ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের উন্নয়নে আরও বড় পরিসরে এগিয়ে আসবে চীন : প্রধানমন্ত্রী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • 138

সিনিয়র রিপোর্টার : নতুন সরকারের মেয়াদে দেশের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে চীন আরও বড় পরিসরে এগিয়ে আসবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন ও কৌশলগত অংশীদার চীন। আমরা আশা করি, নতুন সরকারের মেয়াদে চীন আমাদের বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সহায়তা করতে অতীতের চেয়ে বেশি সহায়তা করবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে গণভবনে চীনের আন্তর্জাতিক বিভাগের ভাইস মিনিস্টার সুন হাইয়ান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বৈঠকে প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক দপ্তরের ভাইস মিনিস্টার সুন হাইয়ান। এ সময় সুন হাইয়ান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুননির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে চীন সরকার ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান।

সুন হাইয়ান বলেন, দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনের সংগ্রাম এবং বাংলাদেশি জনগণের প্রতি ভালোবাসা ও মমতার কারণে শি জিংপিং প্রধানমন্ত্রীর পুনর্নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন। কারণ দেশ ও জনগণের প্রতি তার দেশপ্রেম এবং তিনি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন।

সুন হাইয়ান আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং দেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার কাজ দ্রুত গতিতে চলবে।

এর প্রেক্ষিতে চীনের উপমন্ত্রী ১৯৯১ সাল থেকে তার একাধিক বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি বাংলাদেশের অভূতপূর্ব ও অবিশ্বাস্য উন্নয়ন এবং দেশবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করেছি।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে কারণ, তিনি সফলভাবে দেশবাসীর মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়েছেন যে ‘আমরা করতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ সময়ের জন্য সরকারের ধারাবাহিকতাকেও কৃতিত্ব দিয়ে বলেছেন, সরকারের ধারাবাহিকতা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে।

শেখ হাসিনা সুন হাইয়ানকে বাংলাদেশের ‘প্রকৃত পরিবর্তন’ দেখতে গ্রামীণ এলাকা ঘুরে দেখার পরামর্শ দেন। চীনের ভাইস মিনিস্টার চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।

শেখ হাসিনা  বলেন, সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এবং দেশবাসীকে উন্নত জীবন দিয়ে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের এখনই সময়। এ সময় চীনের উপমন্ত্রী ক্রমবর্ধমান কর্মসূচিগুলো আরও বাড়ানোর মাধ্যমে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ এম. জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেন ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আইনজীবী হত্যার তদন্তের নির্দেশ, দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বাংলাদেশের উন্নয়নে আরও বড় পরিসরে এগিয়ে আসবে চীন : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার : নতুন সরকারের মেয়াদে দেশের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে চীন আরও বড় পরিসরে এগিয়ে আসবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন ও কৌশলগত অংশীদার চীন। আমরা আশা করি, নতুন সরকারের মেয়াদে চীন আমাদের বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সহায়তা করতে অতীতের চেয়ে বেশি সহায়তা করবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে গণভবনে চীনের আন্তর্জাতিক বিভাগের ভাইস মিনিস্টার সুন হাইয়ান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বৈঠকে প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক দপ্তরের ভাইস মিনিস্টার সুন হাইয়ান। এ সময় সুন হাইয়ান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুননির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে চীন সরকার ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান।

সুন হাইয়ান বলেন, দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনের সংগ্রাম এবং বাংলাদেশি জনগণের প্রতি ভালোবাসা ও মমতার কারণে শি জিংপিং প্রধানমন্ত্রীর পুনর্নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন। কারণ দেশ ও জনগণের প্রতি তার দেশপ্রেম এবং তিনি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন।

সুন হাইয়ান আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং দেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার কাজ দ্রুত গতিতে চলবে।

এর প্রেক্ষিতে চীনের উপমন্ত্রী ১৯৯১ সাল থেকে তার একাধিক বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি বাংলাদেশের অভূতপূর্ব ও অবিশ্বাস্য উন্নয়ন এবং দেশবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করেছি।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে কারণ, তিনি সফলভাবে দেশবাসীর মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়েছেন যে ‘আমরা করতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ সময়ের জন্য সরকারের ধারাবাহিকতাকেও কৃতিত্ব দিয়ে বলেছেন, সরকারের ধারাবাহিকতা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে।

শেখ হাসিনা সুন হাইয়ানকে বাংলাদেশের ‘প্রকৃত পরিবর্তন’ দেখতে গ্রামীণ এলাকা ঘুরে দেখার পরামর্শ দেন। চীনের ভাইস মিনিস্টার চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।

শেখ হাসিনা  বলেন, সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এবং দেশবাসীকে উন্নত জীবন দিয়ে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের এখনই সময়। এ সময় চীনের উপমন্ত্রী ক্রমবর্ধমান কর্মসূচিগুলো আরও বাড়ানোর মাধ্যমে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ এম. জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেন ।