ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ড. ইউনূসের  মামলা  ও নির্বাচন ইস্যু নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • 120

অনলাইন ডেস্ক : মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসের  বিরুদ্ধে করা মামলা এবং বাংলাদেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনও খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় বুধবার (৩ জানুয়ারি) বছরের প্রথম ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক মিলারকে প্রশ্ন করেন, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শ্রম আদালত যে কারাদণ্ড দিয়েছে সে বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাচ্ছি? বাংলাদেশে আইনের শাসন এবং বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা- এই দুই ক্ষেত্রে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ যে পর্যায়ে এসে ঠেকেছে সে বিষয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপলব্ধি কী?এমনকি যেখানে কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও খারাপ?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার স্বীকৃতি স্বরুপ তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কারসহ মর্যাদাপূর্ণ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আমরা তার বিরুদ্ধে মামলাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা অবশ্যই এই রায়ের ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনা দেখেছি। আমাদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে একটি সুষ্ঠ ও  স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা যে কোনো অগ্রগতি নিবিড়ভাবে অনুসরণ করা চালিয়ে যাব।

সাংবাদিক আরেকটি প্রশ্ন করেন, জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি সপ্তাহান্তে। আসন্ন নির্বাচনে ভুয়া প্রার্থী ব্যবহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জননির্দেশনা এবং অবাধ, সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গঠনমূলক পরামর্শ উপেক্ষা করার প্রেক্ষাপটে মার্কিন সরকার কি এ ধরনের ডামি নির্বাচনকে বৈধতা দেবে? যদি তা না হয়, তাহলে প্রস্তাবিত শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে বাইডেন প্রশাসন কী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে? সম্প্রতি বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের নির্বাচন ‘ওয়ান ওম্যান শো’তে পরিণত হয়েছে।

জবাবে মিলার বলেন, আমার মনে হচ্ছে, আমি এই প্রশ্নের উত্তর আগেও দিয়েছি। তবে এটি নতুন বছর তাই আমি আবার উত্তর দেবো। আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনকে সমর্থন করি। বিষয়টি বেশ কয়েকবার স্পষ্ট করে দিয়েছি। আমরা নির্বাচনকে খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবো। তবে আমি কখনই আগাম অনুমান করবো না যে, আমরা কী পদক্ষেপ নিতে পারি বা না পারি।সে সম্পর্কে আমি আগে থেকে কোনও কথা বলব না।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ড. ইউনূসের  মামলা  ও নির্বাচন ইস্যু নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় ০৪:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক : মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসের  বিরুদ্ধে করা মামলা এবং বাংলাদেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনও খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় বুধবার (৩ জানুয়ারি) বছরের প্রথম ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক মিলারকে প্রশ্ন করেন, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শ্রম আদালত যে কারাদণ্ড দিয়েছে সে বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাচ্ছি? বাংলাদেশে আইনের শাসন এবং বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা- এই দুই ক্ষেত্রে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ যে পর্যায়ে এসে ঠেকেছে সে বিষয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপলব্ধি কী?এমনকি যেখানে কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও খারাপ?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার স্বীকৃতি স্বরুপ তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কারসহ মর্যাদাপূর্ণ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আমরা তার বিরুদ্ধে মামলাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা অবশ্যই এই রায়ের ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনা দেখেছি। আমাদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে একটি সুষ্ঠ ও  স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা যে কোনো অগ্রগতি নিবিড়ভাবে অনুসরণ করা চালিয়ে যাব।

সাংবাদিক আরেকটি প্রশ্ন করেন, জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি সপ্তাহান্তে। আসন্ন নির্বাচনে ভুয়া প্রার্থী ব্যবহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জননির্দেশনা এবং অবাধ, সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গঠনমূলক পরামর্শ উপেক্ষা করার প্রেক্ষাপটে মার্কিন সরকার কি এ ধরনের ডামি নির্বাচনকে বৈধতা দেবে? যদি তা না হয়, তাহলে প্রস্তাবিত শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে বাইডেন প্রশাসন কী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে? সম্প্রতি বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের নির্বাচন ‘ওয়ান ওম্যান শো’তে পরিণত হয়েছে।

জবাবে মিলার বলেন, আমার মনে হচ্ছে, আমি এই প্রশ্নের উত্তর আগেও দিয়েছি। তবে এটি নতুন বছর তাই আমি আবার উত্তর দেবো। আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনকে সমর্থন করি। বিষয়টি বেশ কয়েকবার স্পষ্ট করে দিয়েছি। আমরা নির্বাচনকে খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবো। তবে আমি কখনই আগাম অনুমান করবো না যে, আমরা কী পদক্ষেপ নিতে পারি বা না পারি।সে সম্পর্কে আমি আগে থেকে কোনও কথা বলব না।