ঢাকা , শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিখুঁতভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে না জিএম কাদের

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
  • 220
অনলাইন ডেস্ক  :  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিখুঁতভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, এ আশঙ্কা অবাস্তব নয়, যদি বলি এ সংসদ কখনও নিখুঁতভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে না। সরকারবিরোধীরা যত বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে বা করবেন, ততটুকু হ্রাস পাবে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রথমদিনে নতুন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বর্তমান সংসদে ভারসাম্য রক্ষা হয়নি উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, আসন সংখ্যার বিচারে এবার সংসদে শতকরা ৭৫ ভাগই সরকার দলের। স্বতন্ত্র ২১ ভাগ। তারাও প্রায় সরকার দলীয়। ৩-৪ ভাগ শুধু বিরোধীদলীয় সদস্য। এ সংসদে সম্পূর্ণ জাতিকে খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। এ সংসদ কখনও নিখুঁতভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে না। সংসদ তৈরি করার উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল দুপক্ষই সামান হবে। একটা হলো সরকারি দল, আরেকটা হলো বিপক্ষ। তারা সংখ্যাও কাছাকাছি থাকবে। তাহলে তাদের মধ্যে সমানে সমানে লড়াই হবে। নিজেদের মতামতকে প্রধান্য দিয়ে তর্ক-বিতর্ক, ঝগড়াঝাঁটি হবে। সংসদে জনগণের পক্ষে সিদ্ধান্ত হবে। সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, শুধু লাল নয়, শুধু সবুজ নয়। যদি সরকারি দলকে লাল বলি তাহলে এ সংসদ সম্পূর্ণ লালময়। সবুজটা শুধু ছিটেফোঁটা। এ সংসদে সম্পূর্ণ জাতিকে খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। বর্তমান সংসদ জাতিকে কতটুকু প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হবে, তা আশঙ্কার বিষয়।
ভালোভাবে বললে বলতে হবে বিতর্কের বিষয়। দুই অংশের কর্মকাণ্ডের ব্যবধান কমাতে পারলে, অর্থাৎ সংসদে সরকার ও বিরোধীদের কর্মকাণ্ডের ব্যবধান কমাতে পারলে যতটা কমবে, ততটুকু সংসদ কার্যকর হিসেবে গণ্য হবে, বলেন তিনি। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় সংসদ দলমত সবার মিলনস্থল। সেখানে সরকারি দল এক পক্ষ, সরকারের বিপরীত দল আরেক পক্ষ। নির্বাচন পরবর্তী আসন সংখ্যায় শতকরা ৭৫ ভাগই সরকার দলের। ২১ ভাগ স্বতন্ত্র। তারাও প্রায় সরকার দলীয়। ৩-৪ ভাগ শুধু বিরোধী দলীয় সদস্য। এখানে আসন বণ্টনে ভারসাম্যের। যতই সিমিট্রিক্যাল হলেও আসন বণ্টন সিমিট্রিক্যালের অভাব হয়েছে। তাই এটাকে সম্পূর্ণভাবে সুন্দর বলা যাবে না।
জি এম কাদের ১৯৯৬ সাল থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন। সংসদে স্পিকারের দায়িত্ব নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, তারা দলীয় আনুগত্যে স্পিকার হলেও বাহ্যিকভাবে চেষ্টা করতেন নিরপেক্ষভাবে উপস্থাপন করার। আমি আপনার (স্পিকার) কাছে প্রত্যাশা করছি, আপনি নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন। সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখবেন এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিরোধীদের মতামতকে সংসদে তোলার সুযোগ দেবেন। সংসদের ভারসাম্যের ত্রুটি কমানোর প্রচেষ্টা আমরা অব্যাহত রাখবো।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিখুঁতভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে না জিএম কাদের

আপডেট সময় ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক  :  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিখুঁতভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, এ আশঙ্কা অবাস্তব নয়, যদি বলি এ সংসদ কখনও নিখুঁতভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে না। সরকারবিরোধীরা যত বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে বা করবেন, ততটুকু হ্রাস পাবে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রথমদিনে নতুন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বর্তমান সংসদে ভারসাম্য রক্ষা হয়নি উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, আসন সংখ্যার বিচারে এবার সংসদে শতকরা ৭৫ ভাগই সরকার দলের। স্বতন্ত্র ২১ ভাগ। তারাও প্রায় সরকার দলীয়। ৩-৪ ভাগ শুধু বিরোধীদলীয় সদস্য। এ সংসদে সম্পূর্ণ জাতিকে খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। এ সংসদ কখনও নিখুঁতভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে না। সংসদ তৈরি করার উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল দুপক্ষই সামান হবে। একটা হলো সরকারি দল, আরেকটা হলো বিপক্ষ। তারা সংখ্যাও কাছাকাছি থাকবে। তাহলে তাদের মধ্যে সমানে সমানে লড়াই হবে। নিজেদের মতামতকে প্রধান্য দিয়ে তর্ক-বিতর্ক, ঝগড়াঝাঁটি হবে। সংসদে জনগণের পক্ষে সিদ্ধান্ত হবে। সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, শুধু লাল নয়, শুধু সবুজ নয়। যদি সরকারি দলকে লাল বলি তাহলে এ সংসদ সম্পূর্ণ লালময়। সবুজটা শুধু ছিটেফোঁটা। এ সংসদে সম্পূর্ণ জাতিকে খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। বর্তমান সংসদ জাতিকে কতটুকু প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হবে, তা আশঙ্কার বিষয়।
ভালোভাবে বললে বলতে হবে বিতর্কের বিষয়। দুই অংশের কর্মকাণ্ডের ব্যবধান কমাতে পারলে, অর্থাৎ সংসদে সরকার ও বিরোধীদের কর্মকাণ্ডের ব্যবধান কমাতে পারলে যতটা কমবে, ততটুকু সংসদ কার্যকর হিসেবে গণ্য হবে, বলেন তিনি। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় সংসদ দলমত সবার মিলনস্থল। সেখানে সরকারি দল এক পক্ষ, সরকারের বিপরীত দল আরেক পক্ষ। নির্বাচন পরবর্তী আসন সংখ্যায় শতকরা ৭৫ ভাগই সরকার দলের। ২১ ভাগ স্বতন্ত্র। তারাও প্রায় সরকার দলীয়। ৩-৪ ভাগ শুধু বিরোধী দলীয় সদস্য। এখানে আসন বণ্টনে ভারসাম্যের। যতই সিমিট্রিক্যাল হলেও আসন বণ্টন সিমিট্রিক্যালের অভাব হয়েছে। তাই এটাকে সম্পূর্ণভাবে সুন্দর বলা যাবে না।
জি এম কাদের ১৯৯৬ সাল থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন। সংসদে স্পিকারের দায়িত্ব নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, তারা দলীয় আনুগত্যে স্পিকার হলেও বাহ্যিকভাবে চেষ্টা করতেন নিরপেক্ষভাবে উপস্থাপন করার। আমি আপনার (স্পিকার) কাছে প্রত্যাশা করছি, আপনি নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন। সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখবেন এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিরোধীদের মতামতকে সংসদে তোলার সুযোগ দেবেন। সংসদের ভারসাম্যের ত্রুটি কমানোর প্রচেষ্টা আমরা অব্যাহত রাখবো।