ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১১ আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • 40

সিনিয়র রিপোর্টার : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমঝোতার অংশ হিসেবে জাতীয় পার্টির (জাপা) জন্য ২৬টি আসন থেকে নিজেদের প্রার্থী প্রত্যাহার করেছিল আওয়ামী লীগ। এর ১৮টিতেই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। রবিবার (৭ জানুয়ারি) ভোটের লড়াই শেষে সমঝোতা হওয়া আসনগুলোর মধ্যে ১১টিতে জয় পেয়েছেন বর্তমান সংসদের বিরোধী দলের প্রার্থীরা। সব মিলিয়ে দলটির প্রার্থীরা ১৮৮টি আসনে লড়লেও সমঝোতার বাইরে কোনো আসনে জয়ের দেখা পাননি কেউ। যেসব আসনে জিতেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা-

রংপুর-৩ (সদর)

জাপার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ (সদর) আসনের বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। জাপার লাঙ্গল প্রতীকের এ হেভিওয়েট প্রার্থী ৮১ হাজার ৮৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী তৃতীয় লিঙ্গের আনোয়ারা ইসলাম রানী ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৩২৬ ভোট।

কিশোরগঞ্জ-৩(করিমগঞ্জ-তাড়াইল)

জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এ আসন থেকে ৫৭ হাজার ৫৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী মেজর (অব.) নাসিমুল হক পেয়েছেন ৪২ হাজার ২৩৫ ভোট।

চট্টগ্রাম-৫

জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ লাঙ্গল প্রতীকে ৫০ হাজার ৯৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী পেয়েছেন ৩৬ হাজার ২৫১ ভোট।

পটুয়াখালী-১

এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ৫৪ হাজার ৬৩৪ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রাপ্ত ভোট ৮১ হাজার ৫০৮টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী নাসির উদ্দীন তালুকদার পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮৭৪ ভোট।

ফেনী-৩

এ আসন থেকে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি ১ লাখ ৪৭ হাজার ৭৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা রহিম উল্লাহ পেয়েছেন ৯ হাজার ৬২৬ ভোট।

ঠাকুরগাঁও-৩

এ আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৮ হাজার ৫১৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ি প্রতীকে গোপাল চন্দ্র রায় পেয়েছেন ৬৫ হাজার ২০৪ ভোট।

বরিশাল-৩

এ আসন থেকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে জাপার গোলাম কিবরিয়া টিপু। ৫১ হাজার ৮১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আতিকুর রহমান পেয়েছেন ২৪ হাজার ১২৩ ভোট।

নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর)

এ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম সেলিম ওসামন। তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এ নিয়ে সেলিম ওসমান টানা তিনবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী এ এম এম একরামুল হক পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৩৩ ভোট।

সাতক্ষীরা-২

এ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশু লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৪৭ ভোট।

কুড়িগ্রাম-১

এ আসনে বিজয়ী হয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি ভোট পেয়েছেন মোট ৮৮ হাজার ২৩টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুল হাই সরকার পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৭৫৬ ভোট।

বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ)

এ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী সাবেক বিএনপি নেত্রী বিউটি বেগম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ২০৩ ভোট। এ আসনে ২৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।

জাপার শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, দলের পক্ষ থেকে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া হলেও যাচাই-বাছাই শেষে টেকেন ২৬৫ জন। গত শনিবার পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান ৭৭ জন। শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে ছিলেন ১৮৮ জন। এর মধ্যে সমঝোতার ২৬ আসনও রয়েছে। এবারের নির্বাচনে জাপার অনেক হেভিওয়েট নেতাও ধরাশায়ী হয়েছেন। জি এম কাদেরের অনুসারীদের মধ্যে অন্তত ১৫ জন হেভিওয়েট প্রার্থী ছিলেন। রওশনপন্থি ৪ জন বিদ্রোহী প্রার্থীর কেউই বিজয়ী হতে পারেননি। ঢাকা-১ আসনে সালমা ইসলাম, ঢাকা-৫ আসনে টানা তিনবারের এমপি আবু হোসেন বাবলা পরাজিত হয়েছেন। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগের অন্যতম রাজনৈতিক মিত্র জাতীয় পার্টি। টানা তিন মেয়াদে জোটগত নির্বাচন করেছে দুটি দল।

একাদশ সংসদে জাপার এমপি আছেন ২৩ জন। চারজন সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যসহ ২৭ সদস্য নিয়ে বিরোধী দলের আসনে বসে জাপা। এবার ১১ আসন পাওয়ায় এককভাবে বিরোধী দল গঠন নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। দলগত দ্বন্দ্বের কারণে রওশন এরশাদ নির্বাচন বর্জন করেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নুর-গোলাম পরওয়ারসহ ৩০২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১১ আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টি

