সিনিয়র রিপোর্টার : নির্বাচনের আগে বিরোধীদলের আটক করা ২৫ হাজার নেতা-কর্মীর মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। একইসঙ্গে বিরোধীদের দমনপ্রবণতা বন্ধ করে রাজনৈতিক সংলাপ ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে মানবাধিকার ইস্যুতে বড় ধরনের সংস্কার আনার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা এ আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি চারটি আহ্বান জানিয়েছেন। সেগুলো হলো-
১. আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে সুশীল সমাজ এবং রাজনৈতিক কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। সেই সঙ্গে যাদের কোনো অভিযোগ ছাড়াই বা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ অভিযোগে আটক করা হয়েছে। ফৌজদারি অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মান অনুযায়ী ন্যায্য পাবলিক ট্রায়াল নিশ্চিত করা।
২. বিচার ব্যবস্থার অখণ্ডতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, অবাধ ও বাধাবিহীন অনুশীলনের নিশ্চয়তা দেওয়ার অনুরোধ করেন। বিশেষ করে রাজনৈতিক সমাবেশে অযথা বিধিনিষেধ আরোপ করা থেকে বিরত থাকতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে এই মৌলিক স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘন করা হলে, কেন করা হলো, তার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সমালোচনামূলক প্রতিবেদনের বিপরীতে হুমকি, শারীরিক ও অনলাইন সহিংসতা বা বিচারিক হয়রানি এবং ফৌজদারি বিচার থেকে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমরা মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন ও পরামর্শ দিতে প্রস্তুত।