ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্বতন্ত্র এমপিদের বৈঠক : স্পষ্ট হতে পারে ভূমিকা

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • 46

সিনিয়র রিপোর্টার : আজ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া স্বতন্ত্র ৬২ এমপি’র সঙ্গে বৈঠক করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়া কথা রয়েছে।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী স্বতন্ত্র এমপিদের রবিবার (২৮ জানুয়ারি) আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গণভবনে তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ৬২ জন স্বতন্ত্র (এমপি) প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। এসব সতন্ত্র এমপি (প্রার্থীদের) মধ্যে ৫৮ জনই আওয়ামী লীগের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতারা স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতা। তাদের মধ্যে দলের অনেক ত্যাগী নেতাও রয়েছেন। আগামী পাঁচ বছর জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভূমিকা কী হবে, সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়ে তাদের মতামতসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা আসতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আগামী পাঁচ বছর সংসদে স্বতন্ত্রদের ভূমিকা কী হবে, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের শপথ গ্রহণের পরপরই আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা তাদের সংসদীয় দলের সভা করেন। ওই সভায় শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচন করা হয়। স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের অবস্থান কী হবে, বৈঠকে সেটি নিয়েও আলোচনা হয়। পরে স্বতন্ত্রদের সঙ্গে শেখ হাসিনা আলাদা করে বসবেন বলে ওই বৈঠকে ঠিক করা হয়।

এ প্রস্রঙ্গ বরিশাল-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাদের বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী বলেন, ‘সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ডেকেছেন। তিনি যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, আমরা সেটাই অনুসরণ করবো। সংরক্ষিত আসনের বিষয়েও তিনি নির্দেশনা দিতে পারেন বলে মনে করছি।’

আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা হলেও, দ্বাদশ জাতীয় সংসদে তাদের সরকারের বাইরেই বসতে হবে। আওয়ামী লীগের যেসব স্বতন্ত্র প্রার্থী এখনও দলীয় পদে বহাল আছেন, সংসদ অধিবেশনে স্বতন্ত্র সদস্য হিসেবেই তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ বিষয়টিই আগামী রবিবারের বৈঠকে সংসদ নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের স্পষ্ট করে দিতে পারেন।

সামনে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম দ্বাদশ জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অন্তত ১০টি সংরক্ষিত নারী আসন পেতে যাচ্ছে। তাই দলীয় ও স্বতন্ত্র জোটের মনোনয়ন নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। সংরক্ষিত এই ১০ আসনের ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবস্থান কী, সেটিও সংসদ নেতা বৈঠকে জানার চেষ্টা করবেন।

উল্লেখ্য- নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২৩টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। জাতীয় পার্টি ১১টি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয়লাভ করেছে। এর বাইরে ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে বিজয়ী হন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নুর-গোলাম পরওয়ারসহ ৩০২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্বতন্ত্র এমপিদের বৈঠক : স্পষ্ট হতে পারে ভূমিকা

আপডেট সময় ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার : আজ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া স্বতন্ত্র ৬২ এমপি’র সঙ্গে বৈঠক করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়া কথা রয়েছে।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী স্বতন্ত্র এমপিদের রবিবার (২৮ জানুয়ারি) আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গণভবনে তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ৬২ জন স্বতন্ত্র (এমপি) প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। এসব সতন্ত্র এমপি (প্রার্থীদের) মধ্যে ৫৮ জনই আওয়ামী লীগের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতারা স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতা। তাদের মধ্যে দলের অনেক ত্যাগী নেতাও রয়েছেন। আগামী পাঁচ বছর জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভূমিকা কী হবে, সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়ে তাদের মতামতসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা আসতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আগামী পাঁচ বছর সংসদে স্বতন্ত্রদের ভূমিকা কী হবে, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের শপথ গ্রহণের পরপরই আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা তাদের সংসদীয় দলের সভা করেন। ওই সভায় শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচন করা হয়। স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের অবস্থান কী হবে, বৈঠকে সেটি নিয়েও আলোচনা হয়। পরে স্বতন্ত্রদের সঙ্গে শেখ হাসিনা আলাদা করে বসবেন বলে ওই বৈঠকে ঠিক করা হয়।

এ প্রস্রঙ্গ বরিশাল-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাদের বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী বলেন, ‘সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ডেকেছেন। তিনি যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, আমরা সেটাই অনুসরণ করবো। সংরক্ষিত আসনের বিষয়েও তিনি নির্দেশনা দিতে পারেন বলে মনে করছি।’

আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা হলেও, দ্বাদশ জাতীয় সংসদে তাদের সরকারের বাইরেই বসতে হবে। আওয়ামী লীগের যেসব স্বতন্ত্র প্রার্থী এখনও দলীয় পদে বহাল আছেন, সংসদ অধিবেশনে স্বতন্ত্র সদস্য হিসেবেই তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ বিষয়টিই আগামী রবিবারের বৈঠকে সংসদ নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের স্পষ্ট করে দিতে পারেন।

সামনে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম দ্বাদশ জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অন্তত ১০টি সংরক্ষিত নারী আসন পেতে যাচ্ছে। তাই দলীয় ও স্বতন্ত্র জোটের মনোনয়ন নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। সংরক্ষিত এই ১০ আসনের ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবস্থান কী, সেটিও সংসদ নেতা বৈঠকে জানার চেষ্টা করবেন।

উল্লেখ্য- নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২৩টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। জাতীয় পার্টি ১১টি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয়লাভ করেছে। এর বাইরে ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে বিজয়ী হন।