আপডেট সময় ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমঝোতার অংশ হিসেবে জাতীয় পার্টির (জাপা) জন্য ২৬টি আসন থেকে নিজেদের প্রার্থী প্রত্যাহার করেছিল আওয়ামী লীগ। এর ১৮টিতেই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। রবিবার (৭ জানুয়ারি) ভোটের লড়াই শেষে সমঝোতা হওয়া আসনগুলোর মধ্যে ১১টিতে জয় পেয়েছেন বর্তমান সংসদের বিরোধী দলের প্রার্থীরা। সব মিলিয়ে দলটির প্রার্থীরা ১৮৮টি আসনে লড়লেও সমঝোতার বাইরে কোনো আসনে জয়ের দেখা পাননি কেউ। যেসব আসনে জিতেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা-

রংপুর-৩ (সদর)

জাপার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ (সদর) আসনের বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। জাপার লাঙ্গল প্রতীকের এ হেভিওয়েট প্রার্থী ৮১ হাজার ৮৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী তৃতীয় লিঙ্গের আনোয়ারা ইসলাম রানী ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৩২৬ ভোট।

কিশোরগঞ্জ-৩(করিমগঞ্জ-তাড়াইল)

জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এ আসন থেকে ৫৭ হাজার ৫৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী মেজর (অব.) নাসিমুল হক পেয়েছেন ৪২ হাজার ২৩৫ ভোট।

চট্টগ্রাম-৫

জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ লাঙ্গল প্রতীকে ৫০ হাজার ৯৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী পেয়েছেন ৩৬ হাজার ২৫১ ভোট।

পটুয়াখালী-১

এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ৫৪ হাজার ৬৩৪ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রাপ্ত ভোট ৮১ হাজার ৫০৮টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী নাসির উদ্দীন তালুকদার পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮৭৪ ভোট।

ফেনী-৩

এ আসন থেকে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি ১ লাখ ৪৭ হাজার ৭৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা রহিম উল্লাহ পেয়েছেন ৯ হাজার ৬২৬ ভোট।

ঠাকুরগাঁও-৩

এ আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৮ হাজার ৫১৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ি প্রতীকে গোপাল চন্দ্র রায় পেয়েছেন ৬৫ হাজার ২০৪ ভোট।

বরিশাল-৩

এ আসন থেকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে জাপার গোলাম কিবরিয়া টিপু। ৫১ হাজার ৮১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আতিকুর রহমান পেয়েছেন ২৪ হাজার ১২৩ ভোট।

নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর)

এ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম সেলিম ওসামন। তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এ নিয়ে সেলিম ওসমান টানা তিনবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী এ এম এম একরামুল হক পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৩৩ ভোট।

সাতক্ষীরা-২

এ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশু লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৪৭ ভোট।

কুড়িগ্রাম-১

এ আসনে বিজয়ী হয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি ভোট পেয়েছেন মোট ৮৮ হাজার ২৩টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুল হাই সরকার পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৭৫৬ ভোট।

বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ)

এ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী সাবেক বিএনপি নেত্রী বিউটি বেগম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ২০৩ ভোট। এ আসনে ২৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।

জাপার শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, দলের পক্ষ থেকে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া হলেও যাচাই-বাছাই শেষে টেকেন ২৬৫ জন। গত শনিবার পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান ৭৭ জন। শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে ছিলেন ১৮৮ জন। এর মধ্যে সমঝোতার ২৬ আসনও রয়েছে। এবারের নির্বাচনে জাপার অনেক হেভিওয়েট নেতাও ধরাশায়ী হয়েছেন। জি এম কাদেরের অনুসারীদের মধ্যে অন্তত ১৫ জন হেভিওয়েট প্রার্থী ছিলেন। রওশনপন্থি ৪ জন বিদ্রোহী প্রার্থীর কেউই বিজয়ী হতে পারেননি। ঢাকা-১ আসনে সালমা ইসলাম, ঢাকা-৫ আসনে টানা তিনবারের এমপি আবু হোসেন বাবলা পরাজিত হয়েছেন। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগের অন্যতম রাজনৈতিক মিত্র জাতীয় পার্টি। টানা তিন মেয়াদে জোটগত নির্বাচন করেছে দুটি দল।

একাদশ সংসদে জাপার এমপি আছেন ২৩ জন। চারজন সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যসহ ২৭ সদস্য নিয়ে বিরোধী দলের আসনে বসে জাপা। এবার ১১ আসন পাওয়ায় এককভাবে বিরোধী দল গঠন নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। দলগত দ্বন্দ্বের কারণে রওশন এরশাদ নির্বাচন বর্জন করেন।