ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানুষ পুড়িয়ে মারাই বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন : শেখ হাসিনা

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 42

সিনিয়র রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি হচ্ছে খুনিদের পার্টি। আর জামায়াত হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের পার্টি। মানুষ পুড়িয়ে মারাই বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন। তাদের হাত থেকে কেউই রক্ষা পায়নি। দেশের মানুষ আর তাদেরকে বিশ্বাস করে না। ২০০৮-এই সেটা প্রমাণ হয়ে গেছে।’

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে টুঙ্গিপাড়া শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের মধ্য দিয়ে বিএনপি নেতাদের চক্রান্তের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলে জানান।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ইসরায়েল দ্বারা যেমনি ফিলিস্তিনের ওপর হামলা করছে ঠিক তেমনি তারেক জিয়া লন্ডন থেকে হুকুম দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। তারা রেল পোড়ায়, বাস পোড়ায়, গাড়ি পোড়ায়, মানুষ হত্যা করে, আমাকেও হত্যার চেষ্টা করেছে। যারা অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে, ওই তারেকের কথা শুনে। যে টাকা আত্মসাৎ করেছে, জুয়া খেলেছে। তারেকের মতো একজন লম্পটের কথা শুনে কেন তারা মানুষ মারে এটা তাদের কাছে আমার প্রশ্ন?

মানুষ খুন করাই তাদের রাজনীতি উল্লেখ করে হাসিনা বলেন, টাকা লুটপাট করে বিদেশে বসে মানুষ খুন করার নির্দেশ দিচ্ছে। বিএনপি দেশের উন্নয়ন করতে জানে না তারা শুধু মানুষ পোড়াতে জানে, তাদের কোনো মনুষ্যত্ব নেই। এজন্য আল্লাহর কাছে শাস্তি পেতে হবে। আগামী নির্বাচনে আল্লাহর রহমতে নির্বাচিত হলে তাকে লন্ডন থেকে ধরে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। লন্ডন থেকে ধরে এনে সন্ত্রাসের হুকুমদাতার বিচার করা হবে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যেমন খুনি, তার স্ত্রী খালেদা জিয়া, ছেলে তারেক রহমানও খুনি। তারা আমার বাবাসহ পরিবারকে হত্যার পর আমাকে ও আমার বোনকে এতিম করেছে। ২০০৪ সালে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল লন্ডনে থাকা তারেক। যতো বাধাই আসুক। তাদের (দেশে) ফিরিয়ে এনে হত্যাকারীদের রায় কার্যকর করবো।’

আমরা শান্তির পক্ষে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বানচাল করার অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। তারা বারবার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা এটা করে সফল হতে পারছে না। তৃতীয় পক্ষ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে না।

ছোটবোন রেহানা না থাকলে আমি দেশের জন্য কাজ করতে পারতাম না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারা দেশ আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ। আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছি। ২০২১ সালে আমরা দেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে এসেছি। আমরা চাই, মানুষ শান্তিতে থাকুক।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুকন্যা দুর্নীতি করতে আসিনি, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে এসেছি। আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করব, আজ বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি। আমরা মুজিব আদর্শে বিশ্বাস করি।

এদিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাতে জাতীয় পতাকা নেড়ে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। এর আগে গত শুক্রবার রাতে বরিশালের জনসভা শেষে সড়কপথে বরিশাল থেকে টুঙ্গিপাড়া আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর নিজ বাড়িতে অবস্থান করেন তিনি।

বরিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় থেকে মানুষের ভাগ্য না গড়ে নিজেদের ভাগ্য গড়েছিল বিএনপি-জামায়াত। দেশের মানুষ তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমি বিএনপি-জামায়াতকে ধিক্কার জানাই। কারণ, তারা মানুষ পোড়ায়, মানুষ হত্যা করে। আমাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে আর তাদের রাজনীতি মানুষ পোড়ানোতে।

উল্লেখ্য- আগামী ২ জানুয়ারি ফরিদপুর এবং ৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে জনসভার মধ্য দিয়ে শেষ হবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নুর-গোলাম পরওয়ারসহ ৩০২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

