ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাজারে প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে : খাদ্যমন্ত্রী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪
  • 32

সিনিয়র রিপোর্টার : কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাজারে প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। ক্যাপাসিটির বেশি অবৈধ মজুত করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ভ্যালু অ্যাড করে বাজারে পণ্য বিক্রি করে। সেই কারণে তারা বেশি দামে বাজার থেকে ধান কেনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বাজার থেকে অল্প পরিমাণ ধান কিনলেও তার প্রভাব পড়ে খুব বেশি। তখন অন্যরাও বেশি দামে ধান কিনতে বাধ্য হয়। এটা বাজারের জন্য অশুভ।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে দেশের ছয়টি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিলারদের সঙ্গে বৈঠক বসেছিলাম। তারা বলেছে, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা করে ধান কিনছে, মজুতও করছে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান মোটা চালের ব্যবসা না করলে আমাদের সঙ্গে বসার প্রয়োজন ছিল না। মিলাররা আপনাদের দিকে আঙ্গুল তোলে। মিডিয়াও দোষারোপ করে। আমরা প্রকৃত চিত্র জানতে চাই। বিভিন্ন ব্রান্ডের নামে বাজারে চাল পাওয়া যাচ্ছে, যেটাতে এমআরপি লেখা থাকে। আমরা চাই পাশাপাশি মিলগেটের দামও লেখা থাকুক। বস্তায় মিল গেটের দাম লেখা থাকলে হঠাৎ করে কিংবা অযৌক্তিকভাবে খুচরা বিক্রেতারা দাম বাড়াতে পারবে না।

খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রতিযোগিতামূলকভাবে বাজারে কেউ ধান চাল কিনছে কি না বা মাত্রাতিরিক্ত অবৈধ মজুত করছে কি না তা নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। কেউ ক্যাপাসিটির বাইরে মজুত করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনে মজুত ক্যাপাসিটি রিভিউ করবো।

সভায় অংশ নেন- সিটি গ্রুপ, স্কয়ার, প্রাণ আরএফএল, মেঘনা গ্রুপ, এসিআই ও আকিজ এসেনশিয়াল এর প্রতিনিধিরা। এ সময় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ বস্তায় মিল গেটের মূল্য লেখার বিষয়ে সম্মতি জানায়। পরে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ক্যাপাসিটি ও ক্রয়–বিক্রয়ের চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, এফপিএমইউ-এর মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলমসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্ম কর্তাগণ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নুর-গোলাম পরওয়ারসহ ৩০২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

বাজারে প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে : খাদ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৫:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার : কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাজারে প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। ক্যাপাসিটির বেশি অবৈধ মজুত করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ভ্যালু অ্যাড করে বাজারে পণ্য বিক্রি করে। সেই কারণে তারা বেশি দামে বাজার থেকে ধান কেনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বাজার থেকে অল্প পরিমাণ ধান কিনলেও তার প্রভাব পড়ে খুব বেশি। তখন অন্যরাও বেশি দামে ধান কিনতে বাধ্য হয়। এটা বাজারের জন্য অশুভ।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে দেশের ছয়টি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিলারদের সঙ্গে বৈঠক বসেছিলাম। তারা বলেছে, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা করে ধান কিনছে, মজুতও করছে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান মোটা চালের ব্যবসা না করলে আমাদের সঙ্গে বসার প্রয়োজন ছিল না। মিলাররা আপনাদের দিকে আঙ্গুল তোলে। মিডিয়াও দোষারোপ করে। আমরা প্রকৃত চিত্র জানতে চাই। বিভিন্ন ব্রান্ডের নামে বাজারে চাল পাওয়া যাচ্ছে, যেটাতে এমআরপি লেখা থাকে। আমরা চাই পাশাপাশি মিলগেটের দামও লেখা থাকুক। বস্তায় মিল গেটের দাম লেখা থাকলে হঠাৎ করে কিংবা অযৌক্তিকভাবে খুচরা বিক্রেতারা দাম বাড়াতে পারবে না।

খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রতিযোগিতামূলকভাবে বাজারে কেউ ধান চাল কিনছে কি না বা মাত্রাতিরিক্ত অবৈধ মজুত করছে কি না তা নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। কেউ ক্যাপাসিটির বাইরে মজুত করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনে মজুত ক্যাপাসিটি রিভিউ করবো।

সভায় অংশ নেন- সিটি গ্রুপ, স্কয়ার, প্রাণ আরএফএল, মেঘনা গ্রুপ, এসিআই ও আকিজ এসেনশিয়াল এর প্রতিনিধিরা। এ সময় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ বস্তায় মিল গেটের মূল্য লেখার বিষয়ে সম্মতি জানায়। পরে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ক্যাপাসিটি ও ক্রয়–বিক্রয়ের চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, এফপিএমইউ-এর মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলমসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্ম কর্তাগণ।