অনলাইন ডেস্ক : ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। কারো জয় কারো পরাজয়। ক্রীড়াবিদদের মধ্যে এবার নির্বাচনে জিতেছেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসান। তিনজনই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সালাম মুর্শেদী তৃতীয়, মাশরাফি দ্বিতীয় এবং সাকিব প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন।
সংগঠকদের মধ্যে নির্বাচন করেছিলেন আরও বেশি। বিসিবির বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন পুনরায় কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। বিসিবির আরেক পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল মৌলভীবাজার থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বাফুফের সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। যশোর-৩ থেকে তিনি বেশ সহজেই জিতেছেন। ২০১৪ সাল থেকে নাবিল সংসদ সদস্য হয়ে আসছেন এ আসন থেকে।
বিসিবির সাবেক দুই সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী ও আ হ ম মোস্তফা কামাল উভয়ই জয়লাভ করেছেন। এই দুজনেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। সাবেক রেফারি ও বাফুফের সাবেক সহ-সভাপতি বীর বাহাদুরও নির্বাচিত হয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিত বীর বাহাদুর।
বর্তমান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলও গাজীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরোধিতার জন্য তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে পড়েছিলেন। এরপরও ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন।
এছাড়া ক্যারম ফেডারেশনের সভাপতি জুনাইদ আহমেদ পলক, স্কোয়াশ ফেডারেশনের সভাপতি ফারুক খান, রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
ঢাকা-১ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সালমান এফ রহমান। ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি হিসেবে তার মূল পরিচিতি হলেও তিনি ক্রীড়া সংগঠকও। দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্লাব ঢাকা আবাহনীর চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন থেকে। আবাহনী ক্লাবের অন্যতম পরিচালক নসরুল হামিদ বিপুসহ কয়েকজন পরিচালক নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।