ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নেতা কাইয়ুমকে ফেরত পাঠানো স্থগিত করল মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • 149

অনলাইন ডেস্ক  :  মালয়েশিয়ায় আটক বিএনপি নেতা এমএ কাইয়ুমকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন দেশটির হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার সকালে আদালত এ আদেশ দেন বলে দেশটির দুই সংবাদমাধ্যম নিউ স্ট্রেইটস টাইমস ও মালয়েশিয়া কিনি ডটকম জানিয়েছে।

বিএনপির নেতা এমএ কাইয়ুমকে গত শুক্রবার মালয়েশিয়ায় আটক করা হয়। অবৈধভাবে অবস্থানের কারণে অভিবাসন আইনের আওতায় তাকে আটক করে স্থানীয় আমপাং থানায় নেওয়া হয়। এম এ কাইয়ুম কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সম্পাদক। তিনি ঢাকা উত্তর বিএনপির সভাপতি ছিলেন।

নিউ স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়ার হাইকোর্টের বিচারপতি কে মুনিআনদির আদালতে এমএ কাইয়ুমের মামলার শুনানি হয়। মালয়েশিয়ার মানবাধিকার সংগঠন সুয়ারা রাকায়েত মালয়েশিয়া কাইয়ুমের হয়ে আদালতে লড়ছেন।  সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক সেভান দোরাইস্বামী বলেন, কাইয়ুমের গ্রেফতার একেবারে অন্যায্য। কারণ তিনি জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-স্বীকৃতি শরণার্থী। এ-সংক্রান্ত কার্ডও তার আছে। সেভান দোরাইস্বামী আরও বলেন, আমরা চাই মালয়েশিয়ার অভিবাসন দপ্তর আদালতের আদেশ পুরোপুরি বাস্তবায়ন করুক। আর কাইয়ুমকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসুক। 

আদালতের আদেশ অমান্য করে জোরপূর্বক অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বের করে দেওয়ার যে নিন্দনীয় কাজটি বছর তিনেক আগে করা হয়েছে, এবার যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয়। সেভান দোরাইস্বামী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নিপীড়ন থেকে বাঁচতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের সুরক্ষায় সরকার অবশ্যই তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি নেতা কাইয়ুমকে ফেরত পাঠানো স্থগিত করল মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট

আপডেট সময় ০৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক  :  মালয়েশিয়ায় আটক বিএনপি নেতা এমএ কাইয়ুমকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন দেশটির হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার সকালে আদালত এ আদেশ দেন বলে দেশটির দুই সংবাদমাধ্যম নিউ স্ট্রেইটস টাইমস ও মালয়েশিয়া কিনি ডটকম জানিয়েছে।

বিএনপির নেতা এমএ কাইয়ুমকে গত শুক্রবার মালয়েশিয়ায় আটক করা হয়। অবৈধভাবে অবস্থানের কারণে অভিবাসন আইনের আওতায় তাকে আটক করে স্থানীয় আমপাং থানায় নেওয়া হয়। এম এ কাইয়ুম কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সম্পাদক। তিনি ঢাকা উত্তর বিএনপির সভাপতি ছিলেন।

নিউ স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়ার হাইকোর্টের বিচারপতি কে মুনিআনদির আদালতে এমএ কাইয়ুমের মামলার শুনানি হয়। মালয়েশিয়ার মানবাধিকার সংগঠন সুয়ারা রাকায়েত মালয়েশিয়া কাইয়ুমের হয়ে আদালতে লড়ছেন।  সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক সেভান দোরাইস্বামী বলেন, কাইয়ুমের গ্রেফতার একেবারে অন্যায্য। কারণ তিনি জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-স্বীকৃতি শরণার্থী। এ-সংক্রান্ত কার্ডও তার আছে। সেভান দোরাইস্বামী আরও বলেন, আমরা চাই মালয়েশিয়ার অভিবাসন দপ্তর আদালতের আদেশ পুরোপুরি বাস্তবায়ন করুক। আর কাইয়ুমকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসুক। 

আদালতের আদেশ অমান্য করে জোরপূর্বক অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বের করে দেওয়ার যে নিন্দনীয় কাজটি বছর তিনেক আগে করা হয়েছে, এবার যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয়। সেভান দোরাইস্বামী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নিপীড়ন থেকে বাঁচতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের সুরক্ষায় সরকার অবশ্যই তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে।