ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসে ‘টাইম বোমা’ উদ্ধার

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • 48
অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে মৌচাক এলাকায় কক্সবাজারগামী বেঙ্গল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১২-২৫৫৫) থেকে উদ্ধার হওয়া বোমা সদৃশ বস্তুটি ছিল ‌‘টাইম বোমা’। সেটি উদ্ধারের পর বোম্ব ডিসপোজাল টিম সেটি নিষ্ক্রিয় করে।
এদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসের ভেতর বোমা সদৃশ বস্তুটির সন্ধান পাওয়ায় পুরো বাসে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বাসটির চালক রুবেল মৌচাক বাসস্ট্যান্ডের কাছে যাত্রীদের নামিয়ে দেন। পরে পুলিশের বিশেষ পরিষেবা ৯৯৯-এ (জরুরি হটলাইন নম্বর) ফোন করেন। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থালে উপস্থিত হয়ে বাসটি ঘিরে রাখে। এ সময় বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হলে রাত সোয়া ১২টার দিকে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমা সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করে এবং নিশ্চিত করে যে বোমা সদৃশ বস্তুটি প্রকৃতপক্ষে ‘টাইম বোমা’।
উদ্ধারের পর রাত একটার দিকে শক্তিশালী ডিভাইসটি নিষ্ক্রিয় করার বিষয়টি রাত দুইটার দিকে নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল। এটি যেকোনো সময় কার্যকর হয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারতো বলেও জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার জানান, বিস্ফোরণ হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ছিল। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই টাইম বোমায় টাইমার সেট করা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে সক্রিয় হয়ে সেটি বিস্ফোরিত হতো। এতে পুরো বাসটিতে আগুন ধরে বাসে থাকা সবাই অগ্নিদগ্ধ হয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতো। পরে আমরা সেটিকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাই। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
বাসটির সুপারভাইজার মো. হাসান বলেন, ‘রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে একজন যাত্রীবাহী বাসে উঠি। পরে বাসটি সায়েদাবাদে এসে থামিয়ে সেখান থেকে কিছু যাত্রী ওঠানো হয়। এরপর যাত্রাবাড়ী হানিফ ফ্লাইওভার পর্যন্ত এসে আবারও যাত্রী গণনার সময় আমরা দেখতে পাই, পেছনের ওই যাত্রী গাড়িতে নেই। এরপর ওই ব্যক্তির ফোনে কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি। একপর্যায়ে ওই যাত্রীর রেখে যাওয়া একটি ব্যাগের ভেতর বোমা সদৃশ বস্তু দেখতে পেয়ে ৯৯৯-এ (জরুরি হটলাইন নম্বর) কল করে বিষয়টি জানান। এর কিছুক্ষণ পরই পুলিশ এসে যাত্রীদের বের করে নিরাপদে নিচে নামিয়ে এনে বাসের ভেতরে তল্লাশি করে বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করে।’
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘৩০ সিটের বাসটিতে ওই এক সিট ছাড়া সব সিটেই যাত্রী ছিল। বোমা সদৃশ বস্তু দেখার পর যাত্রীদের সবার মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে যাত্রীদেরকে বাস থেকে নামিয়ে আনে এবং পরে বোমাটি উদ্ধার করা হয়।’
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নুর-গোলাম পরওয়ারসহ ৩০২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসে ‘টাইম বোমা’ উদ্ধার

আপডেট সময় ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে মৌচাক এলাকায় কক্সবাজারগামী বেঙ্গল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১২-২৫৫৫) থেকে উদ্ধার হওয়া বোমা সদৃশ বস্তুটি ছিল ‌‘টাইম বোমা’। সেটি উদ্ধারের পর বোম্ব ডিসপোজাল টিম সেটি নিষ্ক্রিয় করে।
এদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসের ভেতর বোমা সদৃশ বস্তুটির সন্ধান পাওয়ায় পুরো বাসে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বাসটির চালক রুবেল মৌচাক বাসস্ট্যান্ডের কাছে যাত্রীদের নামিয়ে দেন। পরে পুলিশের বিশেষ পরিষেবা ৯৯৯-এ (জরুরি হটলাইন নম্বর) ফোন করেন। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থালে উপস্থিত হয়ে বাসটি ঘিরে রাখে। এ সময় বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হলে রাত সোয়া ১২টার দিকে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমা সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করে এবং নিশ্চিত করে যে বোমা সদৃশ বস্তুটি প্রকৃতপক্ষে ‘টাইম বোমা’।
উদ্ধারের পর রাত একটার দিকে শক্তিশালী ডিভাইসটি নিষ্ক্রিয় করার বিষয়টি রাত দুইটার দিকে নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল। এটি যেকোনো সময় কার্যকর হয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারতো বলেও জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার জানান, বিস্ফোরণ হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ছিল। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই টাইম বোমায় টাইমার সেট করা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে সক্রিয় হয়ে সেটি বিস্ফোরিত হতো। এতে পুরো বাসটিতে আগুন ধরে বাসে থাকা সবাই অগ্নিদগ্ধ হয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতো। পরে আমরা সেটিকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাই। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
বাসটির সুপারভাইজার মো. হাসান বলেন, ‘রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে একজন যাত্রীবাহী বাসে উঠি। পরে বাসটি সায়েদাবাদে এসে থামিয়ে সেখান থেকে কিছু যাত্রী ওঠানো হয়। এরপর যাত্রাবাড়ী হানিফ ফ্লাইওভার পর্যন্ত এসে আবারও যাত্রী গণনার সময় আমরা দেখতে পাই, পেছনের ওই যাত্রী গাড়িতে নেই। এরপর ওই ব্যক্তির ফোনে কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি। একপর্যায়ে ওই যাত্রীর রেখে যাওয়া একটি ব্যাগের ভেতর বোমা সদৃশ বস্তু দেখতে পেয়ে ৯৯৯-এ (জরুরি হটলাইন নম্বর) কল করে বিষয়টি জানান। এর কিছুক্ষণ পরই পুলিশ এসে যাত্রীদের বের করে নিরাপদে নিচে নামিয়ে এনে বাসের ভেতরে তল্লাশি করে বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করে।’
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘৩০ সিটের বাসটিতে ওই এক সিট ছাড়া সব সিটেই যাত্রী ছিল। বোমা সদৃশ বস্তু দেখার পর যাত্রীদের সবার মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে যাত্রীদেরকে বাস থেকে নামিয়ে আনে এবং পরে বোমাটি উদ্ধার করা হয়।’