ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনার পাইকগাছায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুনছুর গাজীর বিরুদ্ধে কলেজ পড়ুয়া সাথীর সংবাদ সম্মেলন 

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪
  • 177

মোঃ আব্দুল মজিদ -পাইকগাছা প্রতিনিধি :  খুলনার পাইকগাছা উপজেলা চাঁদখালী ইউনিয়নের চক-বিষ্ণুপুর গ্রামের মোঃ গফুর শেখের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে সাথী খাতুন প্রেসক্লাব পাইকগাছা এ উপস্থিত হয়ে জৈনক মুনছুর গাজীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রেসক্লাব পাইকগাছা এর কার্যলয়ে সাংবাদিকদের সামনে কলেজ পড়ুয়া সাথী খাতুন লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, পাইকগাছার চাঁদখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মুনছুর আলী গাজীর নেতৃত্বে গত ইং- ২৮/১২/২০২৩ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াই টার দিকে প্রায় ২০/২৫ জন লোক দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে অবৈধভাবে তাহার পিতার বাড়িতে প্রবেশ করে ঘর ভাংচুর সহ লুটপাট করে। এসময়ে কলেজ পড়ুয়া সাথী খাতুন বাঁধা দিলে তার ব্যবহৃত সেলফোন কেড়ে নেয় এবং মারধর সহ হত্যার উদ্দেশ্যে দা দিয়ে কোপ দিতে গেলে হাত দিয়ে ঠেকানোর ফলে দা এর কোপ হাতে লেগে রক্তাক্ত হয়ে মাঠিতে পড়ে গেলে সাথী খাতুনকে রশি দিয়ে খুটির সাথে বেধে ফেলা হয়। এসময়ে সাথী খাতুনের ডাক চিৎকারে তাহার পিতা গফুর শেখ পাশ থেকে এসে সাথী খাতুনকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও মারধর করে ও পাশের বাড়িতে নিয়ে বেঁধে রাখে। সাথী খাতুন আরো উল্লেখ করেন, মুনসুর গাজীর লোকজন আমাদের বেধে রেখে বাড়ির মালামাল সহ গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন আংটি ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয় এবং বাড়িতে থাকা আলমারি ভেঙ্গে টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার সহ দলিল পত্র নিয়ে যায়।  এছাড়াও বাড়ি তৈরি করার জন্য রাখা ৫/৬ হাজার ইট টলিতে করে নিয়ে যায়। এবং সাথী খাতুন সহ তার পিতাকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। আরো উল্লেখ করেন, মুনছুর গাজীর লোকজন পুরো বাড়ি দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘিরে রাখে। 

এমতাবস্থায় সন্ধ্যায় আমার পিতা গফুর শেখকে বাঁধা অবস্থায় পাশের বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসে, এবং ৬ টার দিকে আমাদেরকে ছেড়ে দেয়। এসময়ে আমি সাথে সাথে পাইকগাছায় এসে থানা পুলিশকে উক্ত বিষয়টি অবহিত করলে, তাহারা অভিযোগ দিতে বলে। এবং পরের দিন ২৯/১২/২০২৩ তারিখে থানায় মামলা এজাহার করা হয়। উক্ত মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো অনেকে রয়েছে। পাশাপাশি ২ জন আসামি ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। কলেজ পড়ুয়া সাথী খাতুন আরো উল্লেখ করেন, মুল আসামি মুনছুর গাজী মামলার এজাহার ভুক্ত হয়নি। এজন্য উক্ত মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য মুনছুর গাজী আমাদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে। 

সবশেষে কলেজ পড়ুয়া সাথী খাতুন উল্লেখ করেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে মামলার মূল আসামি মনসুর গাজী কে মামলায় নথিভুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।

 

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনার পাইকগাছায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুনছুর গাজীর বিরুদ্ধে কলেজ পড়ুয়া সাথীর সংবাদ সম্মেলন 

আপডেট সময় ০৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪

মোঃ আব্দুল মজিদ -পাইকগাছা প্রতিনিধি :  খুলনার পাইকগাছা উপজেলা চাঁদখালী ইউনিয়নের চক-বিষ্ণুপুর গ্রামের মোঃ গফুর শেখের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে সাথী খাতুন প্রেসক্লাব পাইকগাছা এ উপস্থিত হয়ে জৈনক মুনছুর গাজীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রেসক্লাব পাইকগাছা এর কার্যলয়ে সাংবাদিকদের সামনে কলেজ পড়ুয়া সাথী খাতুন লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, পাইকগাছার চাঁদখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মুনছুর আলী গাজীর নেতৃত্বে গত ইং- ২৮/১২/২০২৩ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াই টার দিকে প্রায় ২০/২৫ জন লোক দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে অবৈধভাবে তাহার পিতার বাড়িতে প্রবেশ করে ঘর ভাংচুর সহ লুটপাট করে। এসময়ে কলেজ পড়ুয়া সাথী খাতুন বাঁধা দিলে তার ব্যবহৃত সেলফোন কেড়ে নেয় এবং মারধর সহ হত্যার উদ্দেশ্যে দা দিয়ে কোপ দিতে গেলে হাত দিয়ে ঠেকানোর ফলে দা এর কোপ হাতে লেগে রক্তাক্ত হয়ে মাঠিতে পড়ে গেলে সাথী খাতুনকে রশি দিয়ে খুটির সাথে বেধে ফেলা হয়। এসময়ে সাথী খাতুনের ডাক চিৎকারে তাহার পিতা গফুর শেখ পাশ থেকে এসে সাথী খাতুনকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও মারধর করে ও পাশের বাড়িতে নিয়ে বেঁধে রাখে। সাথী খাতুন আরো উল্লেখ করেন, মুনসুর গাজীর লোকজন আমাদের বেধে রেখে বাড়ির মালামাল সহ গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন আংটি ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয় এবং বাড়িতে থাকা আলমারি ভেঙ্গে টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার সহ দলিল পত্র নিয়ে যায়।  এছাড়াও বাড়ি তৈরি করার জন্য রাখা ৫/৬ হাজার ইট টলিতে করে নিয়ে যায়। এবং সাথী খাতুন সহ তার পিতাকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। আরো উল্লেখ করেন, মুনছুর গাজীর লোকজন পুরো বাড়ি দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘিরে রাখে। 

এমতাবস্থায় সন্ধ্যায় আমার পিতা গফুর শেখকে বাঁধা অবস্থায় পাশের বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসে, এবং ৬ টার দিকে আমাদেরকে ছেড়ে দেয়। এসময়ে আমি সাথে সাথে পাইকগাছায় এসে থানা পুলিশকে উক্ত বিষয়টি অবহিত করলে, তাহারা অভিযোগ দিতে বলে। এবং পরের দিন ২৯/১২/২০২৩ তারিখে থানায় মামলা এজাহার করা হয়। উক্ত মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো অনেকে রয়েছে। পাশাপাশি ২ জন আসামি ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। কলেজ পড়ুয়া সাথী খাতুন আরো উল্লেখ করেন, মুল আসামি মুনছুর গাজী মামলার এজাহার ভুক্ত হয়নি। এজন্য উক্ত মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য মুনছুর গাজী আমাদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে। 

সবশেষে কলেজ পড়ুয়া সাথী খাতুন উল্লেখ করেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে মামলার মূল আসামি মনসুর গাজী কে মামলায় নথিভুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।