ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতি রাতে প্রিয় শহরে হাঁটলেন, আড্ডায় খেলেন চিড়া ভাজা মুড়ি ও সিঙ্গারা

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • 136

অনলাইন ডেস্ক  : দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তৃতীয়বার পাবনা সফরে এসে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার রাতে নিজের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা প্রিয় পাবনা শহরে হেঁটে হেঁটে স্মৃতিবিজড়িত আড্ডার জায়গাগুলো ঘুরে দেখেন এবং ছেলেবেলার বন্ধুসহ সতীর্থদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি। এ সময় আড্ডায় বন্ধু ও এক সময়ের সহকর্মীদের সঙ্গে হাসি, ঠাট্টায় মেতে ওঠেন। প্রেস ক্লাবে হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠেন এবং চিড়া মুড়ি সিঙ্গারা খান তিনি।

রাষ্ট্রপতি পূর্বঘোষিত ৪ দিনের বেসরকারি সফরে মঙ্গলবার দুপুরে পাবনায় আসেন। বিকালে সার্কিট হাউসে নেতাকর্মী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে সার্কিট হাউসে রাতযাপন করেন। তিনি স্থানীয় কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।

রাষ্ট্রপতি রাত ৮টার দিকে পাবনা সার্কিট হাউস থেকে গাড়িতে চড়ে প্রথমে তার অন্যতম আড্ডাস্থল পাবনা ডায়াবেটিকস সমিতিতে যান। সেখানে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর পর বের হয়ে পায়ে হেঁটে আসেন আরেক আড্ডাস্থল লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে। শহরের লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার এক সময় রাজনীতিকসহ প্রবীণ সাংবাদিক-সাংস্কৃতিক কর্মীদের আড্ডাস্থল ছিল। এখানে অন্যদের সঙ্গে বর্তমান রাষ্ট্রপতিও আড্ডা দিতেন নিয়মিত।

রাষ্ট্রপতি লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে আবারো হেঁটে যান শহরের আরেকটি অভিজাত মিষ্টি দোকান প্যারাডাইস সুইটে। সেখানেও তিনি সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং নিজের প্রিয় ঝুরি চানাচুর ও বুন্দিয়া খান। লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক ভোলানাথ ঘোষ বলেন, আমাদের প্রিয় মানুষ রাষ্ট্রপতি আমার দোকানে এসেছিলেন। এসে আমাদের সঙ্গে কথা বললেন, কেমন আছি জানতে চাইলেন। খোঁজখবর নিলেন। ভোলানাথ ঘোষ আরও বলেন, আমার এ দোকানে তিনি এক সময় আড্ডা দিতেন। আমাদের এখানকার সকালের নাস্তা তিনি খুব পছন্দ করতেন। এত বড় মানুষ হয়েও তিনি এখনো তেমনি নিরহংকারী আছেন।

প্যারাডাইস সুইটসের মালিক আবু ইসহাক শামীম বলেন, রাতে রাষ্ট্রপতি আমাদের দোকানে আসেন। সবার কুশলাদি জিজ্ঞেস করেন। রাজনৈতিক ও ছাত্রজীবনে তিনি আমাদের দোকানে বসতেন, আড্ডা দিতেন। আমাদের দোকানের ঝুরি চানাচুর ও বুন্দিয়া ছিল তার খুব পছন্দের। আজকেও তিনি অল্প করে ঝুরি চানাচুর ও বুন্দিয়া খেয়েছেন।

