ঢাকা , বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যু বরণ করতে হবে

কবরের প্রথম রাত যেমন হবে

  • আলা উদ্দিন
  • আপডেট সময় ১২:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • 364

Caption Caption Caption Caption Caption

প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যু বরণ করতে হবে। মৃত্যু থেকে পালিয়ে থাকার সুযোগ কারও নেই। মৃত্যুর পর মুমিনের প্রথম গন্তব্য কবর। যে ব্যক্তি ভালো আমল করবে এবং আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য প্রস্তুতি নেবে, কবর তার জন্য সুখ ও আনন্দের ঘর। আর যে ব্যক্তি খারাপ আমল করবে এবং আল্লাহর আনুগত্যের ক্ষেত্রে ত্রুটি করবে, কবর তার জন্য ভীতি ও অন্ধকারের ঘর।

নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘কবর পরকালের প্রথম ঘাঁটি। কেউ যদি এখান থেকে মুক্তি পায়, তাহলে পরবর্তী ঘাঁটিগুলো তার জন্য সহজ হবে। আর যদি কেউ কবর থেকে মুক্তি না পায়, তাহলে পরবর্তী ঘাঁটিগুলো তার জন্য আরো কঠিন হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৩০৮)

কবরজীবনের প্রথম প্রহর কেমন হবে— এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি দীর্ঘ হাদিস বর্ণনা করেছেন সাহাবি বারা ইবনে আজেব (রা.)। তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে আনসার গোত্রের এক ব্যক্তির জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য রওনা হয়ে কবরের কাছে গেলাম। কিন্তু তখনো কবর খনন শেষ হয়নি। তাই রাসুলুল্লাহ (সা.) বসে পড়েন। আমরাও তার চারদিকে নীরবে তাকে ঘিরে বসে পড়লাম, যেন আমাদের মাথার ওপর পাখি বসে আছে। তখন তার হাতে ছিল একখানা লাঠি, তা দিয়ে তিনি মাটিতে আঁচড় কাটছিলেন। অতঃপর তিনি মাথা তুলে দুই বা তিনবার বলেন, তোমরা আল্লাহর কাছে কবরের আজাব থেকে আশ্রয় চাও।

জনপ্রিয় সংবাদ

বুধবার বেলা ৩টা থেকে নির্বাচন কমিশন ভবনে চলছে ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইসির বৈঠক

প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যু বরণ করতে হবে

কবরের প্রথম রাত যেমন হবে

আপডেট সময় ১২:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যু বরণ করতে হবে। মৃত্যু থেকে পালিয়ে থাকার সুযোগ কারও নেই। মৃত্যুর পর মুমিনের প্রথম গন্তব্য কবর। যে ব্যক্তি ভালো আমল করবে এবং আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য প্রস্তুতি নেবে, কবর তার জন্য সুখ ও আনন্দের ঘর। আর যে ব্যক্তি খারাপ আমল করবে এবং আল্লাহর আনুগত্যের ক্ষেত্রে ত্রুটি করবে, কবর তার জন্য ভীতি ও অন্ধকারের ঘর।

নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘কবর পরকালের প্রথম ঘাঁটি। কেউ যদি এখান থেকে মুক্তি পায়, তাহলে পরবর্তী ঘাঁটিগুলো তার জন্য সহজ হবে। আর যদি কেউ কবর থেকে মুক্তি না পায়, তাহলে পরবর্তী ঘাঁটিগুলো তার জন্য আরো কঠিন হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৩০৮)

কবরজীবনের প্রথম প্রহর কেমন হবে— এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি দীর্ঘ হাদিস বর্ণনা করেছেন সাহাবি বারা ইবনে আজেব (রা.)। তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে আনসার গোত্রের এক ব্যক্তির জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য রওনা হয়ে কবরের কাছে গেলাম। কিন্তু তখনো কবর খনন শেষ হয়নি। তাই রাসুলুল্লাহ (সা.) বসে পড়েন। আমরাও তার চারদিকে নীরবে তাকে ঘিরে বসে পড়লাম, যেন আমাদের মাথার ওপর পাখি বসে আছে। তখন তার হাতে ছিল একখানা লাঠি, তা দিয়ে তিনি মাটিতে আঁচড় কাটছিলেন। অতঃপর তিনি মাথা তুলে দুই বা তিনবার বলেন, তোমরা আল্লাহর কাছে কবরের আজাব থেকে আশ্রয় চাও।