় অনেক খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী অংশ নেন। তেজগাঁও ধর্মপল্লী গির্জায় প্রার্থনা শেষে খ্রিস্টান এক নারী বলেন, ‘বড়দিন আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব। দিনটি উপলক্ষে আমরা সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। আনন্দ সহকারে দিনটি উদযাপন করছি। আজকের দিনে আমাদের প্রার্থনা হলো, পৃথিবীতে যেন শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। সবাই যেন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করি সেই প্রার্থনা করছি।’

খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, যিশুর জন্ম হয়েছিল গোয়ালঘরে। সেই স্মৃতিকে স্মরণ করে বড়দিনে গির্জাগুলোতে প্রতীকী গোয়ালঘর তৈরি করা হয়েছে। অনেকে তাদের বাড়িতেও তৈরি করেছেন গোয়ালঘর।

এ জন্য সংশ্লিষ্ট গির্জা কর্তৃপক্ষ ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। উৎসব উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের গির্জা সাজানো হয়। আলোকসজ্জা করা হয় গির্জার ভেতরে-বাইরে। রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে সাজানো হয় ক্রিসমাস ট্রি ও প্রতীকী গোশালা ঘর।

প্রসঙ্গত- খ্রিস্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট ২৫ ডিসেম্বর বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। স্রষ্টার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে তিনি জন্মছিলেন পৃথিবীতে। দিনটিকে কেন্দ্র করে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা পালন করেন বড়দিনের উৎসব।

ট্যাগস

গির্জায় গির্জায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বড়দিনের উৎসব

আপডেট সময় ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে এবং নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। গির্জায় গির্জায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দিনটির আনুষ্ঠানিকতা। বড়দিন উপলক্ষে দেশের সব গির্জায় জোরদার করা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল আটটায় রাজধানীর কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথিড্রাল গির্জায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা।  প্রার্থনায় যিশুর মহিমাকীর্তন এবং শান্তি ও ন্যায়ের কথা বলা হয়। প্রার্থনায় অংশ নিতে ভোরে চার্চে সমবেত হন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা।

এদিন সকাল ৭টায় ফার্মগেট এলাকার তেজগাঁও ধর্মপল্লী গির্জায় প্রার্থনা শুরু হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই প্রার্থনায় অনেক খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী অংশ নেন। তেজগাঁও ধর্মপল্লী গির্জায় প্রার্থনা শেষে খ্রিস্টান এক নারী বলেন, ‘বড়দিন আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব। দিনটি উপলক্ষে আমরা সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। আনন্দ সহকারে দিনটি উদযাপন করছি। আজকের দিনে আমাদের প্রার্থনা হলো, পৃথিবীতে যেন শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। সবাই যেন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করি সেই প্রার্থনা করছি।’

খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, যিশুর জন্ম হয়েছিল গোয়ালঘরে। সেই স্মৃতিকে স্মরণ করে বড়দিনে গির্জাগুলোতে প্রতীকী গোয়ালঘর তৈরি করা হয়েছে। অনেকে তাদের বাড়িতেও তৈরি করেছেন গোয়ালঘর।

এ জন্য সংশ্লিষ্ট গির্জা কর্তৃপক্ষ ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। উৎসব উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের গির্জা সাজানো হয়। আলোকসজ্জা করা হয় গির্জার ভেতরে-বাইরে। রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে সাজানো হয় ক্রিসমাস ট্রি ও প্রতীকী গোশালা ঘর।

প্রসঙ্গত- খ্রিস্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট ২৫ ডিসেম্বর বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। স্রষ্টার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে তিনি জন্মছিলেন পৃথিবীতে। দিনটিকে কেন্দ্র করে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা পালন করেন বড়দিনের উৎসব।