এরপরই রাষ্ট্রপতি হেঁটে যান তার দীর্ঘদিনের আড্ডার জায়গা পাবনা প্রেস ক্লাবে। রাষ্ট্রপতি পাবনা প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তীকালে দৈনিক বাংলার বাণীর সাংবাদিক হওয়ার সুবাদে পাবনা প্রেস ক্লাবের সদস্য হন। তিনি এ ক্লাবের ২২তম সদস্য এবং পরবর্তীতে তাকে সম্মানসূচক আজীবন সদস্য করা হয়। দেশের অন্যতম প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী পাবনা প্রেস ক্লাবও এক সময় সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রাজনীতিকসহ সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের আড্ডাস্থল ছিল। মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রপতি পাবনা প্রেস ক্লাবে এসে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। রাষ্ট্রপতির সৌজন্যে মতবিনিময় সভার মঞ্চ এবং স্টেজ করা হলে হলেও তিনি আনুষ্ঠানিকতায় শরিক না হয়ে আগের মতো সবার সঙ্গে বসে আড্ডায় মেতে ওঠেন। এ সময় তিনি পুরনো স্মৃতি তুলে ধরেন, সবার সঙ্গে নাম ধরে ধরে ডেকে কুশল বিনিময় করেন। রাষ্ট্রপতি হাসি-ঠাট্টায় মেতে উঠেন এবং চিড়া মুড়ি সিঙ্গারা খান। তিনি প্রায় এক ঘণ্টা প্রেস ক্লাবে অবস্থান করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, পাবনা প্রেস ক্লাব ও পাবনার সাংবাদিকতার সঙ্গে আমার আজীবন ও অন্তরের সম্পর্ক। আমি প্রাণ দিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠানকে লালন করি তার মধ্যে পাবনা প্রেস ক্লাব অন্যতম। এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি পাবনা জেলার উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। আমি আমার সাধ্যমতো জেলার উন্নয়নে কাজ করব। আমি ইছামতি নদীর সৌন্দর্যবর্ধন কাজ সেনাবাহিনীর হাতে দিয়েছি। যাতে একটি দৃষ্টিনন্দন শহর হয়। আমি ৫শ বেডের পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তার সার্বিক সহায়তায় পাবনার উন্নয়নে আমি কাজ করেই যাব। এ সময় পাবনা প্রেস ক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, রাষ্ট্রপতির বাল্যবন্ধু পাবনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শিবজিত নাগ, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, পাবনা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি লায়ন বেবী ইসলাম, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মো. সালাহ উদ্দিন আহমেদ, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, প্রেস ক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, বর্তমান সহসভাপতি মির্জা আজাদ, শহিদুর রহমান শহিদ, সাবেক সম্পাদক আব্দুল মতীন খান, সাবেক সম্পাদক উৎপল মির্জা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে রাষ্ট্রপতি পাবনা প্রেস ক্লাবে অবস্থানকালে হাজার হাজার মানুষ তীব্র শীত উপেক্ষা করে শহরের প্রধান সড়ক আব্দুল হামিদ সড়কের দুপাশে সমবেত হন। সরকারি কর্মসূচি না থাকায় সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রপতির কাছে যেতে পারেননি। এজন্য তারা রাতে কনকনে শীত উপেক্ষা করে এবং নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে এসে জড়ো হন তাদের গর্বিত প্রিয়সন্তানকে অভিবাদন জানাতে।

রাষ্ট্রপতি রাত ১০টার দিকে প্রেস ক্লাব থেকে বের হলে জনতা ‘রাষ্ট্রপতির দুই নয়ন, পাবনাবাসীর উন্নয়ন’, শুভেচ্ছা স্বাগতম রাষ্ট্রপতির আগমন স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন। রাষ্ট্রপতিও তাদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান এবং দোয়া করতে বলেন। বৃহস্পতিবার ১৮ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

রাষ্ট্রপতি রাতে প্রিয় শহরে হাঁটলেন, আড্ডায় খেলেন চিড়া ভাজা মুড়ি ও সিঙ্গারা

আপডেট সময় ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক  : দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তৃতীয়বার পাবনা সফরে এসে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার রাতে নিজের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা প্রিয় পাবনা শহরে হেঁটে হেঁটে স্মৃতিবিজড়িত আড্ডার জায়গাগুলো ঘুরে দেখেন এবং ছেলেবেলার বন্ধুসহ সতীর্থদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি। এ সময় আড্ডায় বন্ধু ও এক সময়ের সহকর্মীদের সঙ্গে হাসি, ঠাট্টায় মেতে ওঠেন। প্রেস ক্লাবে হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠেন এবং চিড়া মুড়ি সিঙ্গারা খান তিনি।

রাষ্ট্রপতি পূর্বঘোষিত ৪ দিনের বেসরকারি সফরে মঙ্গলবার দুপুরে পাবনায় আসেন। বিকালে সার্কিট হাউসে নেতাকর্মী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে সার্কিট হাউসে রাতযাপন করেন। তিনি স্থানীয় কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।

রাষ্ট্রপতি রাত ৮টার দিকে পাবনা সার্কিট হাউস থেকে গাড়িতে চড়ে প্রথমে তার অন্যতম আড্ডাস্থল পাবনা ডায়াবেটিকস সমিতিতে যান। সেখানে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর পর বের হয়ে পায়ে হেঁটে আসেন আরেক আড্ডাস্থল লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে। শহরের লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার এক সময় রাজনীতিকসহ প্রবীণ সাংবাদিক-সাংস্কৃতিক কর্মীদের আড্ডাস্থল ছিল। এখানে অন্যদের সঙ্গে বর্তমান রাষ্ট্রপতিও আড্ডা দিতেন নিয়মিত।

রাষ্ট্রপতি লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে আবারো হেঁটে যান শহরের আরেকটি অভিজাত মিষ্টি দোকান প্যারাডাইস সুইটে। সেখানেও তিনি সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং নিজের প্রিয় ঝুরি চানাচুর ও বুন্দিয়া খান। লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক ভোলানাথ ঘোষ বলেন, আমাদের প্রিয় মানুষ রাষ্ট্রপতি আমার দোকানে এসেছিলেন। এসে আমাদের সঙ্গে কথা বললেন, কেমন আছি জানতে চাইলেন। খোঁজখবর নিলেন। ভোলানাথ ঘোষ আরও বলেন, আমার এ দোকানে তিনি এক সময় আড্ডা দিতেন। আমাদের এখানকার সকালের নাস্তা তিনি খুব পছন্দ করতেন। এত বড় মানুষ হয়েও তিনি এখনো তেমনি নিরহংকারী আছেন।

