পাইকগাছা প্রতিনিধি : খুলনার পাইকগাছা পৌরসভার প্রান কেন্দ্র ৭নল ওয়ার্ডে অবস্থিত মৎস্য আড়ৎদারি সমবায় সমিতি লি: এর মার্কেট। এ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা কমিশন এর মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ঘের মালিকদের সর্বপ্রকার মাছ শান্তিপূর্ণভাবে বিক্রয় করে থাকে। এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাপারি’রা এ আড়তে মাছ ক্রয় করতে আসে। উক্ত মার্কেটের জায়গাটি মৎস্য আড়ৎদারি সমিতির মালিকানাভুক্ত। যাহার দাগ নং- বাতিখালী মৌজার ৩৪১/৩৪২ ও জমির পরিমান ৪৮ শতক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কাঁটা মার্কেটের নিজস্ব রেকর্ডিও সম্পত্তি ২০০৫ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘদিন যাবৎ নিজস্ব জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে আড়ৎদারী ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও শিবসা নদীতে প্রচুর ক্ষরস্রোত থাকায় কাটা মার্কেটের রেকর্ডিও সম্পত্তি নদীর ভিতরে পাকা ঘরসহ বিলিন হয়ে যাওয়ায়। সম্প্রতি নদী ভরাট হলে মৎস্য আড়ৎদারি সমিতি তাদের নিজস্ব রেকর্ডিও সম্পত্তি ভরাট পূর্বক ঘর করার উদ্যোগ নিয়েছেন বলে দাবী আড়তদারি সমিতি কতৃপক্ষ।
এ দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে একটা পক্ষ অভিযোগ দেওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন উক্ত বিষয়টি এসিল্যান্ড মোঃ আরিফুজ্জামান কে নিরসনের নির্দেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় এসিল্যান্ড আরিফুজামান ইউনিয়ন ভূমি উপ- সহকারী কর্মকর্তা মোছাঃ লতিফা বেগম, উপজেলা সার্ভেয়ার মোঃ কওছার আহম্মেদ ,চেইন ম্যান মোঃ আরিফ হোসেন ও সহকারী সার্ভেয়ার ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ কে ঘটনা স্থলে জমিটি মাপার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। ফলে, ভূমি কর্মকর্তা মোছাঃ লতিফা বেগম ও উপজেলা সার্ভেয়ার মোঃ কওছার আহম্মেদ ,চেইন ম্যান মোঃ আরিফ হোসেন সহ সহকারী সার্ভেয়ার ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ সহ আড়ৎদারী সমবায় সমিতি লিঃ মার্কেটের সভাপতি সেক্রেটারি ও মালিক গণ উপস্থিত থেকে জমিটি মাপজপের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করে দেন।
এ বিষয়ে ভূমি কর্মকর্তা মোছাঃ লতিফা বেগম বলেন, ১ বার নয়, পরপর ৪ বার জমিটি মাপ দেওয়া হয়েছে। আমরা এসিল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ার ও বাইরের থেকে আমি আরও একজন সার্ভেয়ার এনে জমি মাপামাপি করেছি। সবাই মিলে আমরা মেপে সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম মৎস্য আড়ৎদারি সমিতি যে ঘরগুলো করছে,তাদের থেকে আরো ৪০ ফুট দূরে আমাদের নদীর জমি এর মধ্যে আমাদের কোন জমি নাই।
উপজেলা সার্ভেয়ার মোঃ কওছার আহম্মেদ বলেন, কাঁটা মালিকগণ যে জমিটা দাবি করে নির্দিষ্ট পূর্ন দাগ, রেকর্ডিও সম্পত্তি, এই দাগের সাথে নদীর যে বর্ডার আছে , সর্বশেষ কাঁটার রেকর্ডিও যে দাগ বা রেকর্ডিও জমির সর্বশেষ যে আল আছে ,সেটা আজ আমরা নদীর সিমানার সাথে সর্বশেষ ঠিক করে গেলাম ।
এ বিষয়ে আড়তদারি সমিতির সভাপতি মোঃ জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বারবার বিষয়টা নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ার চেয়ে উপজেলা সার্ভেয়ার, ভূমি কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্টরা মাপ দিয়ে সঠিক সিমানা নির্ধারণ করে দেওয়া। উপজেলা প্রশাসন থেকে পরবর্তী নির্দেশনা পেলে আমরা আমাদের ঘর তৈরির কার্যক্রম পরিচালনা করবো।