সিনিয়র রিপোর্টার : বিদ্যুৎ-জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘শীত মৌসুম এবং অবৈধ লাইনের কারণেই গ্যাসের বেশি সংকট দেখা দিয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে গ্যাসের যে সংকট আছে, আমরা আশা করছি আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই তা কমে অনেক ভালো অবস্থায় আসবে। এটা আমাদের জন্য একটি সুখবর। এ জন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।’
রবিবার (২১ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা
বিদ্যুৎ-জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের সকল গ্রাহককেই প্রিপেইড গ্যাস মিটার আওতায় আনা হবে। এরপর থেকেই নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তাছাড়া বাসা বাড়িতে এলপিজি গ্যাস সরবরাহের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। এলপিজি গ্যাসের দামও তুলনামূলকভাবে অনেকটা কমে গেছে। শিল্পকল কারখানায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস দেয়ার গুরুত্ব বেশি থাকবে। বাসা বাড়িতে এলপিজি গ্যাস দেয়ার লক্ষ্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।
গ্যাসের দাম বাড়বে এমন গুজবে কান না দেওয়া আহ্বান জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, এখন থেকে নিজস্ব গ্যাস আহরণে আশাবাদী সরকার। বাসা বাড়ির গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হবে না। গ্যাসের দাম বাড়বে বলে গুজবে কান না দেওয়াই ভালো।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় সারাদেশে গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করায় গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে পেট্রোবাংলা।
ক্ষুদে বার্তায় বলা হয়েছে, মহেশখালীস্থ এলএনজি এফএসআরইউ’র কারিগরি ত্রুটির কারণে চট্টগ্রাম এলাকায় সকাল থেকে গ্যাস সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে এবং দেশের অন্যান্য এলাকায় শীতের কারণে গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করছে। বর্তমানে দ্রুত মেরামতের লক্ষ্যে কাজ চলছে। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা এবং কোম্পানিগুলো সার্বক্ষণিক তদারকি করছে।দেশীয় গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। সম্মানিত গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।