ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন নিয়ে আমরা বদনাম করতে চাই না : ওবায়দুল কাদের

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 129

সিনিয়র রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পোলিং এজেন্টদের ভোট ক্যাম্পেইনের সুযোগ নেই। যারা পোলিং এজেন্ট থাকবেন তারা সঠিকভাবে নিয়ম-কানুন মেনে নিজ দায়িত্বে কাজ করবেন। নির্বাচন নিয়ে আমরা বদনাম করতে চাই না। অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করাই আমাদের লক্ষ্য।’

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ চলবে সকাল ১০টা সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা-৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, পোলিং এজেন্ট নিয়োগকে গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। সুষ্ঠ নির্বাচনের স্বার্থে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করা জরুরি।

দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট না করতে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সত্যিকার অর্থে একটি ‍সুষ্ঠ নির্বাচন চাইছেন। আওয়ামী লীগের কেউ নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করবেন না। আর করলে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। সরকারের করার কিছু থাকবে না। বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে সুষ্ঠ নির্বাচনের বিকল্প নেই। কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনের বাইরে থাকবে আওয়ামী লীগ তা চায় না। সব দল থাকলে নির্বাচন আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হতো। তবে, কিছু দল না থাকলেও উৎসবমুখর নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হয়েছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশেই রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করে। কিন্তু এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারেন না। বড়বড় দেশগুলোর যুদ্ধের প্রভাব এসে পড়েছে বাংলাদেশের ওপর। আর ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এর দায় এড়াতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে জাতীয় নির্বাচন করতে হচ্ছে। নির্বাচন করতে হচ্ছে প্রতিকূল এক সময়।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারেক রহমান বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছে। তার বাবা জিয়াউর রহমানও গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি যারা চালু করেছে, তারা এদেশের গণতন্ত্রকে বিকাশে বাধা দেবে, এটাই স্বাভাবিক।’

বিএনপির তত্ত্বাবধায়কের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে করেছে।‘ এ সময় বিদেশ থেকে রিমোট কন্ট্রোলে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের প্রচেষ্টা এবং বিএনপি নির্বাচন বিরোধী প্রোপাগান্ডা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।’

নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি বানচাল করতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে একটি পক্ষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বানচালের নামে ট্রেন, বাসসহ নানা যানবাহনে আগুন দিচ্ছে, মানুষ পুড়িয়ে মারছে।’

উল্লেখ্য- আসন্ন ভোটে ৩০০ আসনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার। বুথ থাকবে দুই লাখ ৪১ হাজার। প্রত্যেক বুথে দু’জন করে পোলিং এজেন্ট রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। 

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির

নির্বাচন নিয়ে আমরা বদনাম করতে চাই না : ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পোলিং এজেন্টদের ভোট ক্যাম্পেইনের সুযোগ নেই। যারা পোলিং এজেন্ট থাকবেন তারা সঠিকভাবে নিয়ম-কানুন মেনে নিজ দায়িত্বে কাজ করবেন। নির্বাচন নিয়ে আমরা বদনাম করতে চাই না। অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করাই আমাদের লক্ষ্য।’

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ চলবে সকাল ১০টা সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা-৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, পোলিং এজেন্ট নিয়োগকে গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। সুষ্ঠ নির্বাচনের স্বার্থে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করা জরুরি।

দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট না করতে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সত্যিকার অর্থে একটি ‍সুষ্ঠ নির্বাচন চাইছেন। আওয়ামী লীগের কেউ নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করবেন না। আর করলে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। সরকারের করার কিছু থাকবে না। বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে সুষ্ঠ নির্বাচনের বিকল্প নেই। কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনের বাইরে থাকবে আওয়ামী লীগ তা চায় না। সব দল থাকলে নির্বাচন আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হতো। তবে, কিছু দল না থাকলেও উৎসবমুখর নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হয়েছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশেই রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করে। কিন্তু এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারেন না। বড়বড় দেশগুলোর যুদ্ধের প্রভাব এসে পড়েছে বাংলাদেশের ওপর। আর ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এর দায় এড়াতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে জাতীয় নির্বাচন করতে হচ্ছে। নির্বাচন করতে হচ্ছে প্রতিকূল এক সময়।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারেক রহমান বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছে। তার বাবা জিয়াউর রহমানও গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি যারা চালু করেছে, তারা এদেশের গণতন্ত্রকে বিকাশে বাধা দেবে, এটাই স্বাভাবিক।’

বিএনপির তত্ত্বাবধায়কের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে করেছে।‘ এ সময় বিদেশ থেকে রিমোট কন্ট্রোলে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের প্রচেষ্টা এবং বিএনপি নির্বাচন বিরোধী প্রোপাগান্ডা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।’

নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি বানচাল করতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে একটি পক্ষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বানচালের নামে ট্রেন, বাসসহ নানা যানবাহনে আগুন দিচ্ছে, মানুষ পুড়িয়ে মারছে।’

উল্লেখ্য- আসন্ন ভোটে ৩০০ আসনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার। বুথ থাকবে দুই লাখ ৪১ হাজার। প্রত্যেক বুথে দু’জন করে পোলিং এজেন্ট রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ।