ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি এবং তার স্ত্রী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • 123

সিনিয়র রিপোর্টার : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চার দিন আগে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে নিজের ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।ভোট দেওয়ার পর খামে ভরা ব্যালট পেপার নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান রাষ্ট্রপতি। সকলের অংশগ্রহণে আগামী ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বঙ্গভবন জানায়, পাবনা সদর আসনের ভোটার রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন এবং তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে বঙ্গভবনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে নিজেদের ভোট দেন। 

পাবনায় না গিয়ে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, আমি যদি বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে ওখানে যাই, তাহলে ভোটের দিন আমার ভোটকেন্দ্রটিসহ পুরো পাবনা জেলাতেই প্রভাব পড়বে আমার নিরাপত্তার কারণে। সাধারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে হয়তবা একটু বিড়ম্বিত হবে, একটু বাধার সম্মুখিন হবে। হয়ত কিছুক্ষণের জন্য। আমার সচেতন বুদ্ধি বলে, এই ক্ষেত্রে আমার এলাকায় গিয়ে ভোট দেওয়া, সাধারণ ভোটারদের বিঘ্নিত করা আমার উচিৎ হবে না।’  

এর আগে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতির প্রেস উইংয়ের পাঠানো দৈনিক কর্মসূচিতে জানানো হয়, ভোটকেন্দ্রে যেতে অসমর্থ- এমন চার ধরনের ভোটাররা ডাকে (পোস্টাল ব্যালটে) ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে ডাকযোগে ভোট দেওয়ার এই সুযোগ তৈরি করা হলেও কখনোই সেভাবে সাড়া মেলেনি। নির্বাচন কমিশন থেকে এবারের সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানে উৎসাহিত করতে প্রচারণার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ে সভার ইসির পক্ষ থেকে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানে ‍উৎসাহিত করতে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে প্রচারণার নির্দেশনা দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতির ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটের বিষয়টি জনপ্রিয় করতে চায় নির্বাচন কমিশন।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন- রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম , প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান।

উল্লেখ্য, কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের কোনো জেলখানায় বা অন্য কোনো আইনগত হেফাজতে আটক থাকলে, কোনো ব্যক্তি যে ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদানের অধিকারী- সেই কেন্দ্র ব্যতীত অন্য কোনো ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত থাকলে এবং বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি ভোটার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ নিতে পারেন। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে চাইলে তফসিল ঘোষণার পর ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হয় নিজের নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। সে অনুযায়ী এবার আবেদন করার সুযোগ ছিল ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। আবেদন পাওয়ার পর ওই ভোটারের কাছে ডাকযোগে একটি পোস্টাল ব্যালট পেপার ও একটি খাম পাঠান রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরপর আবেদনকারী ভোট দিয়ে ব্যালট পেপার পাঠালে তা মূল ফলের সঙ্গে যোগ করা হয়।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ইসকন ইস্যুতে দেশি-বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি এবং তার স্ত্রী

আপডেট সময় ০৬:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চার দিন আগে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে নিজের ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।ভোট দেওয়ার পর খামে ভরা ব্যালট পেপার নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান রাষ্ট্রপতি। সকলের অংশগ্রহণে আগামী ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বঙ্গভবন জানায়, পাবনা সদর আসনের ভোটার রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন এবং তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে বঙ্গভবনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে নিজেদের ভোট দেন। 

পাবনায় না গিয়ে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, আমি যদি বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে ওখানে যাই, তাহলে ভোটের দিন আমার ভোটকেন্দ্রটিসহ পুরো পাবনা জেলাতেই প্রভাব পড়বে আমার নিরাপত্তার কারণে। সাধারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে হয়তবা একটু বিড়ম্বিত হবে, একটু বাধার সম্মুখিন হবে। হয়ত কিছুক্ষণের জন্য। আমার সচেতন বুদ্ধি বলে, এই ক্ষেত্রে আমার এলাকায় গিয়ে ভোট দেওয়া, সাধারণ ভোটারদের বিঘ্নিত করা আমার উচিৎ হবে না।’  

এর আগে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতির প্রেস উইংয়ের পাঠানো দৈনিক কর্মসূচিতে জানানো হয়, ভোটকেন্দ্রে যেতে অসমর্থ- এমন চার ধরনের ভোটাররা ডাকে (পোস্টাল ব্যালটে) ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে ডাকযোগে ভোট দেওয়ার এই সুযোগ তৈরি করা হলেও কখনোই সেভাবে সাড়া মেলেনি। নির্বাচন কমিশন থেকে এবারের সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানে উৎসাহিত করতে প্রচারণার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ে সভার ইসির পক্ষ থেকে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানে ‍উৎসাহিত করতে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে প্রচারণার নির্দেশনা দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতির ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটের বিষয়টি জনপ্রিয় করতে চায় নির্বাচন কমিশন।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন- রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম , প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান।

উল্লেখ্য, কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের কোনো জেলখানায় বা অন্য কোনো আইনগত হেফাজতে আটক থাকলে, কোনো ব্যক্তি যে ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদানের অধিকারী- সেই কেন্দ্র ব্যতীত অন্য কোনো ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত থাকলে এবং বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি ভোটার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ নিতে পারেন। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে চাইলে তফসিল ঘোষণার পর ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হয় নিজের নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। সে অনুযায়ী এবার আবেদন করার সুযোগ ছিল ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। আবেদন পাওয়ার পর ওই ভোটারের কাছে ডাকযোগে একটি পোস্টাল ব্যালট পেপার ও একটি খাম পাঠান রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরপর আবেদনকারী ভোট দিয়ে ব্যালট পেপার পাঠালে তা মূল ফলের সঙ্গে যোগ করা হয়।