প্যারাডাইস সুইটসের মালিক আবু ইসহাক শামীম বলেন, রাতে রাষ্ট্রপতি আমাদের দোকানে আসেন। সবার কুশলাদি জিজ্ঞেস করেন। রাজনৈতিক ও ছাত্রজীবনে তিনি আমাদের দোকানে বসতেন, আড্ডা দিতেন। আমাদের দোকানের ঝুরি চানাচুর ও বুন্দিয়া ছিল তার খুব পছন্দের। আজকেও তিনি অল্প করে ঝুরি চানাচুর ও বুন্দিয়া খেয়েছেন।

এরপরই রাষ্ট্রপতি হেঁটে যান তার দীর্ঘদিনের আড্ডার জায়গা পাবনা প্রেস ক্লাবে। রাষ্ট্রপতি পাবনা প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তীকালে দৈনিক বাংলার বাণীর সাংবাদিক হওয়ার সুবাদে পাবনা প্রেস ক্লাবের সদস্য হন। তিনি এ ক্লাবের ২২তম সদস্য এবং পরবর্তীতে তাকে সম্মানসূচক আজীবন সদস্য করা হয়। দেশের অন্যতম প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী পাবনা প্রেস ক্লাবও এক সময় সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রাজনীতিকসহ সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের আড্ডাস্থল ছিল। মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রপতি পাবনা প্রেস ক্লাবে এসে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। রাষ্ট্রপতির সৌজন্যে মতবিনিময় সভার মঞ্চ এবং স্টেজ করা হলে হলেও তিনি আনুষ্ঠানিকতায় শরিক না হয়ে আগের মতো সবার সঙ্গে বসে আড্ডায় মেতে ওঠেন। এ সময় তিনি পুরনো স্মৃতি তুলে ধরেন, সবার সঙ্গে নাম ধরে ধরে ডেকে কুশল বিনিময় করেন। রাষ্ট্রপতি হাসি-ঠাট্টায় মেতে উঠেন এবং চিড়া মুড়ি সিঙ্গারা খান। তিনি প্রায় এক ঘণ্টা প্রেস ক্লাবে অবস্থান করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, পাবনা প্রেস ক্লাব ও পাবনার সাংবাদিকতার সঙ্গে আমার আজীবন ও অন্তরের সম্পর্ক। আমি প্রাণ দিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠানকে লালন করি তার মধ্যে পাবনা প্রেস ক্লাব অন্যতম। এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি পাবনা জেলার উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। আমি আমার সাধ্যমতো জেলার উন্নয়নে কাজ করব। আমি ইছামতি নদীর সৌন্দর্যবর্ধন কাজ সেনাবাহিনীর হাতে দিয়েছি। যাতে একটি দৃষ্টিনন্দন শহর হয়। আমি ৫শ বেডের পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তার সার্বিক সহায়তায় পাবনার উন্নয়নে আমি কাজ করেই যাব। এ সময় পাবনা প্রেস ক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, রাষ্ট্রপতির বাল্যবন্ধু পাবনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শিবজিত নাগ, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, পাবনা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি লায়ন বেবী ইসলাম, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মো. সালাহ উদ্দিন আহমেদ, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, প্রেস ক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, বর্তমান সহসভাপতি মির্জা আজাদ, শহিদুর রহমান শহিদ, সাবেক সম্পাদক আব্দুল মতীন খান, সাবেক সম্পাদক উৎপল মির্জা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে রাষ্ট্রপতি পাবনা প্রেস ক্লাবে অবস্থানকালে হাজার হাজার মানুষ তীব্র শীত উপেক্ষা করে শহরের প্রধান সড়ক আব্দুল হামিদ সড়কের দুপাশে সমবেত হন। সরকারি কর্মসূচি না থাকায় সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রপতির কাছে যেতে পারেননি। এজন্য তারা রাতে কনকনে শীত উপেক্ষা করে এবং নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে এসে জড়ো হন তাদের গর্বিত প্রিয়সন্তানকে অভিবাদন জানাতে।

রাষ্ট্রপতি রাত ১০টার দিকে প্রেস ক্লাব থেকে বের হলে জনতা ‘রাষ্ট্রপতির দুই নয়ন, পাবনাবাসীর উন্নয়ন’, শুভেচ্ছা স্বাগতম রাষ্ট্রপতির আগমন স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন। রাষ্ট্রপতিও তাদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান এবং দোয়া করতে বলেন। বৃহস্পতিবার ১৮ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।