মানুষ পুড়িয়ে মারাই বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন : শেখ হাসিনা

আপডেট সময় ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি হচ্ছে খুনিদের পার্টি। আর জামায়াত হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের পার্টি। মানুষ পুড়িয়ে মারাই বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন। তাদের হাত থেকে কেউই রক্ষা পায়নি। দেশের মানুষ আর তাদেরকে বিশ্বাস করে না। ২০০৮-এই সেটা প্রমাণ হয়ে গেছে।’

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে টুঙ্গিপাড়া শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের মধ্য দিয়ে বিএনপি নেতাদের চক্রান্তের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলে জানান।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ইসরায়েল দ্বারা যেমনি ফিলিস্তিনের ওপর হামলা করছে ঠিক তেমনি তারেক জিয়া লন্ডন থেকে হুকুম দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। তারা রেল পোড়ায়, বাস পোড়ায়, গাড়ি পোড়ায়, মানুষ হত্যা করে, আমাকেও হত্যার চেষ্টা করেছে। যারা অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে, ওই তারেকের কথা শুনে। যে টাকা আত্মসাৎ করেছে, জুয়া খেলেছে। তারেকের মতো একজন লম্পটের কথা শুনে কেন তারা মানুষ মারে এটা তাদের কাছে আমার প্রশ্ন?

মানুষ খুন করাই তাদের রাজনীতি উল্লেখ করে হাসিনা বলেন, টাকা লুটপাট করে বিদেশে বসে মানুষ খুন করার নির্দেশ দিচ্ছে। বিএনপি দেশের উন্নয়ন করতে জানে না তারা শুধু মানুষ পোড়াতে জানে, তাদের কোনো মনুষ্যত্ব নেই। এজন্য আল্লাহর কাছে শাস্তি পেতে হবে। আগামী নির্বাচনে আল্লাহর রহমতে নির্বাচিত হলে তাকে লন্ডন থেকে ধরে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। লন্ডন থেকে ধরে এনে সন্ত্রাসের হুকুমদাতার বিচার করা হবে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যেমন খুনি, তার স্ত্রী খালেদা জিয়া, ছেলে তারেক রহমানও খুনি। তারা আমার বাবাসহ পরিবারকে হত্যার পর আমাকে ও আমার বোনকে এতিম করেছে। ২০০৪ সালে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল লন্ডনে থাকা তারেক। যতো বাধাই আসুক। তাদের (দেশে) ফিরিয়ে এনে হত্যাকারীদের রায় কার্যকর করবো।’

আমরা শান্তির পক্ষে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বানচাল করার অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। তারা বারবার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা এটা করে সফল হতে পারছে না। তৃতীয় পক্ষ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে না।

ছোটবোন রেহানা না থাকলে আমি দেশের জন্য কাজ করতে পারতাম না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারা দেশ আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ। আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছি। ২০২১ সালে আমরা দেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে এসেছি। আমরা চাই, মানুষ শান্তিতে থাকুক।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুকন্যা দুর্নীতি করতে আসিনি, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে এসেছি। আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করব, আজ বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি। আমরা মুজিব আদর্শে বিশ্বাস করি।

এদিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাতে জাতীয় পতাকা নেড়ে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। এর আগে গত শুক্রবার রাতে বরিশালের জনসভা শেষে সড়কপথে বরিশাল থেকে টুঙ্গিপাড়া আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর নিজ বাড়িতে অবস্থান করেন তিনি।

বরিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় থেকে মানুষের ভাগ্য না গড়ে নিজেদের ভাগ্য গড়েছিল বিএনপি-জামায়াত। দেশের মানুষ তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমি বিএনপি-জামায়াতকে ধিক্কার জানাই। কারণ, তারা মানুষ পোড়ায়, মানুষ হত্যা করে। আমাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে আর তাদের রাজনীতি মানুষ পোড়ানোতে।

উল্লেখ্য- আগামী ২ জানুয়ারি ফরিদপুর এবং ৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে জনসভার মধ্য দিয়ে শেষ হবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার।